স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ের রোগসমূহঃ–
(Reproductive Organs of Female Disease)
————————————————————————
#স্ত্রী জননেন্দ্রিয় অংগসমূহঃ
(১)Fallopain Tubes (ডিম্বনালীদ্বয়) (২)Ovaries(ডিম্বাশয়)
(৩)Uterus(জরায়ু)
(৪)Vulva (যোনী কপাট)
(৫)Vagina (যোনীপথ)
(৬)Breast(স্তন)
(৭)Mammary Gland(স্তনগ্রন্থি)
#মহিলাদের জননতন্ত্রের অধিকাংশ রোগ ও লক্ষণসমূহের ক্ষেত্রেঃ–
(১) প্রধানতঃ প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনসমূহের ভারসাম্যহীনতার ফলাফল। যদিও অপ্রত্যক্ষভাবে কয়েকটি হরমোন রয়েছে জননতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে।
(২)জননতন্ত্রের কিছু রোগ ও লক্ষণের ক্ষেত্রে বিপাক প্রক্রিয়ার বিপর্যয় ও জীবাণু সংক্রমণে সৃষ্ট। এই সব রোগসমূহ হলঃ-
★ডিম্বনালীর অবরুদ্ধতা
★এন্ডোমেট্রিওসিস
★সার্ভিসাইটিস
★জরায়ুর প্রদাহ
★যোনীপথের প্রদাহ ইত্যাদি জননতন্ত্রের বিভিন্ন অংগসমূহ।
#মহিলাদের জননতন্ত্র প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণকারী হরমেনসমূহঃ
(১)অ্যান্টিরিয়ার পিটুইটারি থেকে নিঃসৃত হরমোন-
(ক)Folicle Stimulating Hormone(FSH).
(খ)Leutnizing Hormone(LH).
(গ)Prolactin Hormone.
#অপ্রত্যক্ষভাব নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনঃ
(১)অ্যান্টিরিয়ার পিটুইটারী থেকে নিঃসৃত হরমোনঃ
(ক)অ্যাড্রেনোট্রফিক হরমোন।
(খ)থাইরোট্রোপিক হরমোন।
(২)থাইরয়েড ও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনঃ
(ক)থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন থাইরক্সিন হরমোন।
(ক)অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির করটেক্স থেকে নিঃসৃত হরমোন কর্টিসল হরমোন।
# ইস্ট্রজেন হরমোনের উৎপত্তিঃ প্রধানত ডিম্বাশয় স্টোমা সেলের মধ্যকার অপরিপক্ক ডিম্বগুলি বা Primordial Follicle গুলি হতে ইস্ট্রোজেন হরমোন উৎপন্ন হয়।এছাড়া অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স হরমোন ও গর্ভবতী নারীর প্লাসেন্টাতেওপাওয়া যায়। তিন রকম ভাবে ইস্ট্রোজেন হরমোন পাওয়া যায় –
ক) ইস্ট্রোন
খ) ইসট্রিওল
গ) ইসট্যাডিয়াল
# ইস্ট্রোজেন হরমোনের সক্রিয়তা বা কর্মতৎপরতাঃ
(১) নানা বস্তুর মিশ্রণে উৎপন্ন পদার্থ যা থাকে জেনোইস্ট্রোজেন (Xenoestrogen) বলে।
(২) উদ্ভিদ থেকে উৎপাদিত বা সৃষ্ট বস্ত ইস্ট্রোজেন হরমোন গুণ হিসেবে কার্যকলাপ করে থাকে যাকে phytoestrogen বলে।
ছত্রাক থেকে উৎপন্ন হরমোন যাকে Mycoestrogen বলে।
# ইস্ট্রোজেনের কার্যাবলী ও গঠনমূলকঃ–
১) প্রথম পর্যায়ে যৌবনাগমনের পর প্রজেস্টোরনের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন যৌনাঙ্গাদি গঠনের পূর্ণাঙ্গতা আনে।
২) দ্বিতীয় পর্যায় ভুক্ত যৌন চরিত্র গঠিত হয়।
ক) দেহের বিভিন্ন স্থানে মেদ সঞ্চিত করে
খ) নিতম্ব,উরু,বাহু,বক্ষ উন্নত ও গঠন উপযুক্তময় হয়।
গ) কোমলতার ভাব ফুটে ওঠে।
ঘ) যৌবানগমনের সময় উচ্চতা বৃদ্ধির সাহায্য করে।
