বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে রোগশক্তি
চিকিৎসা বিজ্ঞানে (বিশেষত প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে) রোগশক্তি সংক্রান্ত বিষয় অধিভৌতিক বা অধিবিদ্যামূলক দৃষ্টিভঙ্গির ধারা বিদ্যমান। এখনও পর্যন্ত
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির ধারা সংযোজিত হয় নি। এই প্রেক্ষাপটে আলোকে রোগশক্তি বিষয় দৃষ্টিভঙ্গিগত আলোকপাতের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক ধারা প্রতিষ্ঠা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা জরুরী।
#রোগশক্তি বিষয় অধিভৌতিক বা অধিবিদ্যামূলক দৃষ্টিভঙ্গিঃ
প্রাগ ঐতিহাসিকালে ক্রোধান্বিত আত্মাকে রোগের কারণ হিসেবে দেখা হত। পরবর্তীতে একই দৃষ্টিভঙ্গি চিকিৎসা চলমান ও ক্রিয়াশীল। শুধু মাত্র ক্রোধান্বিত আত্মাকে পরিবর্তিত করে অশুভ শক্তি হিসেবে নুতনভাবে সংগায়িত করা হয়। জীবনী শক্তির মত অশুভ রোগ শক্তি অতীন্দ্রিয় অজড় অদৃশ্য অশরীরী শক্তি,যা দেখা যায় না, স্পর্শ করা যায় না আকার- আয়তনহীন অথচ তার অস্তিত্ব বিরাজমান।যা শুধুমাত্র উপলব্ধি করা যায় মাত্র। বাহিরের বা অভ্যন্তরীন (আর্থ সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ) কোন উদ্দীপক এই শক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে না।অন্তর্নিহিত এই অশুভ শক্তি রোগ শক্তি হিসেবে অশরীরী জীবন শক্তিকে আক্রান্ত করে পরাস্ত করে রোগ ও লক্ষণসমূহ সৃষ্টি করে।এই দৃষ্টিভঙ্গির কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নাই। যা শুধুমাত্র অনুমান লব্ধ চিন্তার উপর দাঁড়িয়ে আছে।
#বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিঃ
পূর্বেই মানবদেহের গাঠনিক উপাদান ও জীবনী শক্তি বিষয় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছ। উল্লেখ করা হয়েছে মানবদেহ পরমানু সমন্বয়ে ৭০ট্রিলিয়ন কোষ দ্বারা গঠিত। প্রতিটি কোষস্তরে পরমানু ও অনুসমূহের রাসায়নিক বিক্রিয়ার সৃষ্ট শক্তি হল জীবনী শক্তি। এই শক্তির সুস্থির ও স্থায়ী রাসায়নিক বন্ধন রয়েছে। এই শক্তি অতিন্দ্রীয় বা অনুমান লব্ধ নয়। একে উপলব্ধি ও অনুভব করা যায়।এবং ব্যাখ্যা করা যায়।তেমনি রোগ শক্তি পরমানুর সমন্বয়ে গঠিত অনুসমূহের বন্ধন। এদের ইলেক্ট্রনসমূহ অস্থিতিশীল, বিজোড় ও অস্থায়ী। যাকে Free Radical Substance (Molecules)(দূষন উপাদান) বলা হয়। কারণসমূহ উদ্দীপক হিসেবে শারীরবৃত্তে Free Radical Substance সৃষ্টি হয়।
#Free Radical Molecules সৃষ্টিকারী উদ্দীপক কারণসমূহঃ
#আর্থ-সামাজিক পরিবেশ থেকে শারীরিক ও মানসিক চাপসমূহঃ
(১)দারিদ্র্যতাজনিত কারনে-খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা সেবা থেকে বন্ঞ্চনাজনিত মানসিক চাপ।
(২) আত্মিক সম্পর্ক বিনষ্টজনিত মানসিক চাপ।
(৩) বেকার যুবকদের (শিক্ষিত ও অশিক্ষিত) কার্য প্রাপ্তি থেকে বন্ঞ্চনাজনিত মানসিক চাপ।
(৪) বর্ণ বৈষম্যজনিত কারনে নীচুতা ও সংকীর্ণতা থেকে মানসিক চাপ।
(৫) স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতা,প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্ট সংঘাত থেকে উদ্ভূত ভয় ও নিরাপত্তাহীনতাজনিত মানসিক চাপ।
(৬) এ ছাড়া সামাজ থেকে উদ্ভুত বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক চাপ থেকে সৃষ্ট দুঃখ, হতাশা ও বেদনা রূপে মানসিক চাপ।
(৭) অতিরিক্ত পরিশ্রমজনিত শারীরিক চাপ।
(৮) প্রচন্ড তাপাদহজনিত শারীরিক চাপ।
(৯)প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি অভাবজনিত চাপ।
(১০) অধিক পরিমান খাদ্য গ্রহনজনিত চাপ।
(১১) ব্যথা নাশক,অবসাদ নাশক, ঘুমের ওষুধ, উচ্চ শক্তিশালী এন্টবায়োটিক ওষুধ সেবন জনিত সৃষ্টি দুষন উপাদানজনিত চাপ।
(১২) বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট দূষণ উপাদানজনিত চাপ।
