[:en]
যৌনজীবনে পুরুষের একান্ত দুর্বলতা- লক্ষণ,
কারণ ও কী করবেন
পুরুষত্বহীনতা, অর্থাৎ পুরুষের শারীরিক
অক্ষমতা বা দুর্বলতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ
করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন
বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌন
সমস্যা। অনেক পুরুষ অকালেই
হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা,
উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ
হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি,
সন্তানহীনতার হার।
এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।
কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ
শারীরিকভাবে সক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার
পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের
বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।
হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের
স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের
কোন একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ
ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। কেন এমন
হচ্ছে সেটা জানার
আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত
দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে।
শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার
বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ
করা যেতে পারে-
১)ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লিঙ্গের
উত্থানে ব্যর্থতা।
২)পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লিঙ্গের
যোনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা,
বা যোনিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত
না হওয়া
৩)প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহবাসে দ্রুত বীর্য-
স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব।
থাকতে পারে অনেকগুলো কারণ
প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর
মাঝে মুখ্য হলো- ডায়াবেটিস,
লিঙ্গে জন্মগত কোন ত্রুটি, সেক্স হরমোনের
ভারসাম্যহীনতা,
গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌনরোগ
ইত্যাদি। প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও
প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত
পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম
বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর
জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ
যৌন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।
আবার অতিরিক্ত যৌন সম্পর্কে যাওয়া,
অতিরিক্ত মাস্টারবেট বা হস মৈথুন করা,
যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ
সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও
চলবে না। এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা,
সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য
বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি,
পর্যাপ্ত যৌন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ
যৌনাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য
দায়ী হতে পারে।
কী করবেন?
-প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো একজন
ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন
ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল
চিকিৎসা নিন। এতে লজ্জার কিছুই নেই।
একটাই জীবন। লিজ্জার
চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী।
– আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয়
সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
-নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর
জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও
পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন,
রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের
চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার
শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও
থাকবে সুন্দর।
-সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের
উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌন জীবনে নানান
রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও
বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার
মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক
বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সেক্স টয়
ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
-যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার
কারণে সমস্যা হয়ে থাকে,
সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন
সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার
সাথে দূরে কোথাও
নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর
ভাবে জানার চেষ্টা করুন।
আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।
মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও
সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন,
বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার
নায়িকা বা পর্ণ স্টারদের মিল
খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান,
নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন,
সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।
কী করবেন না?
-অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস
অবিলম্বে ত্যাগ করুন।
মাঝে মাঝে মাস্টারবেট অবিবাহিত
পুরুষদের জন্য খারাপ কিছু নয়,
তবে সেটা মাঝে মাঝেই ভালো। আর
যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই
যৌনজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
-যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য
হাতুড়ে ডাক্তারদের শরণাপন্ন হবেন
না বা কোন টোটকা ব্যবহার করবেন না। কোন
তেল বা ওষুধ কিছুই ব্যবহার করবেন
না হাতুড়েদের কথায় প্রভাবিত হয়ে।
-বাজারে সাময়িকভাবে যৌন
ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়,
যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌন
ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার
করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও,
ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুখী থাকুন।আপনার স্ত্রী কি চায় আপনার কাছে..??
.
সিংহভাগ স্ত্রীরাই স্বামীর কাছে যে মূল্যবান জিনিসটা চায় তা হল সময়…!
দশ ঘন্টা স্ত্রীর পাশে শুয়ে থাকলে আর দুই ঘন্টা স্ত্রীর পাশে বসে মোবাইল গুতালে স্ত্রীকে সময় দেয়া হয়না।
সিনা টান করে আপনি বলতে পারেন না আমি আমার বউকে বারো ঘন্টা সময় দেই। তাহলে আপনি নিজের সাথেই ধোকাবাজি করছেন।
মনে রাখবেন সেই পুরুষই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। তাহলে উত্তম হবার জন্য আপনার প্রয়াস কী জনাব….??
স্ত্রীর পাশে বসে গেইম খেলা আর কলিগদের সাথে ঘুরতে গিয়ে ফেবুতে ফটো আপলোড দেয়া…?