ঙ) ঋতুচক্রের সময় জরায়ুর অন্তবেষ্টক (এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ) উন্নতি বা বিকাশে উদ্দীপিত করে।
(৩)জরায়ু ও যোনীপথ আকৃতি বৃদ্ধিতে কাজ করে। (৪)যোনীপথ তৈলাক্ত ও প্রাচীর ঘনীভূত রাখতে সাহায্য করে।
(৫)গর্ভাবস্থায় জরায়ু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(৬)গর্ভাবস্থায় কার্পাস লিউটিয়াম ও প্রজেস্টোরন সব কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(৭)স্তনগ্রন্থিতে ফ্যাট সন্ঞ্চয় এবংস্তনগ্রন্থির সংশ্লিষ্ট নালীতন্ত্র বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(৮)থাইমাস গ্রন্থির সক্রিয়তায় বাধা প্রদানে সাহায্য করে থাকে।
(৯)পিটুইটারি গ্রন্থির পশ্চাৎ(পোষ্টিয়ার) অংশ থেকে অক্সিটোসিনের ক্রিয়া বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় প্রসবের সূত্রপাত ঘটাতে সাহায্য করে থাকে।
(১০)পুরুষের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন হরমোন শুক্রানুর পরিপক্কতার এবং যৌন কামনা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
(১১)ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দেহে জমাতে সাহায্য করে।
(১২)প্রোটিন সংশ্লেষণে প্রোটিন বন্ধন উৎপন্নে যকৃতের কার্যকর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(১৩)প্রোটিন জমাট বাধতে সাহায্য করে।
(Factors II,VIII, IX,X, Plasmingo)
(১৪)অনুচক্রিকার আঠালোভাব বৃদ্ধি ও জমাট বাধা কমাতে সাহায্য করে।
(১৫)HDLকোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(১৬)LDLকোলেস্টরল এবং ফ্যাট গচ্ছিতকরন কমাতে সাহায্য করে।
(১৭)রক্ত ও পেশীতে জলের পরিমান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(১৮)অন্ত্রের সঞ্চালন ক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে।
(১৯)পিত্তরসে কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে কাজ করে।
(২০)ফুসফুসের কর্যক্রম উন্নয়নে সাহায্য। (২১)ডিম্বাশয়ের ডিম্বানুর পরিপক্কতা ও নিঃসরনে সাহায্য করে।
(২২)নিয়মিত ঋতু চক্র বজায় রাখতে সাহায্য করে। (২৩)পিটুইটারী গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হর্মোন ফলিকুল ষ্টিমুলেটিং হর্মোন(FSH)নিঃসরন নিয়ন্ত্রন করে। (২৪)প্রোটিন সংশ্লেষনে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। (২৫)ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দেহে জমাতে সাহায্য করে।
(২৬)হরমোন সংবেদনশীল স্তন ক্যান্সার উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
(২৭)কর্টিসল এবং গ্লোবিউলিন বন্ধন যৌন হরমোন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(২৮)ইস্ট্রোজেন মেলানিন এবং ফিমোমেলানিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(২৯)অ্যাড্রিনাল কর্টেক্সের কাজ বৃদ্ধি করে এবং এর ফলে বেশী মাত্রয় অ্যাড্রিনোকর্টিকোট্রোপিক হরমোন নিঃসৃত হয়।
(৩০)পিটুইটারী গ্রন্থির পোষ্টিরিয়ার অংশ থেকে নিঃসৃত হরমোন অক্সিটোসিন জরায়ুর পেশীর উপর কাজ করতে সাহায্য করে।