(১৩) শোধিত কার্বোহাইড্রেট ও প্রসেসিং খাদ্য ( চিনি ও চিনির তৈরীর সমস্ত প্রকার খাদ্যসমূহ, ময়দার তৈরীর সমস্ত প্রকার খাদ্য সমগ্রী) শোধিত মধু,ঠান্ডা পানীয়, অ্যালকোহল গ্রহনজনিত।
#(১৩) কৃষি ব্যবস্থাপনা থেকে দূষণ প্রক্রিয়াঃ
(ক) বীজ ও চারা বপনের পূর্বে পোকা মাকড় ধ্বংশকারী ঔষধ প্রয়োগ।
(খ) ফসলের শ্রী বৃদ্ধির জন্য অধিক পরিমান ইউরিয়া নামক রাসায়নিক সার প্রয়োগ।
(গ) আবহাওয়া মন্ডলের পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষার জন্য ঔষধ প্রয়োগ। (কৃষি ফসলের উন্নয়নের নামে ফসল ধ্বংশকারী পোকামাকড় নিধনে যে ঔষধ প্রয়োগ করা হয় তাহল পেস্টিসাইড, হারবিসাইডস গ্রুপের বিভিন্ন নামে ঔষধসমূহ দূষণ সৃষ্টিতে প্রধান ভুমিকা পালন করে থাকে।
√কৃষি ও খাদ্যশস্যে রাসায়নিক উপাদানসমূহ প্রয়োগজনিত সমস্যা তাহলঃ
★ মাটির পুষ্টি উপাদান ধ্বংস করে।
★ মাটির উর্বরতা সহায়ক বিভিন্ন জীবানু ধ্বংস করে।
★মাটির তাপমাত্রা ধ্বংস করে।
★উৎপাদিত ফসলের পুষ্টিমান ক্ষতিগ্রস্ত করে।
★উৎপাদিত খাদ্য-শস্যের মধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক অনুসমূহ পুঞ্জিভূত হয়।উল্লেখিত ক্ষতিকর রাসায়নিক অনুসমূহ পুঞ্জিভূত খাদ্য-শস্য গ্রহনজনিত।
#(১৪) শিল্প ব্যবস্থাপনা থেকে দূষণ প্রক্রিয়া তাহলঃ
(ক) গাড়ি ও কলকারখানার ধোঁয়া থেকে দূষন।
(খ) কলকারখানার বর্জ্য থেকে দূষন।
(গ) যুদ্ধক্ষেত্রে ও পরীক্ষামূলক বোমা বা পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণজনিত দূষণ।
(ঘ) রাসায়নিক উপাদান ভূগর্ভে সংরক্ষণ থেকে দূষণ।
(ঙ) জলযান থেকে তেল ও বর্জ্য নির্গত থেকে দূষণ।
(চ) ভূগর্ভে সংরক্ষিত বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান থেকে দূষণ।
(ছ) মশক নিধন কয়েল ও গ্যাসীয় জ্বালানির থেকে দূষন।
√ শিল্প ব্যবস্থাপনা থেকে দূষণ প্রক্রিয়ায় যে সমস্যা সৃষ্টি করে তাহলঃ
★পানি দূষণ সৃষ্টি করে।
★মাটি দূষণ সৃষ্টি করে।
★বায়ুর ভারসাম্য নষ্ট করে।অর্থাৎ কার্বনডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি করে। উল্লেখিত দূষণ উপাদানসমূহ শ্বাস ক্রিয়ার মাধ্যমে, পানীয় পানের মাধ্যমে।
(১৫) ধুমপান ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য সেবনজনিত।
(১৬) জীবনুর সংক্রমণজনিত (ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগি ও প্যারাসাইট )।
(১৭)ইমিউন পদ্ধতির বিপর্যয়জনিত।
(১৮) জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল বা ইনজেকশন গ্রহনজনিত।
(১৯) স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবনজনিত।
(২০)পশুদের শ্রীবৃদ্ধি ও দুগ্ধ উৎপাদনে রাসায়নিক উপাদান ও হরমোন প্রয়োগকৃত পশুর মাংস আহার ও দুগ্ধ সেবনজনিত।
[ স্থান,কালের ভিত্তির উপর আরও বিভিন্ন কারণসমূহ উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে,যা প্রেক্ষাপট বিবেচ্য]
# Free Redical Substanceএর অনুসমূহ হলঃ
★নাম/সংকেত/পারমানবিক ওজন।
√ Superoxide Ion Radical/O2-/Molar Mass-31.999 g°mol-1
√ Hydrogen Peroxide-/H2O2/Molar Mass34.0147 g/mol
√ Hypochlorite/ClO/Molar Mass 51.452 g/mol
√Nitric Oxide/NO//Molar Mass30.01 g/mol
√Peroxynitrite/NO3-//Molar Mass62.005 g/mol
√Hydroxyl Radical/HO//Molar Mass 17.007 g°mol-1
√Singlet Oxygen/O2//Molar Mass 31.998 g°mol-1
√Hyrogen Superoxide/Peroxyl Radical/HO2/Molar Mass33.006 g°mol-1
√Ozone/O3//Molar Mass47.997g°mol-1
√Hypoclorus Acid/HOCL//Molar Mass52.0147 g/mol
Free Radical Substance-Substance-এর অনুসমূহের ইলেকট্রনসমূহ হল অস্থিতিশীল ও বিজোড়।এরা ইলেকট্রনের কক্ষ পথের বাহিরে অবস্থান করে থাকে।
#Free Redical Substance-এর অনুসমূহের কাজঃ
এই অনুসমূহ শিকল বিক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের কোষ,কলা,ডি,এন,এসহ পুষ্টি উপাদানসমূহ ক্ষতি সাধন করে দূরারোগ্য ও মরণ ব্যধি সৃষ্টি করে থাকে।