এই কি ন্যায়বিচার..?
.
কত শত নারী রাগে, ক্ষোভে, হিংসায়, ব্যথায়, আক্ষেপে, কষ্টে, যন্ত্রনায় বালিশ ভিজায় সে হিসাব কর্পোরেট পুরুষদের জানা নেই। নাহ ভুল বললাম, জানার ইচ্ছে নেই। নাহ এটাও ভুল বললাম, জেনেও না জানার ভান করে।
.
আপনার সময়ের কি খুব বেশি দাম…?
একদিন মোবাইলকে সময় না দিয়ে বউ কে নিয়ে বাইরে গেলে কি হয়….?
চব্বিশঘণ্টা/ সাত দিন এই ভাবে তিরিশ দিন…. একটা মানুষ কত সময় ধরে হাড়ি পাতিলের মাঝে সময় কাটাতে পারে…?
সেই বিবেক পুরুষদের নেই…
.
তবে জেনে রাখুন, আল্লাহ সব দেখেন। আপনার এই অবহেলার হিসেব আপনাকে কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে হাশরের ময়দানে। আল্লাহ বলেছেন – সেদিন একটা আড়চোখের দৃষ্টিও বাদ যাবেনা হিসেব থেকে…
.
স্ত্রীকে সময় দিন। বুঝুন, সে ও মানুষ। পর্দাশীলা তাই গৃহবন্দী মানুষ। তাকে সময় দিন, তার সাথে গল্প করুন, হাসুন, শেয়ার করুন সুখ দুখ। মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে ফুসকা চটপটি খান। আপনার সময়ের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে না। বরং যা করলেন নিজের জন্যই, উত্তম পুরুষ হওয়ার জন্য। “আল্লাহ তো বিশ্ববাসী থেকে বে পরওয়া।বন্ধ্যাত্বের হোমিও চিকিৎসা
নারীর বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধসমুহের লক্ষণভিত্তিক আলোচনা করা হল:
Agnus Cast : রমনীর মাসিক অনিয়মিত,স্বল্পস্রাব,সাদা বা হলুদ প্রদর স্রাব কাপড়ে দাগ পরে সেই নারীর বন্ধ্যাত্বের জন্য উপযোগী।
Asvagandha : এই ঔষধটি নিয়মিত বন্ধ্যা নারীকে নিয়মিত দিলে সে সন্তান লাভের উপযোগী হয়।এ ঔষধটি সেবনে নারীর স্বাস্হ্য সবল হয় ডিম্বানু উৎপন্ন হয় ও সন্তান লাভের উপযুক্ত হয়।
Aurum Mur Nat: জরায়ু রোগাক্রান্ত রোগিনীর জন্য অরাম মিউর নাট উপযোগী।জরায়ুতে ছোট ছোট টিউমার,বেশী বেশী রক্ত প্রদর ইত্যাদি লক্ষনে উপযোগী।
Aurum Met: স্বল্পরঃজ, রুদ্ধরঃজ বা বিলম্বিত রজঃস্রাব যুক্ত , সন্তান না হওয়ার কারনে ভীষণ মনোকষ্ট,সর্বদা মনমরা,সন্তান পাওয়ার চিন্তা সবসময় চিন্তিত সেইরোগীর জন্য অরাম মেট উপযোগী।
Borax: ডিমের সাদা অংশের মত প্রচুর সাদা স্রাব, সব সময় যোনী ভিজিয়া থাকে ।মাথার চুলের আগা জরিয়ে যায়, সিড়ি দিয়ে উপর হতে নিচে নামতে ভয়, সেই সকল বন্ধ্যা নারীর জন্য উপযোগী।
Calcaria Carb: মোটা থলথলে রোগী যাদের ঋতুস্রাব প্রচুর তাহাদের বন্ধ্যাত্ত্বে এটি উপকারী।
Caulophyllum: যে সকল নারীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অস্থিসন্ধিতে বাত থাকে তাদের সাদা স্রাবের কারনে গর্ভধারনে অসমর্থ হলে কলোফাইলম উপযোগী।
Conium Met: নারীর অনিয়মিত মাসিক,মাসিক কম,মাসিকের সময় স্তনে বেদনা এই লক্ষণ সমষ্টি যে নারীর মাঝে পাওয়া যায় তার জন্য উপযোগী।
Natrum Carb: যাদের গ্রীষ্মকালের উত্তাপে দুবলর্তা,সূর্যের তাপে মাথা ব্যাথা, রোগী মনমরা দুঃখিত অত্যন্ত ফ্যাকাশে,সামান্য পরিশ্রমেই কষ্ট হয়, তাদের স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর স্বামীর বীর্য স্রীর যোনি হইতে বাহির হইয়া আসে বিধায় গর্ভধারনে করতে অসমর্থ হয় তবে নেট্রাম কার্ব উপযোগী।
Helonias Dioica: র্দুবল স্বাস্থ্যহীন নারী যাদের পেটে সবসময়ই ভারবোধ, অত্যন্ত খিটখিটে স্বভাব,গভীর বিষাদপূর্ন। জরায়ুর নানা রোগ ভোগগের কারনে সন্তান না হলে এ ঔষধটি উপযোগী।
Iodium: রাক্ষুষে ক্ষুধা রোগিনী ঠিকমত খায় কিন্তু শরীর ক্রমশ: শুকাইয়া যায়।স্তন শুষ্ক,ডিম্বকোষ,জরায়ুর রোগ ভোগ ইত্যাদির কারনে নারী সন্তান উৎপাদনে অসমর্থ হলে আইয়োডিয়াম উপযোগী।
Natrum Carb: যাদের গ্রীষ্মকালের উত্তাপে দুবলর্তা,সূর্যের তাপে মাথা ব্যাথা, রোগী মনমরা দুঃখিত অত্যন্ত ফ্যাকাশে,সামান্য পরিশ্রমেই কষ্ট হয়, তাদের স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর স্বামীর বীর্য স্রীর যোনি হইতে বাহির হইয়া আসে বিধায় গর্ভধারনে করতে অসমর্থ হয় তবে নেট্রাম কার্ব উপযোগী।
Phosphorus: রোগী সুন্দর রোগা লম্বা স্বভাব কোমল হয় ,অল্প কারণে মনে ব্যাথা পায় , সহবাস ইচ্ছা খুব প্রবল থাকে তাহাদের বন্ধ্যাত্ত্বে উপযোগী।
Platinum: নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে আর সকলকে নিকৃষ্ট মনে করে, সকল লোক তার চেয়ে কম ক্ষমতার অধিকারী এধরনের মানসিক লক্ষণযুক্ত রোগী যারা রোগিনী প্রবল কামাতুর, তলপেটে একটি জীবিত কোন বস্তুর নড়াচড়া অনুভব করেন মন সর্বদা পরিবর্তনশীল এই রমনীর জন্য প্লাটিনা উপযোগী।
