
Urinary Systems & Disease (মূত্রতন্ত্র এবং রোগসমূহ)//ঘন ঘন প্রস্রাব এবং জ্বালাপোড়া ! কিডনি ও মূত্রনালীর সংক্রমণ (UTI)
Urinary Systems & Disease
(মূত্রতন্ত্র এবং রোগসমূহ)

মূত্রতন্ত্র(Urinary System):
**************************
মূত্রতন্ত্র হল মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ রেচনতন্ত্র।
#মূত্রতন্ত্রেের শ্রেণী বিভাগঃ
(ক) মূত্রগ্রন্থি/ বৃক্ক(Kidney).
(খ) মূত্রবাহী নালী(Ureter).
(গ)মূত্রথলি বা মূত্রাশয়(Bladder)
(ঘ) মূত্রনালী(Urethra)
#কিডনির অবস্থান ও আকৃতিঃ
মানদেহে দুটি কিডনি থাকে।আকৃতি অনেকটা সিমের বীচের মত।পূর্ণবয়স্ক দের ক্ষেত্রে প্রতিটি কিডনির দৈর্ঘ্য ১১.৪৩×প্রস্থ ৬.৩৫ × পুরু৩.৮১সেন্টিমিটার বা (৪১/২×২১/২×১১/২ইঞ্চি)।
ওজন প্রায় ১৫০গ্রাম।বাম কিডনি ডান কিডনির চেয়ে প্রায় ১-২ সেন্টিমিটার বড়।বাম কিডনি কিছুটা উপরে থাকে।
√কিডনির অবস্থানঃ শরীরের নাভি বরাবর পিছনের দিকে মেরুদণ্ডের দুই পাশে কিডনির অবস্থান।বাম কিডনি ১১নং থোরাসিক ভার্টিব্রা থেকে দ্বিতীয় লাম্বার ভার্টিব্রা পর্যন্ত।ডান কিডনি ১২নং থোরাসিক ভার্টিব্রা থেকে তৃতীয় লাম্বার ভার্টিব্রার উপর পর্যন্ত অবস্থিত।কিডনির পিঠ থাকে বাহিরের দিকে,আর গর্তের মত পেট থাকে মেরুদন্ডের কোলে।একে হাইলাম বলে।এখান দিয়ে রক্তনালী,লসিকানালী ও স্নায়ুতন্ত্র প্রবেশ করে।মূত্রবাহীনালী ঐ অংশ থেকে বের হয়ে মূত্রাশয়ে সাথে সংযুক্ত হয়েছে।কিডনির নীচের কোণ কোমরের হাঁড়ের প্রায় ২ইঞ্চি (৫সেন্টিমিটার) উপরে আছে।কিডনির মোট আয়তনের বেশীরভাগ পাতলা আবরণে ঢাকা থাকে।কিডনির উপরিভাগে টুপির মতো দু’টি গ্রন্থি থাকে,একে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি বলা হয়।
√কিডনির নেফ্রনের গঠনিক প্রক্রিয়াঃ
কিডনির গঠনগত ও কার্যগত একক হল নেফ্রন।
প্রতিটি নেফ্রন প্রধানতঃ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিতঃ-
(১)ম্যালপিজিয়ান কারপাসল বা রেনাল কারপাসল(Malpighian Corpuscle or Renal Corpuscle).
(২)বৃক্কীয় নালিকা(Renal Tubule).
(৩)সংগ্রাহী নালিকা(Collecting Tubule).
√ম্যালপিজিয়ান কারপাসল হল ফ্যানেল আকৃতি বিশিষ্ট অংশ। এটি কিডনির কর্টেক্স অঞ্চলে অবস্থিত।এবং ২মিটার ব্যাসের গোলাকার অংশ।
(১)ম্যালপিজিয়ান কারপাসল বা রেনাল কারপাসল যাদের নিয়ে গঠিত এরা হলঃ
(ক)গ্লোমেরিউলাস(Glomerulus).
(খ)বাওম্যানের ক্যাপসুল(Bowman’s Capsule).
ক)গ্লোমেরিউলাস(Glomerulus)-হল বাওম্যান ক্যাপসুলের মধ্যস্থ রেনাল ধমনীর( Afferent Arteriole)কৈশিক নালিকার জালক বিশেষ।রেনাল ধমনীর (অন্তর্মুখী অংশ) একটি শাখা ক্যাপসুলের মধ্যে প্রবেশ করে কুন্ডলীকৃত জালক (নেফ্রন)সৃষ্টি করে।৫০-৬০টি কৈশিক জালিকা বিভক্ত হয়ে গ্লোমেরুলাস গঠন করে।যে আবরণ দিয়ে কৈশিক জালিকা আবৃত করে রাখে তাহল বাওম্যান ক্যাপসুল।কৈশিক জালিকাগুলো পুনরায় মিলিত হয়ে বহির্মুখী ধমনীকা রূপে ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে আসে।
(খ)বাওম্যান ক্যাপসুল হল যে আবরণ দিয়ে গ্লোমেরুলাসকে আবৃত করে রাখে তাহল বাওম্যান ক্যাপসুল।এই আবরণের যে অংশটি গ্লোমেরুলাসের সংলগ্ন থাকে তাকে ভিসেরাল স্তর বলে।এই স্তরটি পডোসাইটস নামক বিশেষ ধরনের কোষ দ্বারা গঠিত। বহিঃপ্রাচীর হল প্যারাটাইল স্তর।এই স্তরটি স্বাভাবিক আঁইশাকার এপিথেলিয়াল কোষ দ্বারা গঠিত।দুই স্তরের মধ্যবর্তী গহ্বর হল ক্যাপসুল স্তর।প্রতি কিডনিতে নেফ্রনের সংখ্যা ১০থেকে ১২লক্ষ।প্রতি নেফ্রনের দৈর্ঘ্য ৩সেন্টিমিটার।এই হিসেবে প্রত্যেক নেফ্রনের নালিকাগুলো সম্মিলিতভাবে দৈর্ঘ্য ৩৬কিলোমিটার (২২.৫মাইল)।
★গ্লোমেরিউলাস নামক ছাকনি প্রতি মিনিটে ১২৫ মিলিমিটার মূত্র সৃষ্টি করে।অর্থাৎ ২৪ঘন্টায় ১৮০ লিটার মূত্র সৃষ্টি করে। এই মূত্রের মধ্যে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ থাকে।
(২)বৃক্কীয় নালিকাঃবাওম্যানের ক্যাপসুলের তলদেশ (গ্লোমেরুল ত্যাগের পর যে ধমনী)ধমনীর শেষ প্রান্ত থেকে উৎপন্ন দূরবর্তী ধমনিকা যা সংগ্রাহী নালিকা পর্যন্ত বিস্তৃত।এটি সুক্ষ্ম পেঁচানে বা কুন্ডলীকৃত নালিকা বিশেষ।জালক সৃষ্টি হবার পর যুক্ত হয়ে শিরা গঠন করে।এই শিরা বৃক্কীয় শিরার সাথে যুক্ত হয়।
√বৃক্কীয় নালীর অংশ বিশেষঃ
(ক)নিকটবর্তী সংবর্ত নালিকা (Proximal Convoluted Tubule):
ব্যাওম্যান ক্যাপসুলের সাথে যুক্ত নিকটবর্তী পেঁচানো নালিকা।দৈর্ঘ্য ১৪মিলিমিটার।নেফ্রনের এই অংশটি কিডনির কর্টেক্সে অবস্থিত।এর প্রাচীর
এক স্তর বিশিষ্ট এপিথেলিয়াল কোষ দ্বারা গঠিত।