√সুতরাং রোগ শক্তি কোন অজড় বা অশরীরী কোন অশুভ শক্তি নয়।এর হল Free Radical Substances (অস্থায়ী ও অস্থির রাসায়নিক অনুসমূহের বন্ধন)
যা বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় স্বীকৃত।
√রোগ শক্তি ও জীবনী শক্তি সাদৃশ নয়।পরস্পরের বিরোধী শক্তি। রোগ শক্তির অনুসমূহের রাসায়নিক বন্ধন জীবনী শক্তির রাসায়নিক বন্ধনকে ভেঙ্গে দিতে চায়।আর জীবনী শক্তির প্রতিরোধক শক্তির অনুসমূহের কাজ হল রোগ শক্তির অনুসমূহ ধ্বংশ ও নিস্ক্রিয়করন করা।এই হল রোগ শক্তি ও জীবনী শক্তির বৈশিষ্ট্য।
বিজ্ঞানের কাজ হল যে কোন চিন্তা ও বিষয়সমূহ সময়ের প্রেক্ষাপটে Upgradation,Rectification & Modification করা। এর আলোকে নুতন তত্ত্ব উদ্ভাবন ও প্রায়োগিক প্রক্রিয়া গড়ে উঠে। আমর প্রতিনিয়ত রোগ সংক্রান্ত বিষয় নুতন নুতন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। তাকে মোকাবেলা করাই হল আমাদের প্রধান কাজ। সমস্যা মোকাবেলা না করে যদি এড়িয়ে গিয়ে বলে ফেলি আমরা যে চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহন ও ধারন করেছি সেটা স্থায়ী। এর মানে হল পরিবর্তনহীন। এর ফলে সময়ের সাথে সাথে এক সময় আমরা হারিয়ে যাব। বিকল্প পদ্ধতির চিকিৎসক হিসেবে নিজ পদ্ধতিকে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সম পর্যায়ে তুলে আনাটাই হল সময়ের প্রেক্ষাপটের দাবী। কোন রোগী চিকিৎসার জন্য আপনার নিকট উপস্থিত হয়ে যদি প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার কাগজপত্র উপস্থাপন করেন, তাহলে আপনি বলতে পারেন না আপনার পদ্ধতির চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির কাছে এই সব কাগজপত্র মূল্যহীন। তার অর্থ দাড়ায় আপনি সময়ের প্রেক্ষাপটে পরিবর্তনে বিশ্বাসী নন। অর্থাৎ শরীরবৃত্তীয় বিজ্ঞান ও রোগতত্ত্ব বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন না। সময় ও প্রেক্ষাপট আপনাকে বলে দিচ্ছে অনুশীলনের বিষয় কি হবে। যে তত্ত্ব ও চিন্তা বিকাশমান নহে, তাকে বিজ্ঞান বলা যায় না।
#সময়ের প্রেক্ষাপটে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি আলোকে করনীয়ঃ
# মানব শরীর গঠন,শরীরবৃত্তীয় কার্যপ্রক্রিয়া ও বিপর্যয় সম্পর্কিত বিষয়ঃ
(১) শারীরিক গাঠনিক উপাদানসমূহ(পরমানু ও অনুসমূহ বিষয়) ও বিভিন্ন অংগ-তন্ত্রসমূহ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা।
(২) গাঠনিক উপাদানসমূহের শক্তি উৎপাদনের প্রক্রিয়া ও কাজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা।
(৩) শারীরবৃত্তীয়ে (Physiological Action) শক্তির কার্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান থাকা।
(৪) শরীরবৃত্তীয় কার্যপ্রক্রিয়া বিপর্যয়ের কারন অনুসন্ধানের জ্ঞান থাকা।
(৫) শরীরবৃত্তীয় কার্যপ্রক্রিয়া বিপর্যয়ের ফলে সুনির্দিষ্ট অংগ ও তন্ত্রের (রোগাক্রান্ত হওয়া) বিপর্যয়ের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য অংগ ও তন্ত্রসমূহ বিপর্যয় দেখা দেয় কিনা এ বিষয় জ্ঞান থাকা।
(৬) আর্থ-সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে মানব শরীর ও মনের উপর প্রভাবের ধরন সম্পর্কে জানা।
(৭) কারণ হিসেবে শরীরবৃত্তীয় বিপর্যয়ের (রোগশক্তি) উৎস আর্থ-সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপর্যয়ের কারণসমূহের বিষয় জ্ঞান থাকা।
(৮) শরীরবৃত্তীয় বিপর্যয়ের কারন হিসেবে নেতিবাচক চাপসমূহ (আর্থ-সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের বিপর্যয়ের প্রভাব) কি প্রক্রিয়ায় শরীরবৃত্তীয় কার্যকলাপের বিপর্যয় সৃষ্টি করে সে বিষয় জ্ঞান থাকা।
# রোগশক্তি ও রোগ নির্ণয়করন প্রক্রিয়াঃ
(১) প্রথমত কারন হিসেবে নেতিবাচক শক্তির ক্রিয়া শরীরবৃত্তীয় বিপর্যয়ে শরীরগত ও মননক্রিয়ায় প্রথমে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি পরিলক্ষিত হয় তা পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে জানা।