Pulsatilla:নম্র স্বভাবের রমনী,ক্রন্দনশীল,মন পরিবর্তনশীল,জরায়ু তলপেট,কোমর বেদনায় কাতর,বাধক বেদনা মাসিক কম ইত্যাদি লক্ষণ সমষ্টি যে নারীর মাঝে পাওয়া যায় তার জন্য পালসেটিলা উপযোগী।
জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের বিকৃতির জন্য অধিকাংশ স্ত্রীলোক বন্ধ্যা হইয়া থাকে।এই জন্য জন্য সকল লক্ষণ বিবেচনায় ঔষধ প্রয়োগ জরুরী।ধাতু দোষের কারনেও বন্ধ্যাত্ব হতে পারে তাহার জন্য ক্যালকেরিয়া কার্ব ,সিমিসিফুগা,ব্যাসিলিনাম,ফেরাম মেট,ডাস্কোরিয়া,ফসফরাস,এসিড ফস,স্যাবাইনা,সিপিয়া,সালফার প্রভৃতি ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।বন্ধ্যাত্বের মুল কারন অনুসন্ধান করিয়া তার প্রতিকার প্রয়োজন।বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা একটি জটিল ব্যাপার।বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার জন্য সময়ের প্রয়োজন । নারীর বন্ধাত্ব চিকিৎসার সফলতার জন্য নারীর সুস্হ্যতা প্রয়োজন এ জন্য পুষ্টিকর খাদ্য যেমন ঘী ও দুগ্ধজাত দ্রব্য পথ্য দিলে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।যৌনরোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
যৌনরোগের মধ্যে একটি হলো ধ্বজভঙ্গ বা রতিশক্তিহীনতা (Impotency)।
যৌন উত্তেজনার অভাব এবং শক্তিহীনতার জন্য রতিশক্তির অভাবকে ধ্বজভঙ্গ বলা হয়।
কারনঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত সপ্নদোষ, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস, অতিরিক্ত টেনশন, বহুমুত্র, গনোরিয়া, ভিটামিন ও যৌন হরমোনের গোলযোগ, দীর্ঘদিন রোগে ভোগা, স্নায়বিক বা মানসিক রোগ ইত্যাদি নানান কারনে ধ্বজভঙ্গ রোগ হয়।
লক্ষনঃ ধ্বজভঙ্গ রোগে সহবাসের ইচ্ছা থাকলেও পুরুষাঙ্গের উত্তান বা তেজভাব আসে না, সহবাসের সময় পুরুষাঙ্গ সামান্য উত্তান হয়ে একটু পরেই আবার নিস্তেজ হয়ে পড়ে, অতি দ্রুত বীর্যপাত হয়, জননেন্দ্রিয় ছোট ও বক্র হয়ে পড়ে। এ রোগে রোগী সহবাস সুখ থেকে বঞ্চিত হয়, স্ত্রীর কাছে লজ্জিত ও হাস্যস্পদ হয়। মানসিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এ রোগ নিরাময় হয়। তবে ধর্য্য ধরে কিছুদিন নিয়মিত ঔষধ খেতে হয়। হোমিও ঔষধে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নাই।
এ রোগে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় ও পরীক্ষিত কয়েকটি ঔষধের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
1. Damiana, 2. Agnus Cast, 3. Ashwagandha,
4. Nuphar Luteum, 5. Salenium, 6. Titanium,
7. Lycopodium, 8. Yohimbinum. 9. Anacardium Ori (যদি রোগীর স্মৃতিশক্তি কমে যায়)।
রোগীর লক্ষন এবং রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারন জেনে
ঔষধের লক্ষন মিলিয়ে একটি বা দুটি ঔষধ কিছুদিন ধর্য্য ধরে খেলে এ রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে।
নবীন চিকিৎসকগন ঔষধের শক্তি ও মাত্রা জেনে এ রোগের চিকিৎসা করবেন। প্রয়োজন বোধে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। রোগ পুরাতন হলে জার্মানী ঔষধ ব্যবহার করা শ্রেয়।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা প্রয়োজন বোধে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।Nux Vomica:
নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।
Lycopodium clavatum:
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।
Salix nigra:
মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।
Sabal serrulata:
সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।
Selenium:
যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।
Staphisagria:
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।
Titanium:
সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা।
Agnus Castus:
সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।
Moschus Moschiferus:
ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
Phosphoricum Acidum:
সাধারণত টাইফয়েড বা এরকম কোন মারাত্মক রোগের ভোগার কারণে, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গেলে অথবা একেবারে নষ্ট হয়ে গেলে (এবং সাথে অন্য আরো যে-কোন সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস আপনাকে সব ফিরিয়ে দিবে।
Caladium seguinum:
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।
Origanum marjorana:
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।
Cantharis:
Cantharis ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ এবং এ ঔষধ টি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ায়একটি কার্যকরী ওষুধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।
Calcarea Carb:
ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।
Conium:
স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।
Natrum carbonicum:
যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।
Natrum Mur:
স্ত্রী লোক দেখিলে কথা বলিলে এমন কি মনে মনে ভাবিলেও অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায়।
Kali Bromatum:
বিষন্নতা জনিত কারণে যৌন দুর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি হলো স্মরণশক্তির দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে, মৃগী ইত্যাদি ইত্যাদি।
Kali Phos:
অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় জনিত অনিদ্রা,কাজ কর্মে অনিচ্ছা,জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা।
Silicea:
স্বপ্নদোষ, হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি কুফল এর জন্য।
বিঃ দ্রঃ সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ, লক্ষন মিলে গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করবেন না।
dr adnan sami 01721418696 www amarhomoeo.com
[:de]
যৌনজীবনে পুরুষের একান্ত দুর্বলতা- লক্ষণ,
কারণ ও কী করবেন
পুরুষত্বহীনতা, অর্থাৎ পুরুষের শারীরিক
অক্ষমতা বা দুর্বলতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ
করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন
বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌন
সমস্যা। অনেক পুরুষ অকালেই
হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা,
উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ
হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি,
সন্তানহীনতার হার।
এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।
কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ
শারীরিকভাবে সক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার
পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের
বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই।
হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের
স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের
কোন একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ
ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। কেন এমন
হচ্ছে সেটা জানার
আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত
দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে।
শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার
বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ
করা যেতে পারে-
১)ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লিঙ্গের
উত্থানে ব্যর্থতা।
২)পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লিঙ্গের
যোনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা,
বা যোনিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত
না হওয়া
৩)প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহবাসে দ্রুত বীর্য-
স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব।
থাকতে পারে অনেকগুলো কারণ
প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর
মাঝে মুখ্য হলো- ডায়াবেটিস,
লিঙ্গে জন্মগত কোন ত্রুটি, সেক্স হরমোনের
ভারসাম্যহীনতা,
গনোরিয়া বা সিফিলিসের মত যৌনরোগ
ইত্যাদি। প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও
প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত
পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম
বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর
জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ
যৌন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে।
আবার অতিরিক্ত যৌন সম্পর্কে যাওয়া,
অতিরিক্ত মাস্টারবেট বা হস মৈথুন করা,
যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ
সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও
চলবে না। এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা,
সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য
বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি,
পর্যাপ্ত যৌন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ
যৌনাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য
দায়ী হতে পারে।
কী করবেন?
-প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো একজন
ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন
ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল
চিকিৎসা নিন। এতে লজ্জার কিছুই নেই।
একটাই জীবন। লিজ্জার
চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী।
– আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয়
সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
-নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর
জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও
পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন,
রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের
চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার
শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও
থাকবে সুন্দর।
-সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের
উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌন জীবনে নানান
রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও
বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার
মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক
বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সেক্স টয়
ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
-যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার
কারণে সমস্যা হয়ে থাকে,
সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন
সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার
সাথে দূরে কোথাও
নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর
ভাবে জানার চেষ্টা করুন।
আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন।
মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও
সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন,
বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার
নায়িকা বা পর্ণ স্টারদের মিল
খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান,
নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন,
সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।
কী করবেন না?
-অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস
অবিলম্বে ত্যাগ করুন।
মাঝে মাঝে মাস্টারবেট অবিবাহিত
পুরুষদের জন্য খারাপ কিছু নয়,
তবে সেটা মাঝে মাঝেই ভালো। আর
যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই
যৌনজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
-যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য
হাতুড়ে ডাক্তারদের শরণাপন্ন হবেন
না বা কোন টোটকা ব্যবহার করবেন না। কোন
তেল বা ওষুধ কিছুই ব্যবহার করবেন
না হাতুড়েদের কথায় প্রভাবিত হয়ে।
-বাজারে সাময়িকভাবে যৌন
ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়,
যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌন
ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার
করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও,
ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুখী থাকুন।আপনার স্ত্রী কি চায় আপনার কাছে..??
.
সিংহভাগ স্ত্রীরাই স্বামীর কাছে যে মূল্যবান জিনিসটা চায় তা হল সময়…!
দশ ঘন্টা স্ত্রীর পাশে শুয়ে থাকলে আর দুই ঘন্টা স্ত্রীর পাশে বসে মোবাইল গুতালে স্ত্রীকে সময় দেয়া হয়না।
সিনা টান করে আপনি বলতে পারেন না আমি আমার বউকে বারো ঘন্টা সময় দেই। তাহলে আপনি নিজের সাথেই ধোকাবাজি করছেন।
মনে রাখবেন সেই পুরুষই উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম। তাহলে উত্তম হবার জন্য আপনার প্রয়াস কী জনাব….??
স্ত্রীর পাশে বসে গেইম খেলা আর কলিগদের সাথে ঘুরতে গিয়ে ফেবুতে ফটো আপলোড দেয়া…?
এই কি ন্যায়বিচার..?
.