(খ)হেনলি লুপ(Henle Loop): নিকটবর্তী পেঁচানো নালিকার শেষ প্রান্ত থেকে শুরু।এই অংশ উপর থেকে নীচে নেমে আসে যাকে ডিসেন্ডিং (Descending of Henle)হেলনি বলে ।U আকৃতি অংশকে বলে হেনলির(Loop of Henle) লুপ বলে।এই অংশ থেকে সোজা হয়ে উপরে উঠে মেডুলাতে প্রবেশ করে।এবং আবার কর্টেক্স অঞ্চলে ফিরে আসে যাকে এসেন্ডিং(Ascending of Henle)হেনলি বলে।
(গ)দূরবর্তী সংবর্ত নালিকা(Distal Convoluted Tubule):হেনলি লুপের পরবর্তী ৫সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য পেঁচানো নালিকা এক স্তর বিশিষ্টএপিথেলিয়াল কোষ দ্বারা গঠিত।এর শেষ প্রান্ত সংগ্রাহী নালীর সাথে যুক্ত।
★গ্লোমেরিউলাসে ২৪ঘন্টায় ১৮০ লিটার উৎপাদিত মূত্র টিউবিউলাসে আসে।এখানে প্রয়োজনীয় অংশ অর্থাৎ ৯৯%উপাদান পূনঃশোষিত হয়।প্রয়োজনীয় উপাদান ও পানি পুনরায় শরীরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।।কেবল মাত্র ১/২ লিটার মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় উপাদান ও এসিড নিস্কাষণ হয়।
(৩)সংগ্রাহী নালিকা(Collecting Tubule):প্রতিটি নেফ্রনের বৃক্কীয় নালিকার(দূরবর্তী পেঁচানো নালিকা) শেষ অংশগুলি অপেক্ষাকৃত মোটা নালীকার সাথে সংযুক্ত নালী হচ্ছে সংগ্রাহী নালিকা।এই নালী মেডুলা অঞ্চলে অবস্থিত। কিছু সংখ্যক সংগ্রাহী নালী একত্রে মিলিত হয়ে বেলিনির নালী গঠন করে। বহু সংখ্যক বেলিনির নালী একত্রে মেডুলারপাপী নালীর মাধ্যমে শেষ প্রান্ত পেলভিসে যুক্ত হয়।
★দুই কিডনির নেফ্রনে প্রতি মিনিটে ১২০০মিলিমিটার রক্ত পরিশ্রুতি হওয়ার জন্য আসে।এটি হৃদযন্ত্র দ্বারা শরীরে পৌঁছানোর রক্তের ৩০%।এই ভাবে ২৪ ঘন্টায় আনুমানিক ১৭০০ লিটার রক্ত পরিশ্রুত হয়।মানবদেহের সমুদয় রক্ত দিনে ৪০বার বৃক্কের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
#নেফ্রনের বিভিন্ন অংশের কাজসমূহঃ
√ম্যালপিজিয়ান কারপাসলের অংশের কাজঃ
(ক)গ্লোমেরিউলাসের কাজ হচ্ছে রক্তের দূষিত পদার্থ পরিশ্রুতি করে।
(খ)ব্যাওম্যানের ক্যাপসুলের কাজ হচ্ছে গ্লোমেরিউলাস আবৃত করে রাখে ও রক্ত থেকে রেচন বর্জ্য পদার্থ,পানি ও পদার্থসমূহ গ্লোমেরিউলাসে পরিশ্রুত হয়ে ব্যোমান ক্যাপসুলে জমা হয়।এখান থেকে বৃক্কীয় নালীতে প্রেরন করে।
√বৃক্কীয় নালীর কাজঃ
পরিশ্রুত তরলের প্রয়োজনীয় অংশের পুনঃশোষণ।
★নিকটবর্তী সংর্বত নালির(Proximal Convoluted Tubule) কাজ হচ্ছে গ্লুকোজ, অ্যামাইনো এসিড, সোডিয়াম, ক্রিয়েটিন,সালফেট,ফসফেট ইত্যাদি বিশোষণ করে।
★হেনলি লুপের(Henle Loop)কাজ হচ্ছে পানি ও সোডিয়ামের আয়ন বিশোষণ করে।
★দূরবর্তী সংর্বত নালিকার(Distal Convoluted Tubule) কাজ হচ্ছে পানি বিশোষণে সাহায্য করে।
√সংগ্রাহী নালিকার(Collecting Tubule) কাজ হচ্ছে পরিশ্রুত তরল পুনঃশোষণের পর এই অংশে মূত্র রূপে সঞ্চিত হয় এবং মূত্রনালীতে প্রবেশ করে।
(খ)মূত্রবাহী নালীঃ ২৫সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য কিডনির হাইলাম থেকে উদ্ভাবিত ইলেস্টিক ফাইব্রাস দ্বারা গঠিত দুটো মূত্রবাহী নালী মূত্রাশয়ের সাথে সংযুক্ত।কিডনি দ্বারা সৃষ্ট মূত্র মূত্রবাহী নালীর মাধ্যমে মূত্রাশয়ে জমা হয়।
(গ)মূত্রাশয়ঃ বস্তির মধ্যে মূত্রাশয় অবস্থিত।পুরুষের সামনে বস্তির হাঁড়(সিমফিসিস পিউবিস)।তলদেশ প্রোস্টেট গ্রন্থি ও মলনালী,আর পিছনে সেক্রাম।মহিলাদের ক্ষেত্রে সামনে জরায়ু ও যোনি।মূত্রাশয়ে ৩০০ থেকে ৪০০মিলিমিটার মূত্র জমা হলে মূত্র নিস্কাষণের বেগ তৈরী হয়।
(ঘ) মৃত্রনালীঃমূত্রাশয়ের সাথে সংযুক্ত একটি নালী।মূত্রাশয়ে জমাকৃত মূত্র মৃত্রনালীর মাধ্যমে বাহিরে নিস্কাষণ করে।
#মূত্রে জৈব ও অজৈব বর্জ্য পদার্থসমূহঃ
√জৈব পদার্থসমূহঃ
(১ নাইট্রোজেন যুক্ত পদার্থঃ- ইউরিয়া অ্যামোনিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিটিনিন,হিপুরিক এসিড,এমাইনো এসিড,পিগমেন্ট ইডিকান, অ্যারোমেটিক পদার্থ।
(২)নাইট্রোজেন বিহীন পদার্থঃ- অক্সালিক এসিড,ল্যাকটিক এসিড, প্রমিটো অ্যাসোটিক এসিড, বি-হাইড্রক্সি,বিউটারিক এসিড, গ্লাইকিউকোনিক এসিড ইত্যাদি।
(৩) অন্যান্য জৈব পদার্থসমূহঃ- ইউরোক্রোম, ইউরোবি-লিন নামক রন্ঞ্জন পদার্থ,গ্লুকোজ,কার্বোনেট, বাই-কার্বোনেট এবং যুক্ত কার্বোলিক এসিড,ফ্যাটি এসিড, ক্যালসিয়াম, অ্যালবুমিন।
√অজৈব পদার্থসমূহঃ-
সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড, ফসফরাস, সালফার,নাইট্রোজেন,ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন,আয়রন, আর্সেনিক,সীসা।
জৈব ও অজৈব পদার্থসমূহ পরিমাণ অনুসারে পাওয়া যায় এবং নিঃসরণ ঘটে।
√ মূত্রে বিভিন্ন হর্মোনসমূহঃ
(১) মহিলাদের ক্ষেত্রেঃ-Estradiol, Estrone, Oestrok হতে প্রাপ্ত হর্মোন।