(৩১)হৃদসংক্রান্ত ব্যাধি আক্রান্তে বাধা প্রদান করে।
(৩২)হৃদক্রিয়া বন্দে বাধা প্রদান করে।
(৩৩)মূত্র ও জননতন্রের অবক্ষয় বাধা প্রদান করে।
(৩৪)অ্যালজাইমার্স রোগ বাধা প্রদান করে।
(৩৫)কোলন ক্যান্সার কমাতে সাহায্য করে।
(৩৬)দাঁতের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে
(৩৭)রজোঃনিবৃত্তির লক্ষণসমূহ কমাতে সাহায্য করে।
(৩৮)অষ্টিওপ্রোসিস রোগ সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে।
#উল্লেখিত প্রত্যক্ষ হরমোনসমূহের ভারসাম্যহীনতার ফলে প্রধানতঃজননতন্ত্রের বিপর্যয়ের ফলে অধিকাংশ রোগ ও লক্ষনসমূহ সৃষ্টি করে।
দ্বিতীয়ত্ব জননতন্ত্রে কিছু রোগ ও লক্ষনসমূহ সৃষ্টি করে বিপাক প্রক্রিয়ার বিপর্যয়ে ও জীবানুর সংক্রমণে।
#স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ের রোগ ও লক্ষণসমূহ নির্ণয়ে যে সব বিষয়সমূহের উপর গুরুত্ব আরোপ করার প্রয়োজন তাহলঃ
(১)ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টোরন হরমোনের কাজ।
(২)ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টোরন হরমোনের মান কম ও বেশী হলে।
# নারীর ডিম্বাশয় থেকে প্রধানতঃ দুটি প্রধান হরমোন ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টোরন হরমোন উৎপন্ন হয়। এছাড়া সামান্য পরিমাণ রিলাক্সিন অ্যাড্রোজেন (টেস্টোস্টেরেন) হরমোন উৎপন্ন হয়। পিটুইটারির আন্টিরিয়ার অংশ থেকে নিঃসৃত গোনাডোট্রফিক হরমোন ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন (FSH) ও লিউটিনাইজিং হরমোন(LH)
১) ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন নারীদেহে ডিম্বাশয়ে ফলিক গঠন ও তৈরি করে এবং পরে সেগুলোকে আবার গ্রাফিয়ান ভেসিকেলে পরিনত করে। এবং ডিম্বাশয় থেকে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
২) লিউটিনাইজিং হরমোন
নারী দেহে এবং পুরুষ দেহে ইস্ট্রোজেন ও অ্যাড্রোজেন তৈরীকে তরান্বিত করে এবং ডিম্বাশয়ে ডিম্ব তৈরির নির্দেশ করে। কর্পাস লিউটিয়াম গঠন করে। প্রজেস্টোরন নিঃসরণ ও কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
#মহিলাদের Estrogen Hormone-এর মান বৃদ্ধি পেলে যে সব রোগ ও লক্ষণসমূহ দেখা দেয় তা হল: (১)জরায়ুর ফাইব্রয়েড।
(২)অনিয়মিত ঋতুস্রাব।
(৩)Premenstrual Syndrome. (৪)যৌন ক্ষমতা/আঙ্খাকা কমে যায়। (৫)দোদুল্য মানসিকতা।
(৬)শারীরিক ও মানসিক অবসাদ। (৭)নিতম্ব(পাছা) ও উরুতে ওজন বৃদ্ধি। (৮)যোনীপথে শুস্কতা।
(৯)স্মৃতিশক্তি হ্রাস। (১০)যোনীপথে শুস্কতা। (১১)যোনীপথে ইনফেকশন। (১২)সন্ধিবাত।
(১৩)হৃদরোগ।
(১৪)শরীরে অতিরিক্ত মেদ বৃদ্ধি। (১৫)Fibrocystic Breast(স্তনের ফাইব্রাস কলার বৃদ্ধি)।
(১৬)স্তন ক্ষত ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়া।
(১৭)স্তন ক্যান্সারের ঝুকি বৃদ্ধি। (১৮)Polycystic Ovary(ডিম্বাশয়ে বহু সংখ্যক সিস্ট বা থলিযুক্ত)।
(১৯)অনিদ্রা।
(২০)ক্লান্তি অনুভব।
(২১)সহজে প্রকুপিত হয়ে উঠে। (২২)গর্ভস্রাব।
(২৩)উচ্চ রক্তচাপ।