(২) দ্বিতীয়ত্ব কারন হিসেবে নেতিবাচক শক্তিসমূহ অনুসন্ধান ও শরীরবৃত্তীয় কোন ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে এবং কোষ ও কলাসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত স্তরসমূহ ও ভবিষ্যৎ রোগের গতি প্রকৃতি কোন দিকে প্রবাহিত হবে তা নির্ণয়ে প্যাথলজিক্যালসহ অন্যান্য পরীক্ষাসমূহ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা।
# রোগ নিরাময়ে প্রায়োগিক দৃষ্টিভঙ্গিঃ
(১) রোগ নিরাময়ে কারন হিসেবে নেতিবাচক শক্তি নির্ণিত হলে কারন অপসারণ, ধ্বংশ,পরিপূরন ও নিস্ক্রিয়করনে ভেষজসমৃদ্ধ ঔষধের ভুমিকা সম্পর্কে জানা।
(২) এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মানুষের সাথে সবচেয়ে বেশী পরস্পর নির্ভরশীল ও ক্রিয়াশীল হল উদ্ভিদ শ্রেণী।
সুতরাং উদ্ভিদের গাঠনিক উপাদানসমূহ ও রাসায়নিক কার্যপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরী। কি প্রক্রিয়ায় ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত উদ্ভিদ শ্রেণির রাসায়নিক উপাদানসমূহ মানব শরীরে পরিপূরক হিসেবে কোষ, কলা পুনর্গঠন, প্রদাহ নাশক, জীবানু নাশক (এন্টিবায়োটিক),ক্ষতিকর কোষ বিভাজন বন্দ,শক্তি সৃষ্টি,কোষ ও কলা উন্নয়ন ও বিকাশ, ইমিউন পদ্ধতির উন্নয়ন ও বিকাশ, অংগ ও তন্ত্রসমূহের কার্যপ্রক্রিয়ায় সক্রিয়তা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম কি ভাবে করে থাকে সে বিষয় (রাসায়নিক উপাদানসমূহ) জ্ঞান থাকা।
সুতরাং প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধের উৎস বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী কোন উপাদানসমূহ হওয়া উচিৎ নয়।
(৩) এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে শক্তি ও বস্তু পরমানু ও অনুর সমন্বয়ে গঠিত। সুতরাং একটি শিশি বা বোতলে যে নামে একটি ঔষধ হিসেবে থাকুক না কেন তা কোন একক নয়,তাতে রয়েছে পরমানুসমূহে সমন্বয়ে গঠিত অনুসমূহের একাধিক যৌগ। সুতরাং সমগোত্রীয় কোন পরমানু বা অনুসমূহের যৌগ একাধিক ঔষধসমৃদ্ধ ভেষজে যদি পরিলক্ষিত হয় তাদের (ভেষজসমূহের) সম্মিলিত যৌগ বা পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ পরস্পর কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না।
(১৪) শরীরবৃত্তীয় বিপর্যয়ের ফলে আক্রান্ত কোষ ও কলা এবং অংগ ও তন্ত্রসমূহ নিরাময়ে অন্য কোন অংগ ও তন্ত্রের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে কিনা তা অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ভেষজসমৃদ্ধ ঔষধ প্রয়োগ করা।
√যেমনঃ Polycystic Ovarian syndrome এর অর্থ হক ডিম্বাশয়ে বহুধা সিস্ট।
#এই সিস্টের কারনসমূহঃ
★ শারীরবৃত্তে Estrogen Hormone বৃদ্ধি। √Estrogen Hormone বৃদ্ধির কারণসমূহঃ
(ক) পরিবেশ নেতিবাচক চাপ সৃষ্ট ও শরীরবৃত্তীয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সৃষ্ট টক্সিন (Free Redical Substance) শারীরবৃত্তে Estrogen Hormone বৃদ্ধি করে।
(খ) পিটুইটারী থেকে নিঃসৃত হরমোনCastus
বৃদ্ধির ফলে Estrogen Hormone বৃদ্ধি পায়।
#নিরাময়ে করণীয়ঃ
(১) High Estrogen Hormone নিস্ক্রিয়করন ও Free Redical Substance নিস্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে যকৃতের ভুমিকা অপরিহার্য। যকৃতের কার্যশক্তি বৃদ্ধিতে ভেষজসমূহ হল- রাসায়নিক উপাদান Alkaloid (Chelidonine) ধারনকৃত ভেষজ Chelidonium Majus ও Flavonoid(Silymarin) ধারনকৃত ভেষজ-Carduus Marinus
(২) Estrogen Hormone ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করা। এই
ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে Phytoestrogen Herbs গুরুত্বপূর্ণ।
Phytoestrogen Herbs প্রধান রাসায়নিক উপাদান Steroiodal Glycosides Saponins.এই রাসায়নিক উপাদান ধারনকৃত ভেষজসমূহ-★Ashoka ★Cimicifuga Racemosa ★Dioscorea Villosa
★Helonias Dioica.