(২) পুরুষদের ক্ষেত্রেঃ-Testosterone, Androsterone প্রভৃতি হতে প্রাপ্ত হর্মোন।
(৩) মহিলাদের ক্ষেত্রেঃ Progesterone এবং তা থেকে প্রাপ্ত হর্মোন।
(৪) অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স থেকে প্রাপ্ত হর্মোন।
(৫) এন্টিরিয়ার পিটুইটারী থেকে ডায়াবিটোজেনিক, থাইরোট্রোপিক হর্মোন।
(৬) পোষ্টিরিয়ার পিটুইটারীর মূত্র বর্ধক নিরোধক হর্মোন।
#মূত্রগ্রন্থির যে প্রক্রিয়ায় কাজ করে।
এ বিষয় নেফ্রনের বিভিন্ন অংশে কাজে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।তারপরও কিছুটা আলোকপাত করা হল মূত্রগ্রন্থির মূলত কাজসমূহ হল পরিস্রাবণ,পুনঃশোষণ,ক্ষরণ,সংগ্রহ এবং মূত্রত্যাগ এই প্রক্রিয়ায় কাজ করে থাকে। মূত্র উৎপাদনের সমগ্র পদ্ধতি বিশ্লেষণ করলে উল্লেখিত বিষয়সমূহ পরিলক্ষিত হয়।
(১)পরিস্রাবণঃনিঃসরণ পদার্থযুক্ত রক্ত গ্লোমেরুলাসে প্রবেশ করে। এখানে কলোয়েড (আঠালো জাতীয় পদার্থ) অংশ বাদে রক্তরস পরিশ্রুতি হয় এবং বৃক্ক নালীতে প্রবেশ করে।
(২) পুনঃশোষণঃ বৃক্কনালীতে তরলের বহু উপাদান যেমন অধিকাংশ পানি, গ্লুকোজ,অ্যামাইনো এসিড এবং ইউরিক এসিড, ইউরিয়া ধাতব লবণ আংশিক ভাবে পুনঃশোষিত হয়। সালফার ও ক্রিয়েটিনিন শোষিত হয় না৷
(৩)ক্ষরণঃ বৃক্কীয় নালীকায় অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন, হিপুরিক এসিড নামক রেচন পদার্থ মূত্রের সংগে মিশ্রিত হয়।
(৪)সংগ্রহঃপরিশ্রবণ ও পুনঃশোষণের পর সংগ্রাহী নালীতে ক্ষরিত পদার্থসহ তরলসমূহ সংগৃহীত হয়।এখান হতে মূত্রবাহী নালীতে প্রবেশ করে।
(৫)মূত্রত্যাগঃ মূত্রবাহী নালীর মাধ্যমে মূত্রাশয়ে জমা হয়।প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার মূত্র মূত্রাশয়ে জমা হলে মূত্রত্যাগের বেগ হয়।ঐ সময় মূত্রাশয় পেশী সংকোচিত হয় ও মূত্রাশয় মুখের স্ফিংটার প্রসারিত হয় এবং মূত্রনালী দিয়ে বের হয়ে যায়।
# মূত্রগ্রন্থি যে সব কাজ করে থাকে তা হলঃ
(১) মূত্রগ্রন্থি রেনিন নামক এনজাইম উৎপন্ন করে যা শিরা ও ধমনীর সংকোচনের কাজ করে থাকে। যার ফলে রক্তের চাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।অর্থাৎ রক্তে চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।
(২) মূত্রগ্রন্থি পানির ভারসাম্য এবং রক্ত ও রক্ত রসের পরিমাণ নির্দিষ্ট সীমানায় রাখতে সাহায্য করে থাকে।
(৩) মূত্রগ্রন্থি এরিথ্রোপোরেটিন নামক হরমোন উৎপন্নের মাধ্যমে লোহিত কণিকা উৎপাদনের জন্য অস্থিমজ্জাকে উদ্দীপিত করে থাকে।
(৪) মূত্রগ্রন্থি এসিড ও ক্ষারের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় রক্তে PH অর্থাৎ হাইড্রোজেন আয়ন অপরিবাহিত রাখে।
(৫) অস্থির গুনাগত মান বজায় রাখার জন্য মূত্রগ্রন্থি ভিটামিন ‘ডি’ কে সক্রিয় রূপে সৃষ্টিতে কাজ করে থাকে।
(৬) মূত্রগ্রন্থি রক্ত ও কলার কোষের মধ্যেকার অভিশ্রবণজনিত চাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
(৭) মূত্রগ্রন্থি (গ্লোমেরুলস) রক্তের প্রোটিন অর্থাৎ অ্যালবুমিন ধারণ করে।যা শরীরের ফ্লুইড স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে।
(৮) মূত্রগ্রন্থি রেনিন নামক হর্মোণ উৎপন্ন করে থাকে। যা রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।
★ যে সব রোগ বা কারণসমূহ মূত্রগ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাহলঃ
(১) অটোইমিউন বিপর্যয় যেমনঃ
(ক) Systemic Lupus Erythematosus (SLE)
(খ) Scleroderma (চামড়ার উপর শোথ,ছোট ছোট ফোঁসকা,পাঁচড়া যা চর্ম এবং কানেকটিভ কলার উপর আক্রান্ত হয়।
(২) জন্মগত মূত্রগ্রন্থির সমস্যা (আকার ও আকৃতি সমস্যা) থাকে। যাকে পলিস্টিটিক মূত্রগ্রন্থির রোগ বলা হয়।
(৩) মূত্রগ্রন্থি উপঘাত বা আঘাত।
(৪) ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ।
(৫) মূত্রগ্রন্থির সংশ্লিষ্ট শিরার রক্ত জমাট বাধার কারণে প্রতিবন্ধকতা।
(৬)মূত্রবাহী নালীর প্রতিবন্ধকতা।
(৭) অ্যামাইলোডোসিস (Amyloidosis): এমাইলয়েড প্রোটিন মূত্রগ্রন্থিতে বেশী জমা হলে।
(৮) ডায়াবেটিক মেলিটাস রোগ।
(৯) প্রস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধি।
(১০) কিডনীতে পাথর জমা।
(১১) উচ্চ রক্তচাপ।
(১২) প্রধানতঃ কিছু ঔষধ সেবনজনিত সমস্যা যেমন- ব্যাথা নাশক ও ক্যান্সার নিয়ন্ত্রক ঔষধসমূহ।
(১৩) মূত্রথলিতে ক্যান্সারজনিত কারণে মূত্র প্রবাহ বাধাগ্রন্ত হওয়া।
(১৪) স্যাভাইক্যাল ক্যান্সারজনিত কারণে মূত্র প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়া।
