এখন শীতের শুরুতে বিশেষভাবে লক্ষণীয় একটি রোগ সেটি হচ্ছে সাইনাস, আজকের এই রোগটি সম্পর্কে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
সাইনাসের সমস্যা হলে দেহে জ্বর এবং দুর্বল একটা ভাব অনুভূত হয়। তবে একটু সচেতন হলে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আমরা দেখেছি এই সাইনাস শেষমেষ অপারেশন ছাড়া আর কোন চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। যার কারণে অপারেশনের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তবে হোমিওপ্যাথিতে লক্ষণ সমষ্টির উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এই রোগটির সঠিক চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হলে। প্রথমে আমাদেরকে এ রোগটির ব্যাপারে জানতে হবে।
সাইনুসাইটিস কি: নাকের চারপাশে হাঁড়ের বাতাসপূর্ণ কুঠুরি থাকে, যেগুলোকে সাইনাস বলা হয়। সাইনুসাইটিস হলো সাইনোসের ব্যাকটেরিয়াজনিত প্রদাহ।
সাইনাসের প্রদাহের কারণ: সাইনাসের প্রদাহের মধ্যে ম্যাগজিলারি সাইনাসের প্রদাহ সবচেয়ে বেশী হয়। একিউট সাইনুসাইটিস ও শ্বাসনালির ওপরের অংশের প্রদাহ, এলার্জি, অপুষ্ঠি, স্যাঁত সেতে পরিবেশে থাকলে, দীর্ঘদিনের দাঁতের রোগ থেকেও প্রদাহ হতে পারে। আবার শ্বাসনালির ছিদ্র সরু হলেও এরকম হতে পারে। তবে বেশিরভাগ সাইনাসের প্রদাহ নাকের প্রদাহ থেকে হয়ে থাকে।
আরেকটি বিষয় সেটি হচ্ছে যারা স্বাভাবিক ঠান্ডা সহজে সহ্য করতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে এ রোগটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আর একমাত্র হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে এই ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব, যার কারণে পরবর্তীতে সাইনাস থেকে অথবা ঠান্ডা জনিত যেকোনো রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব হয়।
সাইনোসাইটিসের লক্ষণগুলো কী
নাকের পাশে ক্রমাগত ব্যথা, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাব্যথা হতে পারে। এছাড়া সবসময় নাক বন্ধ থাকা, কোনো স্বাদ ও ঘ্রাণ বুঝতে না পারা, সাধারণত বিমর্ষতা, অস্থিরতা ও অনীহা জাগা, মাঝেমধ্যে জ্বর আসার সমস্যা দেখা যায়। মিউকাসের আবরণ পাতলা হয়ে যাওয়া।
নাকের পলিপ
নাকের পলিপ থেকেও সাইনুসাইটিস হতে পারে। নাকের পলিপের উৎপত্তি মূলত নাকের সাইনাসগুলো থেকেই। আর এই পলিপ আসলে সাইনাসের বা নাকের আবরণের একটি অংশ যা দেখতে অনেকটা আঙ্গুর ফলের থোকার মতো।
পলিপ রোগের সাধারণ উপসর্গগুলো কি কি
১. নাক বন্ধ পলিপ রোগীদের প্রধান ও একমাত্র উপসর্গ।
২. ঠাণ্ডাজনিত কারণে নাক বন্ধ প্রকট আকার ধারণ করে।
৩. পলিপ হলে হাঁচি অন্যতম উপসর্গ।
৪. নাক থেকে প্রায়ই পুঁজ বা পানি নির্গত হওয়া।
৫. প্রায়ই মাথাব্যথা করা।
৬. নাক ব্যথা বা মুখমণ্ডলে ব্যথা অনুভব করা।
৭. নাকের পিছনে ময়লা অনুভব করা, যা নাক টানলে কালো কালো পদার্থ বের হয়।
৮. খুশখুশে কাশি, বার বার গলা পরিষ্কার করার চেষ্টা।
৯. নাক থেকে দূর্গন্ধ বের হতে পারে, নাকে কথা কথা হবে।
১০. হা করে বা মুখ খুলে ঘুমানো বা শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া, নাকডাকা ইত্যাদি।
হোমিও প্রতিবিধান:
একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক রোগীর সম্পূর্ণ লক্ষণসমূহ সংগ্রহ করে চিকিৎসা করলে হোমিওপ্যাথিতে সাইনাসের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
আবার ইদানীং অনেক হোমিও চিকিৎসক বের হয়েছে নিজেদেরকে ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথি বলে। রোগীদেরকে বিভিন্ন ক্যামিকেল,এসিড দিয়ে,অপ হোমিপ্যাথি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এই ধরনের চিকিৎসার কারণে জটিল আকার বা সমস্যা হতে পারে।
যেহেতু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা লক্ষণ ভিত্তিক সেহেতু লক্ষণের ভিত্তিতে চিকিৎসা করা বাঞ্ছনীয়।
লক্ষণের উপর বৃদ্ধি করে যেসব ওষুধ খুব বেশি গুরুত্বের সহিত ব্যবহৃত হয় তার কয়েকটি দেওয়া হল।
Nux Vom, Tuberculin, Lamna M, Calcarea Carb, Psorinum, Thuja O., Arsenic Alb, Arsenic Iod, Natrium Sulp., Shulper, Tucrium. etc
তাছাড়া এই শীতে পারে বাঁশিতে শুরুতে বারেন তারা বিশেষ করে
Arsenic alb, Arsenic Iod, Heper sulphur, Natrium Sulp, Psorinumn বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আরো অনেক মেডিসিন লক্ষণের উপর আসতে পারে। তাই ঔষধ নিজে নিজে ব্যবহার না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সর্বশেষ সকলের উদ্দেশ্যে আমার পক্ষ থেকে পরামর্শ হচ্ছে। যদি আপনারা কেউ সাইনাসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে পারেন, যা বিনা অপারেশনে আপনাকে দিতে আরোগ্যদান করবে ইনশাআল্লাহ।।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন অনলাইনে বা সরাসরি চেম্বারে সৈয়দ হোমিও হল ফরেস্ট রোড আলিয়া মাদ্রাসা মার্কেট শেরপুর বগুড়া
01721418696