(৩) FSH এর ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে করা। এই ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে প্রধান রাসায়নিক উপাদান Iridoid Glycosides.ভেষজ হল-Agnus Castus.
(৪) এপিথেলিয়াল স্তর হল সিস্ট।এর বিকাশ বিভাজন বন্দ করা ও অপসারণে রাসায়নিক উপাদান Alkaloid (Thujone) ধারনকৃত ভেষজ Thuja Occidentalis ও Alkaloid(Berberine) ধারনকৃত ভেষজ Hydrastis Canadesis গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সিস্ট রোগ নিরাময়ে উল্লেখিত কারনসমূহ অপসারণ, নিস্ক্রিয়করন ও পরিপূরনে ৪টি করণীয় বাস্তবায়নে একক কোন ঔষধের বা একক কোন রাসায়নিক উপাদানের ভুমিকা নেই। ফলে ৪টি পৃথক রাসায়নিক উপাদানসমূহ ৪টি ভেষজসমৃদ্ধ ঔষধ গ্রুপ বিদ্যমান।সুতরাং প্রায়োগিক দৃষ্টিভঙ্গি হবে করনীয় ভিত্তিতে।
[এবার যে সব বিষয় আলোকপাত করা হবে তাহলঃ √কারন কি লক্ষণ সৃষ্টি করে না লক্ষণ কারন সৃষ্টি করে
√ শক্তি কি?শক্তি ও ভরের মধ্যকার সম্পর্ক।
” স্বাস্থ্যকর এবং সুখী যৌন জীবন প্রত্যেকেই চায়। তারপর ও কারও কারও দাম্পত্য জীবনে যৌন সমস্যা রয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রেই এর পরিনতি ঘটে বিচ্ছেদ। যৌন অক্ষমতা যেমন — কম বীর্যপাত, অকাল বীর্যপাত এবং দম্পতিদের মধ্যে সেক্স ড্রাইভের অভাব ইত্যাদি সমস্যাগুলো বর্তমানে খুব গভীর হয়ে দাড়িয়েছে ।
তাই শারীরিক যৌন অক্ষমতাকে দূর করতে বরং এমন কিছু প্রাকৃতিক খাবার খান যা আপনার যৌন ক্ষমতা বা ইচ্ছাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এসব খাবার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি পূরণের পাশাপাশি যৌন অক্ষমতাকে সক্ষম করে তুলতে খুবই উপকারীঃ-
# সেসব খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানা বিশেষ জরুরিঃ
√ বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার
√ এলাচ
√ ব্রকোলি
√ কলা
√ দুধ ও ডিম
√ মধু
√ রসুন
√ ঝিনুক
√ ডার্ক চকোলেট
√ বিট ও গাজর
√ খেজুর
√ পালংশাক
√ স্ট্রবেরি
√ তরমুজ
√ তৈলাক্তমাছ
★ দুধঃ
যৌন ক্ষমতাকে ধরে রাখতে দুধের গুরুত্ব অপরিসীম । এতে থাকা প্রাণিজ- ফ্যাট যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। শরীরে সেক্স হরমোনের পরিমাণ বাড়াতে চাইলে বেশি পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যেমনঃ খাঁটি দুধ, দুধেরসর, মাখন ইত্যাদি। বিশেষ করে ফ্যাট জাতীয় খাবারগুলো যেন হয় প্রাকৃতিক ও স্যাচুরেটেড যুক্ত ফ্যাট। ছাগলের দুধ পুরুষের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
★ এলাচঃ
এলাচকে বলা হয় রোমান্টিক মশলা। কারণ এতে অ্যাফ্রোডিসিয়াক বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি যৌন ইচ্ছা বাড়াতে সাহায্য করে। এলাচের তেলের ম্যাসেস রোমান্টিক বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও চা এবং কফি হিসেবে এলাচ খাওয়া পুরুষত্বহীনতা দূর করতে উপকারী।
★ ব্রকোলিঃ
অনেকেই খেতে পছন্দ না করলে ও সবজির মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও উপকারী সবজি হল ব্রকলি। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন — সি থাকে, জননাঙ্গে রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে। কারণ -Vitamin C শরীরে বয়ে চলা রক্ত স্রোতের ধারাকে বজায় রাখে । যৌন মুহূর্তে অঙ্গে রক্ত স্রোতের অবাধ প্রবাহকে বহাল রাখতে ব্রকলি খুবই কার্যকর।
★ কলাঃ
কলায় থাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন – A, B,C ও পটাশিয়াম যা মানবদেহের যৌনক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। ব্রোসেলাইন নামক এনজাইম সেল সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরন পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এবং পুরুষদের মধ্যে কাম শক্তি বাড়ায়। পটাশিয়াম ও ভিটামিন শরীরে রক্ত সন্ঞ্চালনের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে এবং দেহের শক্তির স্তরকে বাড়িয়ে তোলে।
★ ডিমঃ
যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী খাবার হলো ডিম। এতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে যা হরমোনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্যে করে। প্রতিদিন সকালে একটি করে ডিম খেলে শারীরিক শক্তি ও যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
★ মধুঃ
মধু হলো হাজারো ফুল ও দানার নির্যাস, যা যৌন ইচ্ছাকে বৃদ্ধি করতে এবং যৌবনকে ধরে রাখতে ও শ্রেষ্ঠ উপাদান রাখে।
★ রসুনঃ
বহুকাল থেকেই যৌন সমস্যা মেটাতে রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে। রসুন নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌন উদ্দীপনাকে বাড়াতে এবং জননাঙ্গকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। রসুনে থাকা অ্যাসিন যা যৌন অঙ্গগুলোকে রক্ত প্রবাহের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে।
★ ঝিনুকঃ
যৌন ক্ষমতাকে ধরে রাখতে এবং যৌনজীবন আন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খুবই উপকারী খাদ্য। এতে থাকে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও জিঙ্ক যা শুক্রানুর সংখ্যাকে বৃদ্ধি করে এবং যৌন ইচ্ছাকে বাড়িয়ে তোলে।
★ ডার্ক চকলেটঃ
ডার্ক চকলেট একটি সুপরিচিত অ্যাফ্রোডিডিসিয়াকে যা যৌন উদ্দীপনাকে বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি যা যৌন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
★ বিট ও গাজরঃ
প্রাকৃতিক উপায়ে জননাঙ্গের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে প্রতিদিন বিট ও গাজর খান। বিটে থাকে প্রচুর পরিমানে নাইট্রেট যা পুরুষাঙ্গের রক্তনালীগুলোর প্রসারিত করে। আর গাজরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন A থাকার ফলে এটি শুক্রানুর পরিমাণ বৃষ্টি করে এবং প্রোজেস্ট্ররন হরমোনের মাত্রাকে বৃদ্ধি রাখতে সাহায্য করে।
★ বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারঃ
সেক্স হরমোন গুলোকে ঠিক মতো কাজ করার জন্য কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বাদাম বা বীজ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমানে প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা কোলেস্টেরল তৈরীতে সাহায্য করে।
বীজ জাতীয় খাবার যেমনঃ– কুমড়োর দানায় থাকে প্রচুর পরিমানে জিঙ্ক যা সেবনে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড সুস্থ থাকে, পাশাপাশি শুক্রানু তৈরী করে এবং টেসটোস্টোরন হরমোন তৈরীতে সাহায্য করে।
★ খেজুরঃ
যৌন শক্তির সঙ্গে খোরমা ও খেজুরের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।
খোরমা খেজুর চুষলে পিপাসা দমন হয়। চিকিতসা বিজ্ঞানে বিভিন্ন গ্রন্থে ও খোরমা ব্যবহার যৌন শক্তির জন্য উপকারী বলা হয়েছে।
★ পালংশাকঃ
পালংশাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেশিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে, শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনা ও বাড়ে। পালংশাক ও বিভিন্ন রকম শাক যেমনঃ ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি, এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন ‘ বি’ সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
★ তরমুজঃ
তরমুজ কে মূলত প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা বলা হয়ে থাকে। একে গবেষণায় জানা গেছে যে তরমুজে রয়েছে এমন কিছু বিশেষ উপাদান যা দেহের যৌন উত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করে।
★ তৈলাক্ত মাছঃ
তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ও ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা ও ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ও ফ্যাটি এসিড DHA ও EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরণ হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্যে ভালো থাকে এবং যৌন ক্ষমতা বাড়ায়।
মানবদেহের দুরারোগ্য ও মরণ ব্যধি সৃষ্টির উৎস ও কারণসমূহঃ