(১৫) কোলন ক্যান্সারজনিত কারণে মূত্র প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়া।
(১৬) মূত্রথলি / মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রক স্নায়ুর বিপর্যয়জনিত।
(১৭) পরিবেশ থেকে সৃষ্ট রাসায়নিক উপাদান (খাদ্য, পানি ও বায়ুর মাধ্যমে শরীর অভ্যন্তরে প্রবিষ্ট হয়েছে)।
(১৮)ঔষধ সেবনজনিত দূষণ উপাদান (প্রদাহনাশক, এন্টিবায়োটিক,অবসাদ দূরকরণ ও হর্মোন ঔষধ)।
(১৯)শোধিত কার্বোহাইড্রেট,রং করা, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য-শস্য গ্রহণজনিত দূষণ উপাদান।
(২০)মাদক দ্রব্য সেবনজনিত দূষণ উপাদান।
(২১)খাদ্য বিপাক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বিভিন্ন জৈব ও অজৈব রাসায়নিক উপাদানসমূহ।
(২২)ইমিউন পদ্ধতির বিপর্যয়।
# মূত্রতন্ত্রের বিপর্যয়জনিত বিভিন্ন রোগসমূহঃ
(৫)
# মূত্রতন্ত্রের বিপর্যয়জনিত বিভিন্ন রোগসমূহঃ
(১) Glomerulonephritis.
(২) Alport Syndrome.
(৩) Fabry Disease.
(৪)Wilms smcm Tumar.
(৪) Kidney Stone.
(৬) Polycystic Kidney Disease.
(৭) Kidney Cancer.
(৮)Hydronephrosis.
(৯)Urinary Tract Infection Disease:
(ক)Pyelonephritis(কিডনীর নেফ্রনের প্রদাহ)
(খ) Cystitis(মূত্রাশয়ের প্রদাহ)
(গ)Urethritis(মূত্রনালীর প্রদাহ)
#মূত্রতন্ত্রের বিভিন্ন অংশের রোগসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাঃ
(১) Glomerulonephritis:মূত্রগ্রন্থির রক্ত প্রবাহ কৈশিক জালিকাসমূহ যারা রক্ত ছাকনি এবং মূত্র উৎপাদনের কাজ করে থাকে এদের বলা হয় গ্লোমেরিউল। এর প্রদাহের নাম গ্লোমেরিউলোনেফ্রাইটিস।
√ সাধারণ প্রদাহের ফলাফল অনুযায়ী এর প্রকার রূপ হলঃ-
(১) Nephrotic Syndrome.
(২) Nephritic Syndrome.
(১) Nephrotic Syndrome : গ্লোমেবিউলের কোষের আবরণের ভিতরের ত্বকের কোষ (Podocytes) প্রদাহিত হলে তাকে বলা হয় নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম।নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম উল্লেখযোগ্য তিনরূপে বা আকারে গ্লোমেরিউলের প্রদাহ সৃষ্টি করে থাকে।
(ক) Mimimal Change Glomerulonephritis: ১৮ মাস থেকে ৪ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের এই ধরনের গ্লোমেরিউলাসের প্রদাহ দেখা দেয়।গ্লোমেরিউলাসের কোষের আস্তারণের কিছু অংশ কৃশতা বা পাতলা দেখা যায়। এই পরিবর্তন মাইক্রোস্কোপিতে পরিলক্ষিত হয় না।
(খ) Focgal Segmental Glomerulonephritis: গ্লোমেরিউলাসের (কিডনিকোষ) কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত আচড়ের মত দাগ দেখা যায় ।
(গ) Membranous Glomerulonephritis: গ্লোমেরিউলাসের (কিডনীকোষ)আবরণ ঝিল্লির ঘনত্ব বা পুরু দেখা যায়।৩৫-৪০ বছর বয়সে দেখা যায়। ধীর প্রক্রিয়ায় বিকাশ লাভ করে।
(২) Nephritic Syndrome:গ্লোমেরিউলাসের কোষের আবরণের ভিতরের ত্বকের কোষ (Podocytc) বড় ধরনের ক্ষত বৃদ্ধি দেখা দেয়। নেফ্রাইটিক সিন্ড্রোম হল বিভিন্ন রোগ এবং সংক্রামক জনিত কারণে সৃষ্ট গ্লোমেরিউলাসের প্রদাহ।
(ক) Post Streptococcal Glomerulonephritis:
পোস্ট স্ট্রেপটোকক্কাল গ্লোমেরিউল নেফ্রাইটিস হল স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া কর্তৃক শরীরে বিভিন্ন অংশ সংক্রামিত (যেমন চর্ম এবং গলকক্ষ) হওয়া পর পরবর্তীতে গ্লোমেরিউলাসের প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
(খ) Membranoproliferative Glomerulonephritis:
গ্লোমেরিউলাসের তলদেশের আবরণ / মেমব্রনে ঘনীভূত এবং মেমব্রেন কোষের বৃদ্ধি।
√কারণঃ-
★ লুপাস ইরিথেমেটাস (এক প্রকার বিশেষ চর্ম রোগ)।
★ হেপাটাইটিস ‘বি’ এবং ‘সি’।
(গ) Rapidly Progressive Glomerulonephritis:
√কারণসমূহঃ
★ Good pastures Syndrome (ইমিউন পদ্ধতির বিপর্যয়জনিত কারণে যখন ইমিউন পদ্ধতি মূত্রগ্রন্থি ও ফুসফুসের কোষসমূহ আক্রান্ত করে কার্যকরী ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়)।
★ Vasculitic Disorder( মূত্রগ্রন্থির রক্ত সংবহনালী অটোইমিউন বিপর্যয় জনিত কারণে ইমিউন পদ্ধতি দ্বারা আক্রান্ত হলে রক্ত প্রবাহ পথ বন্ধ হয়ে যায়।
(ঘ) IgA, Nephropathy(Begrer’s Disease)- ইমিউনোগ্লোবিউলিন হল প্রোটিন উপাদান থাকে যাকে এন্টিবডি বলা হয়। যা এন্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে।Begrer’s Disease ফলে প্রোটিন উপাদান গ্লোমেরিউলাসে জমা হয়।এর ফলে গ্লোমেরিউলাসের প্রদাহ এবং বিপর্যয় দেখা দেয়। প্রস্রাবের সাথে রক্ত নিঃসরণ ঘটে। IgA, Nephropathy (Begrer’s Disease) রূপ বা প্রকৃতি হল Mesangial Proliferative Glomerulonephritis.
