রক্তচাপ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি :-
🌿Blood pressure & Homoeopathy
🌿উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটা আজকাল খুব বেশি পরিমানে দেখা যাচ্ছে।আর্টারি এবং ধমনীর মধ্যে দিয়ে আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল করে। রক্ত চলাচলের সময় আর্টারি দেওয়ালে যে চাপ সৃষ্টি হয় সেটিই ব্লাড প্রেসার হার্টের সঙ্কোচনের ফলে হার্ট থেকে রক্ত আর্টারির মধ্যে দিয়ে চলার সময় রক্তচাপ মাপলে যে রিডিং বা মাপ পাওয়া যায় সেটাই সিস্টোলিক প্রেসার (Systolic pressure)। আবার হার্টের প্রসারিত অবস্থায় প্রেসার রিডিং বা মাপ ডায়াস্টোলিক প্রেসার (Diastolic pressure)। কারও রক্তচাপ ১২০/৮০ mm of Hg হলে সিস্টোলিক প্রেসার হল ১২০ এবং ডায়াস্টোলিক ৮০।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির (Adult person) সিস্টোলিক প্রেসার ১২০ ও ডায়াস্টোলিক প্রেসার ৮০ হল তার রক্তচাপ স্বাভাবিক।
⛳ হাই ব্লাড প্রেসার:-
ধারাবাহিকভাবে সিস্টোলিক (Systolic) ও ডায়াস্টোলিক (Diastolic) প্রেসার যদি যথাক্রমে ১৪০ এবং ৯০ মিলি মিটার অভ মার্কারির (mm of Hg) বেশি থাকে তখন উচ্চ রক্তচাপ ধরা হয়।
⛳ লো-ব্লাড প্রেসার:-
স্বাভাবিক মানের তুলনায় ব্লাড প্রেসার কম থাকলে, সিস্টোলিক (Systolic) ও ডায়াস্টোলিক (Diastolic) প্রেসার যথাক্রমে ৯০/৬০ মিলিমিটার হলে সেটি নিম্ন রক্তচাপ। নিম্ন রক্তচাপে হার্ট, ব্রেন, কিডনিতে অক্সিজেন সরবরাহ কম হয়, পুষ্টির (Nutrient) ঘাটতি ঘটে।
⛳ হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধানঃ
ব্লাড প্রেসারে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের প্রয়োগ সংকেত অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
🌿হাই ব্লাড প্রেসারে যে ওষুধ বেশি প্রয়োগ করা হয় তা হলঃ- ১. রাউলফিয়া, ২. গ্লোনয়িন, ৩. প্যাসিফ্লোরা, ৪. অরাম মেটালিকাম, ৫. স্পারটিয়ম স্কোপ্যারিয়ম , ৬. ক্র্যাটিগাস অক্স।
🌿নিম্ন রক্তচাপের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যে ওষুধ ব্যবহৃত হয় তা হলঃ- ১. থেরিডিয়ন, ২. জেলসিমিয়াম, ৩. ক্যালিফস।
🌿হার্ট অ্যাটাক হলে তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষণভেদে নিম্নলিখিত ওষুধ দেয়া হয়। যথাঃ- ১. ক্যাকটাস, ২. নাজা, ৩. ডিজিটেলিস, ৪.ক্র্যাটিগাস অক্স, ৪. এমিল নাইট্রেট।
তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।