কত শত নারী রাগে, ক্ষোভে, হিংসায়, ব্যথায়, আক্ষেপে, কষ্টে, যন্ত্রনায় বালিশ ভিজায় সে হিসাব কর্পোরেট পুরুষদের জানা নেই। নাহ ভুল বললাম, জানার ইচ্ছে নেই। নাহ এটাও ভুল বললাম, জেনেও না জানার ভান করে।
.
আপনার সময়ের কি খুব বেশি দাম…?
একদিন মোবাইলকে সময় না দিয়ে বউ কে নিয়ে বাইরে গেলে কি হয়….?
চব্বিশঘণ্টা/ সাত দিন এই ভাবে তিরিশ দিন…. একটা মানুষ কত সময় ধরে হাড়ি পাতিলের মাঝে সময় কাটাতে পারে…?
সেই বিবেক পুরুষদের নেই…
.
তবে জেনে রাখুন, আল্লাহ সব দেখেন। আপনার এই অবহেলার হিসেব আপনাকে কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে হাশরের ময়দানে। আল্লাহ বলেছেন – সেদিন একটা আড়চোখের দৃষ্টিও বাদ যাবেনা হিসেব থেকে…
.
স্ত্রীকে সময় দিন। বুঝুন, সে ও মানুষ। পর্দাশীলা তাই গৃহবন্দী মানুষ। তাকে সময় দিন, তার সাথে গল্প করুন, হাসুন, শেয়ার করুন সুখ দুখ। মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে ফুসকা চটপটি খান। আপনার সময়ের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে না। বরং যা করলেন নিজের জন্যই, উত্তম পুরুষ হওয়ার জন্য। “আল্লাহ তো বিশ্ববাসী থেকে বে পরওয়া।বন্ধ্যাত্বের হোমিও চিকিৎসা
নারীর বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধসমুহের লক্ষণভিত্তিক আলোচনা করা হল:
Agnus Cast : রমনীর মাসিক অনিয়মিত,স্বল্পস্রাব,সাদা বা হলুদ প্রদর স্রাব কাপড়ে দাগ পরে সেই নারীর বন্ধ্যাত্বের জন্য উপযোগী।
Asvagandha : এই ঔষধটি নিয়মিত বন্ধ্যা নারীকে নিয়মিত দিলে সে সন্তান লাভের উপযোগী হয়।এ ঔষধটি সেবনে নারীর স্বাস্হ্য সবল হয় ডিম্বানু উৎপন্ন হয় ও সন্তান লাভের উপযুক্ত হয়।
Aurum Mur Nat: জরায়ু রোগাক্রান্ত রোগিনীর জন্য অরাম মিউর নাট উপযোগী।জরায়ুতে ছোট ছোট টিউমার,বেশী বেশী রক্ত প্রদর ইত্যাদি লক্ষনে উপযোগী।
Aurum Met: স্বল্পরঃজ, রুদ্ধরঃজ বা বিলম্বিত রজঃস্রাব যুক্ত , সন্তান না হওয়ার কারনে ভীষণ মনোকষ্ট,সর্বদা মনমরা,সন্তান পাওয়ার চিন্তা সবসময় চিন্তিত সেইরোগীর জন্য অরাম মেট উপযোগী।
Borax: ডিমের সাদা অংশের মত প্রচুর সাদা স্রাব, সব সময় যোনী ভিজিয়া থাকে ।মাথার চুলের আগা জরিয়ে যায়, সিড়ি দিয়ে উপর হতে নিচে নামতে ভয়, সেই সকল বন্ধ্যা নারীর জন্য উপযোগী।
Calcaria Carb: মোটা থলথলে রোগী যাদের ঋতুস্রাব প্রচুর তাহাদের বন্ধ্যাত্ত্বে এটি উপকারী।
Caulophyllum: যে সকল নারীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অস্থিসন্ধিতে বাত থাকে তাদের সাদা স্রাবের কারনে গর্ভধারনে অসমর্থ হলে কলোফাইলম উপযোগী।
Conium Met: নারীর অনিয়মিত মাসিক,মাসিক কম,মাসিকের সময় স্তনে বেদনা এই লক্ষণ সমষ্টি যে নারীর মাঝে পাওয়া যায় তার জন্য উপযোগী।
Natrum Carb: যাদের গ্রীষ্মকালের উত্তাপে দুবলর্তা,সূর্যের তাপে মাথা ব্যাথা, রোগী মনমরা দুঃখিত অত্যন্ত ফ্যাকাশে,সামান্য পরিশ্রমেই কষ্ট হয়, তাদের স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর স্বামীর বীর্য স্রীর যোনি হইতে বাহির হইয়া আসে বিধায় গর্ভধারনে করতে অসমর্থ হয় তবে নেট্রাম কার্ব উপযোগী।
Helonias Dioica: র্দুবল স্বাস্থ্যহীন নারী যাদের পেটে সবসময়ই ভারবোধ, অত্যন্ত খিটখিটে স্বভাব,গভীর বিষাদপূর্ন। জরায়ুর নানা রোগ ভোগগের কারনে সন্তান না হলে এ ঔষধটি উপযোগী।
Iodium: রাক্ষুষে ক্ষুধা রোগিনী ঠিকমত খায় কিন্তু শরীর ক্রমশ: শুকাইয়া যায়।স্তন শুষ্ক,ডিম্বকোষ,জরায়ুর রোগ ভোগ ইত্যাদির কারনে নারী সন্তান উৎপাদনে অসমর্থ হলে আইয়োডিয়াম উপযোগী।