(৪)Fabry Disease:
ফেব্রাই রোগ হল বংশগত আলফা গ্যালাষ্টোসাইডেজ এনজাইমের অভাবজনিত রোগ।এই এনজাইম চর্বি উপাদান ভাঙ্গার কাজ করে। এর অভাব হলে চর্বি উপাদান ভাঙ্গে না যার ফলে এই সব উপাদান মূত্রগ্রন্থির গ্লোমেরিউলের ভিতরে জমা হয় এবং নেফ্রন প্রবাহ পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। বেশীরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে প্রস্রাবে প্রোটিন ও রক্ত দেখা যায়।
(৫) Kidney Stone(মূত্র পাথরীঃ
মূত্রগ্রন্থিতে ৪ ধরনের পাথর দেখা যায়।
(ক) ক্যালসিয়াম মিশ্রিত পদার্থ।
√ ক্যালসিয়াম ফসফেট যৌগ পাথর।
√ক্যালসিয়াম অক্সালেট যৌগ পাথর।
(খ) Uric Acid Stone(ইউরিক এসিড পাথর) প্রাণীজ প্রোটিন বিপাকে প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট যে টক্সিন উৎপন্ন হয় তা ইউরিক এসিড পাথর।
(গ) Struvite Stone:কিডনী বা মূত্রতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে বারবার জীবানু সংক্রামক জনিত কারণে মূত্রগ্রন্থিতে যে পাথর সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় Stuvite বা Staghorn Calculi.এই পাথর সব চেয়ে বড় হয়।.
(২) Alport Syndrome.
(৩) Fabry Disease.
(৪)Wilms smcm Tumar.
(৪) Kidney Stone.
(৬) Polycystic Kidney Disease.
(৭) Kidney Cancer.
(৮)Hydronephrosis.
(৯)Urinary Tract Infection Disease:
(ক)Pyelonephritis(কিডনীর নেফ্রনের প্রদাহ)
(খ) Cystitis(মূত্রাশয়ের প্রদাহ)
(গ)Urethritis(মূত্রনালীর প্রদাহ)
#মূত্রতন্ত্রের বিভিন্ন অংশের রোগসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাঃ
(১) Glomerulone
মূত্রগ্রন্থির রক্ত প্রবাহ কৈশিক জালিকাসমূহ যারা রক্ত ছাকনি এবং মূত্র উৎপাদনের কাজ করে থাকে এদের বলা হয় গ্লোমেরিউল। এর প্রদাহের নাম গ্লোমেরিউলোনেফ্রাইটিস।
√ সাধারণ প্রদাহের ফলাফল অনুযায়ী এর প্রকার রূপ হলঃ-
(১) Nephrotic Syndrome.
(২) Nephritic Syndrome.
(১) Nephrotic Syndrome : গ্লোমেবিউলের কোষের আবরণের ভিতরের ত্বকের কোষ (Podocytes) প্রদাহিত হলে তাকে বলা হয় নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম।নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম উল্লেখযোগ্য তিনরূপে বা আকারে গ্লোমেরিউলের প্রদাহ সৃষ্টি করে থাকে।
(ক) Mimimal Change Glomerulonephritis: ১৮ মাস থেকে ৪ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের এই ধরনের গ্লোমেরিউলাসের প্রদাহ দেখা দেয়।গ্লোমেরিউলাসের কোষের আস্তারণের কিছু অংশ কৃশতা বা পাতলা দেখা যায়। এই পরিবর্তন মাইক্রোস্কোপিতে পরিলক্ষিত হয় না।
(খ) Focgal Segmental Glomerulonephritis: গ্লোমেরিউলাসের (কিডনিকোষ) কিছু অংশে বিক্ষিপ্ত আচড়ের মত দাগ দেখা যায় ।
(গ) Membranous Glomerulonephritis: গ্লোমেরিউলাসের (কিডনীকোষ)
আবরণ ঝিল্লির ঘনত্ব বা পুরু দেখা যায়।৩৫-৪০ বছর বয়সে দেখা যায়। ধীর প্রক্রিয়ায় বিকাশ লাভ করে।
(২) Nephritic Syndrome:
গ্লোমেরিউলাসের কোষের আবরণের ভিতরের ত্বকের কোষ (Podocytc) বড় ধরনের ক্ষত বৃদ্ধি দেখা দেয়। নেফ্রাইটিক সিন্ড্রোম হল বিভিন্ন রোগ এবং সংক্রামক জনিত কারণে সৃষ্ট গ্লোমেরিউলাসের প্রদাহ।
(ক) Post Streptococcal Glomerulonephritis:
পোস্ট স্ট্রেপটোকক্কাল গ্লোমেরিউল নেফ্রাইটিস হল স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া কর্তৃক শরীরে বিভিন্ন অংশ সংক্রামিত (যেমন চর্ম এবং গলকক্ষ) হওয়া পর পরবর্তীতে গ্লোমেরিউলাসের প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
(খ) Membranoproliferative Glomerulonephritis:
গ্লোমেরিউলাসের তলদেশের আবরণ / মেমব্রনে ঘনীভূত এবং মেমব্রেন কোষের বৃদ্ধি।
√কারণঃ- ★ লুপাস ইরিথেমেটাস (এক প্রকার বিশেষ চর্ম রোগ)।
★ হেপাটাইটিস ‘বি’ এবং ‘সি’।
(গ) Rapidly Progressive Glomerulonephritis:
√কারণসমূহঃ
★ Good pastures Syndrome (ইমিউন পদ্ধতির বিপর্যয়জনিত কারণে যখন ইমিউন পদ্ধতি মূত্রগ্রন্থি ও ফুসফুসের কোষসমূহ আক্রান্ত করে কার্যকরী ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়)।
★ Vasculitic Disorder( মূত্রগ্রন্থির রক্ত সংবহনালী অটোইমিউন বিপর্যয় জনিত কারণে ইমিউন পদ্ধতি দ্বারা আক্রান্ত হলে রক্ত প্রবাহ পথ বন্ধ হয়ে যায়।
(ঘ) IgA, Nephropathy(Begrer’s Disease)- ইমিউনোগ্লোবিউলিন হল প্রোটিন উপাদান থাকে যাকে এন্টিবডি বলা হয়। যা এন্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে।Begrer’s Disease ফলে প্রোটিন উপাদান গ্লোমেরিউলাসে জমা হয়।এর ফলে গ্লোমেরিউলাসের প্রদাহ এবং বিপর্যয় দেখা দেয়। প্রস্রাবের সাথে রক্ত নিঃসরণ ঘটে। IgA, Nephropathy (Begrer’s Disease) রূপ বা প্রকৃতি হল Mesangial Proliferative Glomerulonephritis.