(২৪)রক্তের শর্কার মান নিয়ন্ত্রন হ্রাস করে। (২৫)মাথার চুল পাতলা হয়ে যায় এবংশরীরে লোম বা কেশ বৃদ্ধি পায়। (২৬)থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকরী ক্ষমতা হ্রাস করে।
(২৭)অষ্টিওপ্রোরোসিস(দুই অস্থির মধ্যবর্তী অংশের বিস্তরন)
(২৮)অটোইমিউন পদ্ধতির বিপর্যয়ের ঝুকি বেড়ে যায় যেমন:
★শরীরে হঠাৎ অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি। ★জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুকি বৃদ্ধি। ★কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি।
★চর্মরোগের সমস্যা (ব্রণ,সোরাইসিস ও চর্মের উপর লাল বর্ন হওয়া।) ★পিত্তথলীর রোগ।
★এলার্জি।
★মুখমন্ডলে অতিরিক্ত লোম।
★ডায়েরিয়া ও বমি।
#যে সব কারনে Estrogene Hormone-এর বৃদ্ধি পায়:
(১) ৩৫-৪০ বয়সকালে মেয়েদের প্রাক রজোনিবৃত্তি কালে বা ৪০-৪৮ বছর বয়সে রজোনিবৃত্তি কালে এবংগর্ভাবস্থায় রজঃ নিবৃত্তকালে এই সময় স্বাভাবিক নিয়মে ইস্ট্রোজেন হর্মোনের মান বৃদ্ধি পায়।এবং প্রোজেস্টেরনের হরমোনের মান কমে যায়।উল্লেখিত নয় মাস কাল ছাড়া ৩৫-৪০বছর কালের নীচে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। (২)জন্ম নিরোধক বড়ি সেবন বা ইনজেকশন গ্রহনজনিত।
(৩)যকৃতের কার্যকরী ক্ষমতা কমে গেলে। (৪)কাপড় ধোলাই বা পরিস্কারে ব্যবহৃত ডিটারজেন পাউডার।
(৫)Styroform
(১)জৈব রাসায়নিক উপাদানAvinylic polymer of Styreme
(২)Alkane(Ioin of Benzene Molecules) যা টুলি, প্যাকিং কাজ এবং আসবাব হিসেবে ব্যবহার্য হয়। (৩)পশুদের শ্রীবৃদ্ধি ও দুগ্ধ উৎপাদনে কেমিক্যাল রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার ও হর্মোন প্রয়োগজনিত মাংশ, দুগ্ধও দুগ্ধজাত খাবার সেবন জনিত। (৪)রাসায়নিক উপাদানে প্রস্তুতকৃত খাদ্য বা কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুকৃত খাদ্য,শোধিত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার(সুগার,ময়দা,মিষ্টি জাতীয় খাবার) গ্রহনে। (৫)দীর্ঘ দিন ধরে প্লাস্টিক পানীয় বোতলের পানি পান। (৬)স্টেরয়েড ঔষধ সেবনে। (৭)অ্যাড্রিন্যাল গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হর্মোন গ্লুকোকর্টিকয়েড হরমোন অতিরিক্ত নিঃসরন হলে। (৮)থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হর্মোন থাইরক্সিনের মান বৃদ্ধি পেলে। (৯)রেডিয়েশন জনিত সমস্যা।
(১০)পুরাতন কোষ্টবদ্ধতা। (১১)অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক চাপ জনিত।
(১২)রজঃ নিবৃত্তিকালে অস্থির সুরক্ষা বা স্বাস্থ্যের জন্য এবং তীব্র তাপদহ প্রতিরোধে ইস্ট্রোজেনের মান পরিবর্তনের জন্য যে Estradol হরমোন প্রয়োগ করা হয় এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে যে সমস্যার সৃষ্টি হয় তাহল ডিম্বাণুর অনুর্বরতা, জরায়ুর অন্তবেষ্টককে ক্যান্সার,স্ট্রোক ও স্তন ক্যান্সার ইত্যাদি।
# মহিলাদের ইস্ট্রোজেনের মান কম হলে যে সব লক্ষণ ও রোগসমূহ সৃস্টি হয় তাহলঃ
১) শারীরিক ও মানসিক অবসাদ।
২) যৌনীপথের শীর্ণতা।
৩) শরীর থেকে ক্ষণকাল তাপমাত্রা স্ফুরিত।
