Hirsutism( মহিলাদের শরীরে অবাঞ্ছিত লোম) নিরাময়ে খাদ্য উপাদানসমূহঃ-
******************************************
★ মহিলাদের মধ্যে ভারসাম্যহীন হরমোনের জেরে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। হরমোন জীবন ও জীবনযাত্রার উন্নতিতে অনেক সাহায্য করে। কর্মব্যস্ত ও ব্যাস্ত জীবনে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওজন বৃদ্ধির কারণ খাবারের পরিমাণ নয়। আপনার Hormone Imbalance -এর অভাব। ওজন বৃদ্ধির ৯৯ শতাংশ কারণ হল হরমোনগত। সেক্ষেত্রে অবসাদ, যৌনতা সম্পর্কে উদাসীনতা-এসবের পিছনেই এই Hormone Imbalance কাজ করে। মহিলাদের ভারসাম্যহীন হরমোনের সমস্যা বেশি থাকে, যার কারণে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। তাই মহিলাদের হরমোনের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।
√ এই পাঁচটি বীজ সম্পর্কে হরমোনের বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও অন্যান্য খাবার যুক্ত রয়েছে তা উল্লেখ করা হলোঃ-
★চিয়া বীজ: চিয়া বীজ হল ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ একটি বীজ, যা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। মহিলাদের মধ্যে পিরিয়ডের আগে শরীরে দেখা যায়, এমন লক্ষণগুলির চিকিৎসা করতে চিয়া বীজ গুরুত্বপূর্ণ। এই বীজগুলো জলে ভিজিয়ে ব্যবহার কর যায়। ফলের সঙ্গে এই বীজ খাওয়াও উপকারী।
★তিল বীজ: ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এই বীজগুলিকে শাকসবজি, চাটনি এবং লাড্ডুতে যোগ করে বা ময়দায় সঙ্গে গুঁড়ো করে খাওয়া যেতে পারে।
★সরিষা বীজ: সূর্যমুখী বীজ ভিটামিন ই এবং সেলেনিয়ামের একটি ভাল উৎস যা প্রোজেস্টেরন হরমোনকে বাড়িয়ে তুলতে কার্যকর প্রমাণিত হয়। আপনি এই বীজগুলিকে জলে ভিজিয়ে এবং ফলের সঙ্গে খেতে পারেন। দইয়ের সঙ্গে মিশিয়েও এই বীজ খাওয়া যেতে পারে।
★কুমড়োর বীজ: কুমড়োর বীজ ওমেগা ৩, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ। আপনি স্যালাডে যোগ করে কুমড়োর বীজ খেতে পারেন। এ ছাড়া এই বীজ আপনি ফলের সঙ্গে খেতে পারেন। কুমড়ার বীজের মাখন বানিয়েও খেতে পারেন। শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিক রাখতে হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে যে রাসায়নিক বের হয়, তা রক্তের মাধ্যমে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নানা বার্তা পৌঁছে দেয়। তার ফলে আমাদের খিদে পায়, ঘুম হয়, ত্বক সুন্দর থাকে, মন ফুরফুরে থাকে। প্রজনন ক্ষমতা ঠিক থাকার পেছনেও রয়েছে হরমোনের প্রভাব। এই হরমোনের
ভারসাম্যহীনতায় মানসিক, শারীরিকসহ সব ধরনের অসুখ হতে পারে। তাই দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই জরুরি। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন কিছু খাবার।
১. হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে খান প্রোটিন জাতীয় খাবার। মাংস, মাছ, ডিম, দুধ হাইপ্রোটিনের উৎস। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব খাবার রাখুন। মাছ, মাংস না হলে শুধু ডিম খেলেও হরমোন ব্যালেন্স রাখা যাবে।
২. যে কোনো ডালেই রয়েছে প্রোটিন, যা হরমোনের ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই ডাল, সয়াবিন আজই খাদ্যতালিকায় যোগ করুন।
৩. বাদাম খেতে পারেন। যে কোনো বাদামের মধ্যে থাকে লিনোলেইক অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর চর্বি। বাদাম শরীরের হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম, আমন্ড, আখরোট খুবই উপকারী।
৪. ফলমূল হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। তাই খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন আপেল, স্ট্রবেরি, অ্যাভোকাডো, কলার মতো হাই ফাইবারযুক্ত ফল।
৫. প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি থাকলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গাজর, বীট, ব্রকোলি, পালংশাক, মিষ্টি আলু, টমেটোর মতো সবজি হরমোনের ব্যালেন্সে সাহায্য করে।
৬. চা হরমোনের ব্যালেন্সে চা খুব উপযোগী। তবে দুধ চা নয় আপনাকে খেতে হবে হার্বাল টি।
৭. নারিকেল তেলে থাকে লাউরিক অ্যাসিড ও এমসিটি, যা হরমোন তৈরিতে অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া ওজন কমাতেও সাহায্য করে নারিকেল তেল। সেই সঙ্গে মেটাবলিজম বাড়ায় এবং এনার্জি জাগায় শরীরে।
৮. ঘরে তৈরি ঘি বা বাটারে থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে-২, যা হরমোনের ব্যালেন্সে সাহায্য করে।