(৪)Fabry Disease:
ফেব্রাই রোগ হল বংশগত আলফা গ্যালাষ্টোসাইডেজ এনজাইমের
অভাবজনিত রোগ। এই এনজাইম চর্বি উপাদান ভাঙ্গার কাজ করে। এর অভাব হলে চর্বি উপাদান ভাঙ্গে না যার ফলে এই সব উপাদান মূত্রগ্রন্থির গ্লোমেরিউলের ভিতরে জমা হয় এবং নেফ্রন প্রবাহ পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। বেশীরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে প্রস্রাবে প্রোটিন ও রক্ত দেখা যায়।
(৫) Kidney Stone(মূত্র পাথরীঃ
মূত্রগ্রন্থিতে ৪ ধরনের পাথর দেখা যায়।
(ক) ক্যালসিয়াম মিশ্রিত পদার্থ।
√ ক্যালসিয়াম ফসফেট যৌগ পাথর।
√ক্যালসিয়াম অক্সালেট যৌগ পাথর।
(খ) Uric Acid Stone(ইউরিক এসিড পাথর) প্রাণীজ প্রোটিন বিপাকে প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট যে টক্সিন উৎপন্ন হয় তা ইউরিক এসিড পাথর।
(গ) Struvite Stone:কিডনী বা মূত্রতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে বারবার জীবানু সংক্রামক জনিত কারণে মূত্রগ্রন্থিতে যে পাথর সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় Stuvite বা Staghorn Calculi.এই পাথর সব চেয়ে বড় হয়।
(ঘ) Cystine Kidney Stone (সিস্টিন মূত্র পাথরী)সিস্টিন হচ্ছে অ্যামাইনো এসিড।সিস্টিন মানব শরীরে দ্রবীভূত না হয়ে মূত্রতন্ত্র দিয়ে বের হয়ে যায়। কিন্তু মূত্রগ্রন্থিতে এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে সিস্টিন উপাদান পাথর সৃষ্টি করে। যাকে বলা হয় সিস্টিন পাথর। এই সিস্টিন পাথর জনিত রোগ হল বংশগত বা জন্মগত রোগ।
(৬) Polycystic Kidney Desease: মূত্রগ্রন্থিতে ফ্লুইড পূর্ণ থলি হচ্ছে পলিস্টিক মূত্রগ্রন্থি রোগ। এই রোগ হচ্ছে বংশগত বা জন্মগত মূত্রগ্রন্থি রোগ।
#মূত্রগ্রন্থি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণসমূহঃ
(১) ক্ষুধাহীনতা।
(২) সাধারণ অসুস্থতা বোধ যেমন ক্লান্তি বোধ।
(৩) মাথা ব্যাথা।
(৪) শুষ্ক চর্ম এবং চুলকনা।
(৫) বমিবমি ভাব।
(৬)ওজন কমে যাওয়া (ওজন কমানো ঔষধ সেবন ব্যতীত) ।
#মূত্রতন্ত্রের বিপর্যয়ের অন্যান্য সাধারণ লক্ষণসমূহঃ
(১) উদরের আক্ষেপিক টান।
(২)রক্তাক্ত বা ফেকাসে রক্ত রংয়ের মূত্র।
(৩)ধূসর বর্নের প্রস্রাব।
(৪)অনাবরত প্রস্রাব
(৫)সহবাসের সময় বেদনা।
(৬)প্রস্রাব ত্যাগকালীন জ্বালা বেদনা।
(৭)হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া।
(৮)proteinuria-প্রস্রাবে প্রোটিনের মান বৃদ্ধি।
(৯)Polyuria-Polyuria-অতিরিক্ত প্রস্রাব উৎপাদন।
(১০)Olyguria-প্রস্রাব উৎপাদন কম।
# মূত্রগ্রন্থি অধিকতর অসুস্থ পর্যায়ের লক্ষণসমূহঃ
(১) অস্থি বেদনা।
(২) অস্বাভাবিক কালো বা শ্বেতাভা চর্ম।
(৩) তন্দ্রাচ্ছন্নভাব।
(৪) পেশীর আক্ষেপ।
(৫) শ্বাস-প্রশ্বাসে দূর্গন্ধ।
(৬) মলে রক্ত।
(৭) অতিরিক্ত পিপাসা।
(৮) অবিরত হিক্কা বা হেঁচকি।
(৯) জনন ক্রিয়ার সমস্যা।
(১০)ঋতুচক্র বন্ধ।
(১১) নিদ্রার সমস্যা।
(১২) প্রায় সময় সকালে বমি।
(১৩) পায়ের পাতা ও হাত ফুলে যাওয়া এবং অবসতা বোধ।
#মূত্রগ্রন্থি রোগ সম্ভাব্য যে সব জটিলতার সৃষ্টি করে তা হলঃ-
(১) রক্তশূন্যতা।
(২) অন্ত্র ও পাকস্থলী থেকে রক্তপাত।
(৩) অস্থি,সন্ধি,পেশীতে যন্ত্রণা।
(৪) রক্তে সুগারের মানের পরিবর্তন।
(৫) বাহু ও পায়ের স্নায়ুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
(৬) স্মৃতি ভ্রংশ বা বুদ্ধিবৈকল্য।
(৭) ফুসফুসে ফ্লুইড বা পানি বৃদ্ধি পায়
(৮) করোনারী ধমনীর রোগ।
(৯) পেরিকার্ডাইটিস।
(১০) উচ্চ রক্তচাপ।
(১১) কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর (এক প্রকার বিশেষ অবস্থা এক্ষেত্রে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়,শোথ ও তৎসহ ফুসফুসে রক্ত সঞ্চয় ঘটে থাকে)।
(১২) ফসফরাসের মান বৃদ্ধি।
(১৩) পটাসিয়ামের মান বৃদ্ধি।
(১৪) প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির বিবৃদ্ধ।
(১৫) সংক্রামণ রোগের ঝুকি বৃদ্ধি।
(১৬) অপুষ্টি।
(১৭) গর্ভপাত।
(১৮) বন্ধ্যাত্ব।
(১৯) কোন রোগের হঠাৎ আক্রমণ।
(২০) শোথ।
(২১) অস্থির দূর্বলতা এবং কোষ ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
(২২) এলার্জি প্রতিক্রিয়া।
(২৩) সমগ্র শরীরে আগুনের মত জ্বালা।
(২৪) রক্ত ও ফ্লুইড কমে যাওয়া।
(২৫) তীব্র ফ্লুইডের সংকট।
(২৬) যকৃত ক্ষতিগ্রস্থের কারণে কার্যকরী শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
#মূত্রগ্রন্থি রোগের পরীক্ষাসমূহঃ
√ মূত্রগ্রন্থি রোগের প্রাথমিক পরীক্ষাসমূহঃ
(১) Urinalysis
(২) Serum Protein
(৩)Serum Creatinine
(৪)Serum BUN.