৪) অস্থি দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং যন্ত্রণাদায়ক অস্থি।
৫) রাত্রে ঘর্ম।
৬) স্মৃতি ভ্রংশ।
৭) সন্ধি সমূহে বেদনা।
৮) যোনীপথের শুষ্কতা।
৯) চর্ম শুস্ক ও,কুঁচিত হওয়া এবং বাদামী বর্ণের ক্ষুদ্র দাগ।
১০) যৌন কামনা বা শক্তি হ্রাস।
১১) অথেরোস্কেলোরোসিস। ( ধমনীর মধ্যে ক্লেদময় অর্বুদের জন্য ধমনীর ভিতর রক্ত চলাচলের স্থান ক্রমশ সরু হতে থাকে)
১২) মাথা ব্যথা।
১৩) যোনীপথের ইনফেকশন।
১৪) সন্ধি প্রদাহ।
১৫) বিষন্নতা।
১৬) আতঙ্ক ভাব।
১৭) আত্মসম্ভ্রম কমে যাওয়া।
১৮) দোদুল্যমান মানসিকতা।
১৯) দ্রুত হৃৎস্পন্দন।
২০) কোমরের নিচের অংশে বেদনা।
২১) আত্মসংযমের অভাব।
২২) গর্ভপাত।
২৩) স্তনের পরিবর্তন ঘটে।
২৪) যৌন আঙ্খাকা ও শক্তি কম।
২৫) অ্যাস্টিওপ্রোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২৬) হৃদযন্ত্র ও হৃদসংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২৭)আত্মসংযমের অভাব।
২৮) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন। ( কখনো গরম,ঠান্ডা অনুভূতি বা তাপমাত্রা আরো কমে)
২৯) অবারিত মূত্র ত্যাগ।
#মহিলাদের ইস্ট্রোজেনে হরমোনের মান কমে যাওয়ার কারণসমূহঃ
১) ডিম্বাশয়ের কার্যকরী ক্ষমতা কমে যাওয়া।
২) ডিম্বাশয়ের ভিতর এবং বাহিরে সিস্ট।
৩) পিটুইটারী গ্রন্থির কার্যকরী ক্ষমতা কমে গেলে।
৪) ডিম্বাণুর উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য সুনির্দিষ্ট উর্বরতা ঔষধ প্রয়োগ।
৫) শিশু প্রসব কালিন ও শিশুদের দুগ্ধ পান কালিন।
৬) অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়াম।
৭) খাদ্য উপাদানের অভাব।
#ইস্ট্রোজেন হরমোন ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে যে সব বিষয়সমূহের উপর গুরুত্ব আরোপ করার প্রয়োজনঃ
(১)অ্যান্টিরিয়ার পিটুইটারী গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ফলিকল ষ্টিমুলেটিং হরমোন (FSH) ও লিউটিনাইজিং হরমোনের(LH) ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় নিঃসরন স্বাভাবিককরন করা।
(২)নিঃসৃত অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন হরমোন নিস্ক্রিয়করনে যকৃতের কার্যকর শক্তি বৃদ্ধি করা।
(৩)ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা।
#গুরুত্ব আরোপের বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে প্রায়োগিক ভেষজসমূহঃ
#FSH ও LH নিয়ন্ত্রণে যে ভেষজ প্রযোজ্যঃ
(১)AGNUS CASTUS
√Botanical Name:Vitex Agnus Castus.
√Common Name:Chaste Tree,Vitex,Chaste Berry,Monk`sPepper.
#এই ভেষজ গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Terpnoid.
√Flavonoid(Casticin, Kaempferol,Orienting, Queercetagetin & Isovitexin.
√Essential Oils(Limonene,Cineol, Pinene & Sabinene.
√Iridoid Glycosid.
#ইস্ট্রোজেন প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা। Phytoestrogen Herbs
(১)ASHOKA
এই ভেষজ গঠিত রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Steroidal Saponins Glycosides.