********************************************
On Study Research Chemical Analysis And Application Of Plants Medicine Research Fellow Groups Member – হিসেবে ডাঃ সুলতানা (শিরিন আক্তার) ও ডাঃ রানু রায় তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের ভিত্তিতে মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অংগ গ্রন্থসমূহের উন্নয়ন ও সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে প্রায়োগিক পুষ্টি উপাদান সমূহ উপস্থাপন করছি।
#উৎস ও কারণসমূহঃ
#আর্থ-সামাজিক পরিবেশ থেকে শারীরিক ও মানসিক চাপসমূহঃ
(১) দারিদ্র্যতাজনিত কারনে-খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা সেবা থেকে বন্ঞ্চনাজনিত মানসিক চাপ।
(২) আত্মিক সম্পর্ক বিনষ্টজনিত মানসিক চাপ।
(৩) বেকার যুবকদের (শিক্ষিত ও অশিক্ষিত) কার্য প্রাপ্তি থেকে বন্ঞ্চনাজনিত মানসিক চাপ।
(৪) বর্ণ বৈষম্যজনিত কারনে নীচুতা ও সংকীর্ণতা থেকে মানসিক চাপ।
(৫) স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতা,প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্ট সংঘাত থেকে উদ্ভূত ভয় ও নিরাপত্তাহীনতাজনিত মানসিক চাপ।
(৬) এ ছাড়া সামাজ থেকে উদ্ভুত বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক চাপ থেকে সৃষ্ট দুঃখ, হতাশা ও বেদনা রূপে মানসিক চাপ।
(৭) অতিরিক্ত পরিশ্রমজনিত শারীরিক চাপ।
(৮) প্রচন্ড তাপাদহজনিত শারীরিক চাপ।
(৯) প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি অভাবজনিত চাপ।
(১০) অধিক পরিমান খাদ্য গ্রহনজনিত চাপ।
(১১) ব্যথা নাশক,অবসাদ নাশক, ঘুমের ওষুধ, উচ্চ শক্তিশালী এন্টবায়োটিক ওষুধ সেবনজনিত সৃষ্টি চাপ।
(১২) বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি দূষণ উপাদানজনিত চাপ।
(১৩) শোধিত কার্বোহাইড্রেট ও প্রসেসিং খাদ্য ( চিনি ও চিনির তৈরীর সমস্ত প্রকার খাদ্যসমূহ, ময়দার তৈরীর সমস্ত প্রকার খাদ্য সমগ্রী) শোধিত মধু,ঠান্ডা পানীয়, অ্যালকোহল গ্রহনজনিত শরীরবৃত্তীয় বিপর্যয়জনিত চাপ।
#(১৩) কৃষি ব্যবস্থাপনা থেকে দূষণ প্রক্রিয়াঃ
(ক) বীজ ও চারা বপনের পূর্বে পোকা- মাকড় ধ্বংশকারী ঔষধ প্রয়োগ।
(খ) ফসলের শ্রী বৃদ্ধির জন্য অধিক পরিমান ইউরিয়া নামক রাসায়নিক সার প্রয়োগ।
(গ) আবহাওয়া মন্ডলের পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষার জন্য ঔষধ প্রয়োগ।
(কৃষি ফসলের উন্নয়নের নামে ফসল ধ্বংশকারী পোকামাকড় নিধনে যে ঔষধ প্রয়োগ করা হয় তাহল পেস্টিসাইড, হারবিসাইডস গ্রুপের বিভিন্ন নামে ঔষধসমূহ দূষণ সৃষ্টিতে প্রধান ভুমিকা পালন করে থাকে।
√কৃষি ও খাদ্যশস্যে রাসায়নিক উপাদানসমূহ প্রয়োগজনিত সমস্যা তাহলঃ
★ মাটির পুষ্টি উপাদান ধ্বংস করে।
★ মাটির উর্বরতা সহায়ক বিভিন্ন জীবানু ধ্বংস করে।
★মাটির তাপমাত্রা ধ্বংস করে।
★উৎপাদিত ফসলের পুষ্টিমান ক্ষতিগ্রস্ত করে।
★উৎপাদিত খাদ্য-শস্যের মধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক অনুসমূহ পুঞ্জিভূত হয়।
উল্লেখিত ক্ষতিকর রাসায়নিক অনুসমূহ পুঞ্জিভূত খাদ্য-শস্য গ্রহনজনিত শরীরবৃত্তে কার্য প্রক্রিয়ায় বিপর্যয় সৃষ্টি করে।
#(১৪) শিল্প ব্যবস্থাপনা থেকে দূষণ প্রক্রিয়া তাহলঃ
(ক) গাড়ি ও কলকারখানার ধোঁয়া থেকে দূষন।
(খ) কলকারখানার বর্জ্য থেকে দূষন।
(গ) যুদ্ধক্ষেত্রে ও পরীক্ষামূলক বোমা বা পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণজনিত দূষণ।
(ঘ) রাসায়নিক উপাদান ভূগর্ভে সংরক্ষণ থেকে দূষণ।
(ঙ) জলযান থেকে তেল ও বর্জ্য নির্গত থেকে দূষণ।
(চ) ভূগর্ভে সংরক্ষিত বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদান থেকে দূষণ।
(ছ) মশক নিধন কয়েল ও গ্যাসীয় জ্বালানির থেকে দূষন।
√ শিল্প ব্যবস্থাপনা থেকে দূষণ প্রক্রিয়ায় যে সমস্যা সৃষ্টি করে তাহলঃ
★পানি দূষণ সৃষ্টি করে।
★মাটি দূষণ সৃষ্টি করে।
★বায়ুর ভারসাম্য নষ্ট করে।অর্থাৎ কার্বনডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি করে। উল্লেখিত দূষণ উপাদানসমূহ শ্বাস ক্রিয়ার মাধ্যমে, পানীয় পানের মাধ্যমে শরীরবৃত্তীয় কার্য প্রক্রিয়ায় বিপর্যয় সৃষ্টি করে।