√মূত্রতন্ত্রে সংক্রমণ নির্ণয় পরীক্ষাঃ
(১)C/S for Urine.
(২)C/S for Blood.
√ কিডনী অধিকতর অসুস্থ পর্যায় হলেঃ
(১) Serum Albumin.
(২) Scrum Calcium.
(৩) Serum Cholesteral.
(৪)Serum Electrotyle.
(৫) CBC.
√Type of Kidney:
(১)CT Scan of Abdomen.
(২)MRI of the Abdomen.
(৩) USG of the Abdomen.
√কিডনির ক্যান্সার নির্ণয় পরীক্ষাঃ
(১) Kidney Biospy.
#মূত্রগ্রন্থির বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য যে সব বিষয়সমূহের উপর গুরুত্ব আরোপ প্রযোজ্যঃ
(১) Anti-Lithic (Stone Breaking)- পাথর নাশ বা ধ্বংস করা।
(২) Diuretic (Water Removing)- মূত্র অপসারণ করা।
(৩) Antiseptic(Infection killing)- সংক্রামক জীবাণু ধ্বংস করা।
(৪) Anti-Nephrotoxic-মুত্রগ্রন্থি কোষের ক্ষতিকারক টক্সিন নিস্ক্রিয়করন করা।
(৫) Anti-Hepatotoxic-যকৃত কোষ ধ্বংসকারী দূষণ উপাদান নিস্ক্রিয় করা।
(৬) Anti- Inflamantory : মূত্রগ্রন্থি কলার(টিস্যু)প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করা।
(৭) মূত্রযন্ত্রের টিস্যুর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার কাজ করতে সাহায্য করা।
#মূত্রগ্রন্থি বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য করনীয় বিষয়সমূহের উপর গুরুত্ব আরোপের ভিত্তিতে প্রায়োগিক উদ্ভিদজাত ঔষধসমূহঃ
√টক্সিন নিস্ক্রিয়করন ও পাথর অপসারণে মূত্র প্রবাহ বৃদ্ধিতে


সবচেয়ে কার্যকর (Most Effective) প্রায়োগিক উদ্ভিদজাত ঔষধসমূহঃ
(১)APIUM GRAVEOLENS
(অপিয়াম গ্রাভিওলেন্স)
#Botanical Name:
Apium Graveolens
#Common Name:
Celery Root,Accia,Ajavana,
Ajumoda,Bhutghata.
*****************************
#এই ভেষজের গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Carbohydrates.
√Flavonoids.
√Alkaloids.
√Steroids
√Glycosides.
√Phenols
√Furocoumarins.
√Volatile oils.
√Sesquiterpene Alcohols.
√Omega 6 Fatty acids.
√Amino Acid.
√Linoleic Acid.
√Minarel:Magnesium,
Sodium,Iron,Phosphorus,
Coper,Boron,Sulpher,Zinc,
Selenium,Manganese.
√Vitamins:Folate,A,B,B2,B3,B12,C,E,K
#সবচেয়ে পুষ্টি উপাদানঃ
Magnesium,Sodium,
Vitamin K.
(২)EQUISETUM HYMALE
(ইকুইসেটাম হাইমেল)
#Botanical Name :
Equisetum Arvense.
#Common Name :
Scouring Rush,Horsetail,Shavegrass.
***************************
#এই ভেষজের গাঠনিক সক্রিয় রাসায়নিক ও পুষ্টি উপাদানসমূহঃ
√ Alkaloids such as Nicotine,Palustrinine,Palustrine.
√ Flavonoids.
√ Phenol.
√ Phytosterol.
√ Saponins.
√ Sterols.
√ Silicic Acid & Silicates.
√ Tannin
√ Triterpenoids.
√ Volatile.
√ Minarels : Calcium, Potassium,Aluminium, Sulphur, Phosphorus, Sodium, Zinc, Magnesium, Manganese.
(৩)PETROSELINUM CRISPUM
পেট্রোসেলিনাম ক্রিস্পাম)
******************************
# এই ভেষজের গাঠনিক পুষ্টি ও রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√ Vitamin-A, B2, B3,B5,B6,D,E,K,B Complex.
√ Minarels-Iron, Calcium, Magnesium, Posphorus, Potasium, Sodium, Selenium, Copper, Sodium,. Manganese,Cobalt,Silicon,Zinc.Sulfur.
√ Beta Carotine.
√chlorophyll
√ Alfa-Carotine.
√ Chlonine.
√Protien.
√ Carbohydrate.
√ Dietary Fiber.
√ Starch.
√Coenzyme Q 10
★রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Mucilage.
√ Apiin.
√Volatile Oil.
√Kaemphferol.
√Bergaten.
√Caffeic Acid.
√Chlorogenic Acid.
√ Lutein.
√ Myristicin.
√Rosmarinic Acid.
√ Geraniol.
√Sesquiterpenes.
√Quercetin.
(৪) URTICA URENS
(আর্টিকা ইউরেন্স)
#Botanical Name :
URTICA URENS
#Common Name: Annual Nettle,Dwarf Nettle,Small Nettle,Dog Nettle,Burning Nettle.
********************************
# এই ভেষজের গাঠনিক রাসায়নিক ও পুষ্টি উপাদানসমূহঃ
√ Minerals: Potasium, Selenium, Silicon, Sulfur, Iron, Sodium,Iodine,Phosphorus,Calcium, Magnesium, Iron,Iodine, Choromium, Boron,Coper,Supher,Zinc
√ Vitamins:Folate,Vitamin A,B2,B3,B5, B6, B12,C,D, E,K,
# অন্যান্য পুষ্টি উপাদানসমূহঃ
√প্রোটিন – ২২%,
√ফ্যাট – ৪℅,
√ফাইবার – ৯ – ২১℅,
√ অ্যাশ – ১৯ – ২৯%,
√ক্লোরোফিল – ৪.৮মিঃগ্রাঃ
# রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Quercetin
√Kaempferal
√ Rutin.