√Tannins(0.57℅-7.85℅)
√Ash(2.43℅-6.69℅)
& Extracts(5.74℅-14.97℅)
√Flavonoid(Anthocyanin)
#Fatty Acid & Cabohydrates.
√Phytosterol.
√Phytoestrogen.
(২)HELONIAS DIOICA
এই ভেষজে গাঠনিক রাসায়নিকউপাদানসমূহঃ
#Steroidal Saponins Including Chamaelirin Chiograsterol,Aglycone Diosgenin OtherSaponins with an” Unusval” Cholestane Core & Sterol.
#Minarels:★Cadmium, Copper,Molybdenum, Sulpher,Cobalt,Zinc.
(৩)DIOSCOREA ViLLOSA
এই ভেষজ গঠিত রাসায়নিকউপাদানসমূহঃ
#Steroidal Glycosides Saponin(Including Dioscin & trilling Yield Diogenin).
★Balance Estrogen & Progesterone Hormone.
★Inhibit the Growth of Breast Tumar.
★Anti-Inflammatory.
★Antispasmodic.
#Alkaloid(Including Dioscorine,Tannins)
√Action:
★Emetic
★Antibilious
★Antioxident
★Cholagogue
★Emetic.
#Tannins.√Action:
★Antioxident
★Anti-Inflammatory.Antimicrobe
#Highly-Potassium
Action:
★Reduce Blood Sugar
★ Strong Antioxident.
#Minarels:Calcium,Boron,Megnesium,Sodium,Iron, CobaltMenganese, Phosphorus,SiliconZinc.
#Vitamin-B2,B3,B6,B12,C
(৪)Cimicifuga Recemosa
গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
#Isoflavones Compound(Cimicifugin, Racemosin)
#Triterpene Glycosides(Steroidal Glycosides(Phytoestrogen)√Action:
★Balance Estrogen & Progesterone Hormone.
★Inhibit the Growth of Breast Tumar.
#23-epi-26-Deoxyactein.
√Action:
★Inhibit the Growth of breast Tumar.
√Action:
★Anti Cancer Agent.
#polyphenolic Acids (Including-Caffeic Acid,Isoferulic Acid, Fukinolic Acid &Cimicifugic Acids.
√Action:
★Anti-Inflammatory.
★Antioxident.
#Votile Oils.
√Action:*Prevention & Treatment of Varity Cancer(Leukemia,Mouth, Breast,Lung,Prostate,Liver, Colon & Brain Cancer)
#Tanins.
√Action:
★Anti-Cancer
★Anti-Oxident
★Anti-Microbial.
(৫)VIBERNUM OPULUS
এই ভেষজের গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসসমাহঃ
#flavones
#Triterpenoid Saponins.
#Plants Acid(Including Valeric Acid)
#Scopoletin
#Salicosides
#Tannin.
#Arbutin.
#Minarels:Calcium, Magnesium,Manganese,
Phosphorus,Potassium, Selenium,Zinc
(৬)Caulophyllum Thalictroides
√Common Name:Blue Cohosh Root,Squaw Root,Radix Caulophylli,Blue Ginseng,Yellow Ginseng.
#এই ভেষজ গঠিত রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Alkaloid,Cystine((Caulophlline)
√Triterpenoid Saponin & & Glycosides(Staroidal Saponin Gkycosides)
√Baptifoline
√Anagyrin.
√Laburnine also Caulosaponin
√Resins.
#নিঃসৃত অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন হরমোন নিস্ক্রিয়করনে যকৃতের কার্যকর শক্তি বৃদ্ধিতে প্রযোজ্য ভেষজঃ
(১)HYDRASTIS CANADENSIS (হাইড্রাস্টিস ক্যানাডেন্সিস)
√Botanical Name:Hydrastis Canadensis
√Synonyms Name:(সমার্থক নাম):Goldenseal,Yellow Root,Eye Root,Wild Curcuma,Ground Raspbery,Yellow Puccon,Turmeric Root,
√Family:N.O.Ranonculace
#গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Isoquinolin Alkoid Including Hydrastine (1.5-5%),Berberine(0.5-6%),Canadine (Tetrahydroberberine 0.5-1.0%), Resin,Cholorogenic Acid, Fatty Acid.