Natrum Carb: যাদের গ্রীষ্মকালের উত্তাপে দুবলর্তা,সূর্যের তাপে মাথা ব্যাথা, রোগী মনমরা দুঃখিত অত্যন্ত ফ্যাকাশে,সামান্য পরিশ্রমেই কষ্ট হয়, তাদের স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর স্বামীর বীর্য স্রীর যোনি হইতে বাহির হইয়া আসে বিধায় গর্ভধারনে করতে অসমর্থ হয় তবে নেট্রাম কার্ব উপযোগী।
Phosphorus: রোগী সুন্দর রোগা লম্বা স্বভাব কোমল হয় ,অল্প কারণে মনে ব্যাথা পায় , সহবাস ইচ্ছা খুব প্রবল থাকে তাহাদের বন্ধ্যাত্ত্বে উপযোগী।
Platinum: নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে আর সকলকে নিকৃষ্ট মনে করে, সকল লোক তার চেয়ে কম ক্ষমতার অধিকারী এধরনের মানসিক লক্ষণযুক্ত রোগী যারা রোগিনী প্রবল কামাতুর, তলপেটে একটি জীবিত কোন বস্তুর নড়াচড়া অনুভব করেন মন সর্বদা পরিবর্তনশীল এই রমনীর জন্য প্লাটিনা উপযোগী।
Pulsatilla:নম্র স্বভাবের রমনী,ক্রন্দনশীল,মন পরিবর্তনশীল,জরায়ু তলপেট,কোমর বেদনায় কাতর,বাধক বেদনা মাসিক কম ইত্যাদি লক্ষণ সমষ্টি যে নারীর মাঝে পাওয়া যায় তার জন্য পালসেটিলা উপযোগী।
জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের বিকৃতির জন্য অধিকাংশ স্ত্রীলোক বন্ধ্যা হইয়া থাকে।এই জন্য জন্য সকল লক্ষণ বিবেচনায় ঔষধ প্রয়োগ জরুরী।ধাতু দোষের কারনেও বন্ধ্যাত্ব হতে পারে তাহার জন্য ক্যালকেরিয়া কার্ব ,সিমিসিফুগা,ব্যাসিলিনাম,ফেরাম মেট,ডাস্কোরিয়া,ফসফরাস,এসিড ফস,স্যাবাইনা,সিপিয়া,সালফার প্রভৃতি ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।বন্ধ্যাত্বের মুল কারন অনুসন্ধান করিয়া তার প্রতিকার প্রয়োজন।বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা একটি জটিল ব্যাপার।বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার জন্য সময়ের প্রয়োজন । নারীর বন্ধাত্ব চিকিৎসার সফলতার জন্য নারীর সুস্হ্যতা প্রয়োজন এ জন্য পুষ্টিকর খাদ্য যেমন ঘী ও দুগ্ধজাত দ্রব্য পথ্য দিলে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।যৌনরোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ
যৌনরোগের মধ্যে একটি হলো ধ্বজভঙ্গ বা রতিশক্তিহীনতা (Impotency)।
যৌন উত্তেজনার অভাব এবং শক্তিহীনতার জন্য রতিশক্তির অভাবকে ধ্বজভঙ্গ বলা হয়।
কারনঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত সপ্নদোষ, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস, অতিরিক্ত টেনশন, বহুমুত্র, গনোরিয়া, ভিটামিন ও যৌন হরমোনের গোলযোগ, দীর্ঘদিন রোগে ভোগা, স্নায়বিক বা মানসিক রোগ ইত্যাদি নানান কারনে ধ্বজভঙ্গ রোগ হয়।
লক্ষনঃ ধ্বজভঙ্গ রোগে সহবাসের ইচ্ছা থাকলেও পুরুষাঙ্গের উত্তান বা তেজভাব আসে না, সহবাসের সময় পুরুষাঙ্গ সামান্য উত্তান হয়ে একটু পরেই আবার নিস্তেজ হয়ে পড়ে, অতি দ্রুত বীর্যপাত হয়, জননেন্দ্রিয় ছোট ও বক্র হয়ে পড়ে। এ রোগে রোগী সহবাস সুখ থেকে বঞ্চিত হয়, স্ত্রীর কাছে লজ্জিত ও হাস্যস্পদ হয়। মানসিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এ রোগ নিরাময় হয়। তবে ধর্য্য ধরে কিছুদিন নিয়মিত ঔষধ খেতে হয়। হোমিও ঔষধে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নাই।
এ রোগে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় ও পরীক্ষিত কয়েকটি ঔষধের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
1. Damiana, 2. Agnus Cast, 3. Ashwagandha,
4. Nuphar Luteum, 5. Salenium, 6. Titanium,
7. Lycopodium, 8. Yohimbinum. 9. Anacardium Ori (যদি রোগীর স্মৃতিশক্তি কমে যায়)।