(১৫) ধুমপান ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য সেবনজনিত শরীরবৃত্তীয় বিপর্যয়।
(১৬) জীবনুর সংক্রমণজনিত (ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগি ও প্যারাসাইট ) বিপর্যয়।
(১৭) ইমিউন পদ্ধতির বিপর্যয়জনিত।
(১৮) জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল বা ইনজেকশন গ্রহনজনিত।
(১৮) বাইল প্রবাহে ধমনীর অবরুদ্ধতাজনিত।
(১৯) আয়রন বৃদ্ধিজনিত।
(২০) কপার বৃদ্ধিজনিত।
(২১) স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবনজনিত।
(২২) পশুদের শ্রীবৃদ্ধি ও দুগ্ধ উৎপাদনে রাসায়নিক উপাদান ও হরমোন প্রয়োগকৃত পশুর মাংস আহার ও দুগ্ধ সেবনজনিত।
(২২) বংশগত।
# মানবদেহে উল্লেখিত উৎস ও কারণসমূহের ফলে সৃষ্ট রাসায়নিক দুষণ উপাদানসমূহ ও কার্য ( Free Redical Substance Molecules) প্রক্রিয়াঃ
************************************************
★নাম/সংকেত/পারমানবিক ওজন।
(১)Superoxide Ion Radical/O2-/Molar Mass-31.999 g°mol-1
(২) Hydrogen Peroxide-/H2O2/Molar Mass34.0147 g/mol
(৩)Hypochlorite/ClO/Molar Mass 51.452 g/mol
√Nitric Oxide/NO//Molar Mass30.01 g/mol
(৪)Peroxynitrite/NO3-//Molar Mass62.005 g/mol
√Hydroxyl Radical/HO//Molar Mass 17.007 g°mol-1
(৫)Singlet Oxygen/O2//Molar Mass 31.998 g°mol-1
(৬)Hyrogen Superoxide/Peroxyl Radical/HO2/Molar Mass33.006 g°mol-1
(৭)Ozone/O3//Molar Mass47.997g°mol-1
(৮)Hypoclorus Acid/HOCL//Molar Mass52.0147 g/mol
Free Radical Substance. উল্লেখিত অনুসমূহের ইলেকট্রনসমূহ হল অস্থিতিশীল ও বিজোড়।এরা ইলেকট্রনের কক্ষ পথের বাহিরে অবস্থান করে থাকে।
#Free Redical Substance-এর অনুসমূহের কাজঃ
এই অনুসমূহ শিকল বিক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের কোষ,কলা,ডি,এনসহ পুষ্টি উপাদানসমূহ ক্ষতি সাধন করে দূরারোগ্য ও মরণ ব্যধি সৃষ্টি করে থাকে।
মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অংগ ও গ্রন্থিসমূহের উন্নয়ন ও সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে পুষ্টি উপাদানসমূহঃ
**********************************************
On Study Research Chemical Analysis & Application of Plants Medicine Research Fellow Groups Member – হিসেবে ডাঃ সুলতানা (শিরিন আক্তার) ও ডাঃ রানু রায় তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের ভিত্তিতে মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অংগ গ্রন্থসমূহের উন্নয়ন ও সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে প্রায়োগিক পুষ্টি উপাদানসমূহ উপস্থাপন করছি।
(১)মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষের উন্নয়ন ও সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে-
√ B Vitamins.
√ Choline.
√ Calcium.
√ Magnesium.
√ Potassium.
√ L- amino Acids.
√ Tryptophan.
(২) পিটুইটারি গ্রন্থির উন্নয়ন ও সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে-
√ B Vitamins.
√ Pantothenic Acid.
√ Niacin.
√ Vitamin B.
√ Zinc.
(৩)অ্যাড্রনাল গ্রন্থির উন্নয়ন ও সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে-
√ Vitamin A.
√ B Vitamins.
√ Pantothenic Acid.
√ Niacin.
√ Thiamine.
√ Vitamin C.
√ Vitamin E.
√ Essential Fatty Acids.
(৪) থাইরয়েড গ্রন্থির উন্নয়ন ও সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে-
√ Iodine.
√ B Vitamins.
√ Thiamine.
√ Vitamin E.
√ Tyrosine.
(৫)অন্ডকোষ ও শুক্রকীটের উন্নয়ন ও সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে-
√ Vitamin E.
√ Zinc.
√ Vitamin A.
√ Vitamin C.
√ Folic Acid.
√ B Vitamins.
√ Niacin.
√ Folic Acid.
√ Vitamin E.
√ Zinc.
(৬)ডিম্বাশয় উন্নয়ন ও সক্রিয়তা বৃদ্ধিতে-
√ B Vitamins.
√ Niacin.
√ Folic Acid.
√ Vitamin E.
√ Zinc.
Syed Ahmad, Dr-Mostafijur Rahman and 31 others
3 comments
4 shares
Like
Comment
Share