★ভেষজে ধারনকৃত পুষ্টি উপাদান উপাদানসমূহঃ আয়রন,কপার,জিঙ্ক,ম্যাগনেসিয়াম কোবাল্ট, ফসফরাস,পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ,সি,ই, বি-কমপ্লেক্স(বি১,বি৩ এফ,বি২),বিটাকেরাটি।
(২)CARDUUS MARIANUS
√Botanical Name:Milk Thistle,Blessed Milk Thistle,Spotted Thistle,Variegated Thistle.
#.এই ভেষজ গঠিত রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Flavonoid Active Ingredent Silymarin (Silibinin,Slydianin, Silychristin)
√Other Flavonoids(Taxifolin, Quercetin,Kaempferol, Apigenin)
√Oils(Linoleic,Oleic Acid & Palmitic Acid)
√Plants Sterols (Compesterol, Stigmasteol & Sitosterol)
√Minarels:Calcium, Magnesium,Manganes,Iron,Potassium,Selenium,Zinc, Chromium,Phosphorus.
√Vitamins:Glutathione,E.
#উল্লেখিত রাসায়নিক উপাদানসমূহের বৈশিষ্ট্যঃ
(১)পিত্তরস উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
(২)রক্তের টক্সিন পরিশোধন ও শুদ্ধিকরণ করে।
(৩)মাতৃদুগ্ধ উন্নতি সাধন করে।
(৪)যকৃত কোষের পুনর্গঠন করে।
(৫)ভাইরাস নাশক।
(৬)অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
(৭)প্রদাহ নাশক।
(৮)টিউমার বিকাশ এবং ক্যান্সার কোষ বিভাজন বন্দ করে।
(৯)বিপাক প্রক্রিয়ায় উন্নতি সাধন করে।
(১০)টক্সিন নিস্ক্রিয়করনে যকৃতের কার্যক্রম উন্নতি সাধন করে।
(৩)CHELIDONIUM MAJUS
√Botanical Name: Chelidonium Majus.
Common Name:Greater Celendine,Swallow Wort.
#এই ভেষজের গাঠনিক উপাদানসমূহঃ
√Alkaloids(Chelidonine, Protopine,Coptisine, Chelerythrine,Beberine, Sanguinarine.)
√Flavonoid.
√Chelidonic Acid.
√Nicotinic Acid.
√Phenolic Acid.
√Choline.
√Proteolytic Enzymes.
#উল্লেখিত৷ রাসায়নিক উপাদানসমূহের বৈশিষ্ট্যঃ
(১)পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্রম সক্রিয় করে।
(২)পিত্ত প্রবাহে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
(৩)ইমিউন পদ্ধতির উন্নয়ন সাধন করে।
(৪)প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
(৫)এলার্জির প্রতিক্রিয়া কমায়।
(৬)যকৃতকে রক্ষা করে।
(৭)ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া নাশক।
(৮)যকৃতের কার্যক্রম উন্নতি সাধন করে।
(৯)আঁচিল ও চর্মের ক্ষত নিরাময় করে।
(১০)ক্যান্সার কোষ বিভাজন বন্দ করে।
#বিপাক প্রক্রিয়ায় বিপর্যয় ও জীবাণুর সংক্রমণে সৃষ্ট রোগ ও লক্ষণসমূহ নিরাময়ে যে সব ভেষজ প্রযোজ্যঃ
(১)ECHINACEA ANGUSTIFOLIA
(ইচিনেসিয়া অ্যাঙ্গাষ্টিফোলিয়া)
√Common Name: Echinacea Purple Conflower.
√Botanical Name: Echinacea Angustifolia.
√Family:Asteraceae.
#এই ভেষজের গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Polysaccharides: Contituent Groups Includes -Inulin,and Other high Molecular weight Polysaccharides such as heteroxylan, Arabinogalactan and Fucogalactoxyloglucan.
√Glycoprotein.
√Alkylamides:Echinacein and several Isobutylamides
√Caffeic Acid Derivatives:
Echinacoside and other Derivatives include Cichroric,Chlorogenic Acids and Cynarin.