রোগীর লক্ষন এবং রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারন জেনে
ঔষধের লক্ষন মিলিয়ে একটি বা দুটি ঔষধ কিছুদিন ধর্য্য ধরে খেলে এ রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে।
নবীন চিকিৎসকগন ঔষধের শক্তি ও মাত্রা জেনে এ রোগের চিকিৎসা করবেন। প্রয়োজন বোধে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। রোগ পুরাতন হলে জার্মানী ঔষধ ব্যবহার করা শ্রেয়।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা প্রয়োজন বোধে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।Nux Vomica:
নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।
Lycopodium clavatum:
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।
Salix nigra:
মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।
Sabal serrulata:
সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।
Selenium:
যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।
Staphisagria:
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।
Titanium:
সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা।
Agnus Castus:
সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।
Moschus Moschiferus:
ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
Phosphoricum Acidum:
সাধারণত টাইফয়েড বা এরকম কোন মারাত্মক রোগের ভোগার কারণে, মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ ইত্যাদি কারণে যৌন ক্ষমতা কমে গেলে অথবা একেবারে নষ্ট হয়ে গেলে (এবং সাথে অন্য আরো যে-কোন সমস্যা হউক না কেন) এসিড ফস আপনাকে সব ফিরিয়ে দিবে।
Caladium seguinum:
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীরয নির্গত হয় না বা যাদের বীরয তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।
Origanum marjorana:
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।
Cantharis:
Cantharis ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ এবং এ ঔষধ টি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ায়একটি কার্যকরী ওষুধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।
Calcarea Carb:
ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।
Conium:
স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।
Natrum carbonicum:
যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়), তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।
Natrum Mur:
স্ত্রী লোক দেখিলে কথা বলিলে এমন কি মনে মনে ভাবিলেও অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায়।
Kali Bromatum:
বিষন্নতা জনিত কারণে যৌন দুর্বলতায় এটি প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি হলো স্মরণশক্তির দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, হাত দুটি সর্বদাই ব্যস্ত থাকে, মৃগী ইত্যাদি ইত্যাদি।
Kali Phos:
অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় জনিত অনিদ্রা,কাজ কর্মে অনিচ্ছা,জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা।
Silicea:
স্বপ্নদোষ, হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি কুফল এর জন্য।
বিঃ দ্রঃ সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ, লক্ষন মিলে গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করবেন না।
dr adnan sami 01721418696 www amarhomoeo.com
[:]