√ Quinic Acids.
√ Caffeic Acids.
√ Choline.
√Lecithin.
# মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণজনিত (পাইলোনেফ্রাটিস,সিস্টাইটিস ও মূত্রনালীর প্রদাহ) রোগ নিয়ন্ত্রণ বা নিরাময়ে সবচেয়ে কার্যকর (Most Effective) উদ্ভিদজাত ঔষধসমূহঃ
(১)Chimaphila Umbellata
(চিমাফিলা আমবেলেটা)
#Botanical Name:
Chimaphila Umbellata, Chimaphila Maculata, Orthosiphon Aristatus,Pyrola Rotundifolia.
#Common Name:
Pipsissewa,Prince’s Pine,Ground Holly,Wintergreen
*******************************
#এই ভেষজের গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Arbutin.
√Glycosides.
√Flavonoids.
√Hydroquinone
√Sitosterol.
√Tritepenes
√Ursolic Acid.
√ Tannin.
(২)Solidago Virgaurea
(সলিডাগো ভারগাউরিয়া)
# Botanical Name:
Solidago Virgaurea
# Common Name:
Himalayan Goldenrod, EuropeanGoldenrod, Woundwort.
******************************
#এই ভেষজের গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Phenol Glycosides.
√Flavonoids (Quercetin, Hyperoside, Astragalin and Kaempferol)
√Phenolic Acids(Chlorogenic Acid and Virgaureoside A).
√Diterpenes
√Triterpenoid Saponins.
√Essential Oil
√Anthocyanins.
√ Tannin
√Resins.
√Polysaccrides
√Volatile Oil.
√Sesquiterpens.
√Rutin.
√ Sugar.
√Vitamin C.
(৩)UVA URS (ইউভা উর্সি)
#Botanical Name
Arctostaphylos Uva Ursi
#Common Name :
Bearberry,Crowberry, Kinnikinnik, Pinemat Manzanita.
——————————————-
#এই ভেষজে গঠিত রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Steroid,Sitosterol & Triterpenoids এদের উপাদানসমূহ হল- Amyrin,Betulinic Acids,Lupeol,Oleanolic Acid, Taraxenol,Ursolic Aci & Uvaol.
√প্রধান রাসায়নিক উপাদানঃ- Glucoside যাকে বলা হয় Arbutin
√অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ-
★Methylarbutin.
★Ericolin.
★Ursone.
★Gallic Acid.
★Ellagic Acid.
(৪)ALLIUM SATIVUM
(এলিয়াম স্যাটাইভাম)
# Botanical Name :
ALLIUM SATIVUM
#Common Name:
Garlic, Poor Man’s Treacle, Bauang,Bawang.
——————————————
# এই ভেষজের গঠিত রাসায়নিক ও পুষ্টি উপাদানসমূহঃ
√33 Sulfur Compounds ( Aliin,Allicin,Ajoene, Allylpropyl,Disulfide,Diallyl Trisulfide,Sallylcysteine, Vinyldithiines,
S-Allylmercaptocystein, and others).
√ Several Enzymes (Allinase,Peroxidases, Myrosinase,& Others)
√17 Amino Acids(Arginine & others)
√ Saponin.
√ Anthocyanin.
√ Quercetin.
√ Volatile Oil.
√ Minerals : Iron, Manganese,Phosphorus,
Sulfur,Sodium,Selenium, Potassium, Magnesium, Copper,Zinc,Calcium.
√ Vitamins : Vitamins- A,B1, B2,B3,B5,B6,B12,C,E,K, Folate,Folic Acid.
(৫)THUJA OCCIDENTALIS
( থুজা অক্সিডেন্টালিস)
√ Botanical name:
Thuja Occidentalis
√Common name:
American Arborvitae,Eastern Arborvitae,Eastern White-Ceder,Northern White-Ceder,
——————————————–
#Thuja Occidentalis এই ভেষজে গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃথুজার প্রয়োজনীয় প্রধান তৈল জাতীয় উপাদান হচ্ছেঃ Alpha Thujone,Beta Thujone,Alpha Pinene, Bornyl Acetate,Camphene, Camphene Delta
# বর্তমান গবেষণায় থুজা অক্সিডেন্টালে যে সব রাসায়নিক উপাদানসমূহ পাওয়া গেছে তাহলঃ
★ Polysaccharides
★ Flavonoids
★Tannins and Protein
(৬)HYDRASTIS CANADENSIS(হাইড্রাস্টিস ক্যানাডেন্সিস)
√Botanical Name:
Hydrastis Canadensis
√Synonyms Name:(সমার্থক নাম):Goldenseal,Yellow Root,Eye Root,Wild Curcuma,Ground Raspbery, Yellow Puccon,Turmeric Root,
√Family:N.O.Ranonculace
*******************************
#গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Isoquinolin Alkoid Including Hydrastine (1.5-5%),Berberine(0.5-6%),Canadine(Tetrahydroberberine 0.5-1.0%), Resin,Cholorogenic Acid, Fatty Acid.
★ভেষজে ধারনকৃত পুষ্টি উপাদান উপাদানসমূহঃ আয়রন,কপার,জিঙ্ক,ম্যাগনেসিয়াম কোবাল্ট, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন- এ,সি,ই, বি-কমপ্লেক্স (বি১,বি৩ এফ,বি২),বিটাকেরাটিন।
(৭)BERBERIS AQUIFOLIUM
( বার্বেরিস একুইফোলিয়াম)
# Botanical Name :
Mahoni Aquifolium
#Common Name :
Oregon Grape, Berberis Nervosa,Holly Mahonia, Mountain Grape,Oregon Mountain,Wild Oregon Grape.
****************************
# এই ভেষজের গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ √Isoquinolin Alkaloids: (Berberine, Berbamine, Oxyacathine, Herbamine)
√ Tannins
√ Minerals : Copper, Sodium,Silicon,Zinc.
√ Vitamin,: Vitamin C.
,”বীর্যহীন পুরুষ তেল বিহীন প্রদীপের ন্যায়” হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে কল করুন
ডাঃআদনান সামী কে,অনলাইনে সেবাই আমরাই এগিয়ে, আমাদের চেম্বারে আসতে পারেন সরাসরি
,Germany homoeo Medicine,
আপনি কুরিয়ার যোগে চিকিৎসা নিতে পারেন,আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
Www//: amarhomoeo.com সরাসরি কথা বলুন
ডাঃ আদনান সামি এবং
ডাঃরেজমিনা আক্তার রাখির সাথে,
আমাদের চেম্বারের ঠিকানা,
সৈয়দ হোমিও হল, আলিয়া মাদ্রাসা মার্কেট, শেরপুর,বগুড়া।
01797152527,01934981471,
01721418696.