√Phenolic Acids, (P-Coumaric, P-Hydroxybezoic,and Protocatechuic Acids)
√Essential Oils Componetts:include Humulene,Echinolone, Vanillin,Germacrene,and Borneol.
√Others:Alkaloids, Flavonoids(Quercetin , Kampferol,Isorhamnetin, Patuletin-3-Rutinoside),Anthocyanins.
#এই ভেষজের রাসায়নিক উপাদানসমূহের বৈশিষ্ট্যঃ
★ইমিউন পদ্ধতির উন্নয়ন সাধন করে।
★টক্সিন নিস্ক্রিয়করনে সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে।
★শ্বেতকিনিকাদের(যে সব কনিকারা অ্যান্টিজেন খায়)সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে।
★ন্যাচারাল কিলার সেলের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে।
★জীবাণু নাশক।
★প্রদাহ নাশক।
★কোষের কাঠামো গঠনে প্রোটিন বৃদ্ধিতে সহয়তা করে।
★স্থানীয় ও সমগ্র শরীরে এ্যান্টিবায়েটিক হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
★হিস্টামিন নাশক।
★এলার্জি নাশক।
★লসিকাবাহী নালীর সক্রিয়তা বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় ফ্লুইড প্রবাহ বজায় রাখে।
(২)HYDRASTIS CANADENSIS (হাইড্রাস্টিস ক্যানাডেন্সিস)
√Botanical Name:Hydrastis Canadensis
√Synonyms Name:(সমার্থক নাম):Goldenseal,Yellow Root,Eye Root,Wild Curcuma,Ground Raspbery,Yellow Puccon,Turmeric Root,
√Family:N.O.Ranonculace
#গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ
√Isoquinolin Alkoid Including Hydrastine(1.5-5%),Berberine(0.5-6%),Canadine(Tetrahydroberberine 0.5-1.0%), Resin,Cholorogenic Acid, Fatty Acid.
★ভেষজে ধারনকৃত পুষ্টি উপাদান উপাদানসমূহঃ আয়রন,কপার,জিঙ্ক,ম্যাগনেসিয়াম কোবাল্ট, ফসফরাস,পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ,সি,ই, বি-কমপ্লেক্স(বি১,বি৩ এফ,বি২),বিটাকেরাটিন।
#বারবেরিন রাসায়নিক উপাদানের বৈশিষ্ট্যঃ
বারবেরিন অতিমাত্রায় অ্যালকোলাইডজনিত কারনে
★শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক।
★ব্যাক্টেরিয়া জীবাণু নাশক।
★ফাংগাল(ছত্রাক) নাশক।
★ভাইরাস নাশক
★তিক্ত।
★যকৃতের উন্নয়ন।
★সংকোচক
★প্রদাহ নাশক।
★সংকোচক।
★ইমিউন পদ্ধতির উদ্দীপক।
★ক্রিমি নাশক।
(৩)Cinnamomum Ceylanicum #এই ভেষজে গাঠনিক রাসায়নিক উপাদানসমূহঃ Cinnamaldehyde,Cinnamic Acid,Aldehydes.
#উল্লেখিত রাসায়নিক উপাদানসমূহের বৈশিষ্ট্যঃ
√শক্তিশালী Antioxident.
√এন্টিবায়োটিক।
√জীবানু নাশক।
√প্রদাহ নাশক।
√ইমিউন পদ্ধতির উন্নয়ন।
√রক্তে সুগারের মান কমায়।
সমস্যা আছে ? সমাধানের পথও আছে। “হটলাইন AMARHOMOEO.COM” আপনাদের সাথে নিয়ে খুঁজবে সমাধানের পথ।******* জরুরী বিজ্ঞপ্তি ******হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সহজ সরল,পার্শপ্রতিক্রিয়াহীন ও প্রাকৃতিক।হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিন।সুস্হ্য থাকুন। *******dr ai adnan sami //dr Razmina Akter Rakhi01934981471 Syed homoeo Hall forest rode,madrasha market,Sherpur,bogura. WWW.Amarhomoeo.com/01721418696,01934981471 Send Message / বার্তা পাঠান / ম্যাসেজ / Chat