পুরুষাঙ্গের আল্ট্রাসনোগ্রাম(Penile Ultrasonogram):
পুরুষাঙ্গের আল্ট্রাসনোগ্রাম(Penile Ultrasonogram):
আল্ট্রাসনোগ্রাম একধরণের imaging test যা উচ্চমাত্রার শব্দতরঙ্গকে Transducer এর মাধ্যমে শরীরের ভেতর পাঠানো হয়। ঐ শব্দতরঙ্গ internal organ-এ বাধা প্রাপ্ত হয়ে ফিরে আসে (bounce back) এবং Transducer পুনরায় সংগ্রহ করে কম্পিউটারে sensor device এর মাধ্যমে image-এ রূপান্তর করে যা আমরা সহজেই মনিটরে দেখতে পাই। এখানে কোন রেডিয়েশন না হওয়ায় শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। একজন সনোলজিষ্ট পরীক্ষা করে বিস্তারিত লিখে দিবেন যা ক্লিনিক্যাল চিকিৎসকের জন্য সহায়ক।
শরীরের অন্যান্য অর্গানের মতো পুরুষাঙ্গেরও আল্ট্রাসনোগ্রাম করা যায়। তবে এখানে সনোলজিষ্ট Linear Transducer(Probe) ব্যবহার করেন। Erectile dysfunction সহ পুরুষাঙ্গে কোন ধরণের Plaques(such as those caused by Peyronie’s disease), Fibrosis, Lumps, এমনকি পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার নির্ণয় করতেও আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। সাধারণ আল্ট্রাসনোগ্রামেই পেনিসের টিউমার, ফাইব্রোসিস বা প্লাগ ধরা দেলেও Erectile dysfunction-এর জন্য Doppler Ultrasonogram করা হয়।
পুরুষাঙ্গের ড্রপলার আল্ট্রাসাউণ্ড:
Doppler Ultrasound-এর মাধ্যমে পেনিসের রক্তপ্রবাহ দেখা হয়। যৌন-ইচ্ছার সময় পুরুষাঙ্গের রক্তপ্রবাহের উপরই নির্ভর করে পেনিসের উত্থান(erectdion)। ড্রপলার আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গের ধমনী ও শিরার রক্তপ্রবাহ দেখা হয়। যখন কোন পুরুষ যৌন ইচ্ছাবোধ করে তখন পুরুষাঙ্গের ধমনীতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে স্ফীত হয়ে যায় এবং পুরুষাঙ্গ শক্ত(firmness) হয়ে যৌন-ইচ্ছা প্রকাশ করে। এসময় পুরুষাঙ্গের শিরা রক্তধারণ করে সংকোচিত(constrict) অবস্থায় থাকে। যখন যৌন-ইচ্ছা থাকেনা বা ejaculates হয় তখন শিরা স্ফীত হয়ে রক্ত শরীরের ভেতর প্রবাহিত করে দেয়। এই রক্তপ্রবাহের কারনে অনেক পুরুষের erectile dysfunction দেখা দেয়। এখানে ধমনীতে পর্যাপ্ত পরিমানে রক্তপ্রবাহ না হওয়ার কারণে পেনিসের ধমনী স্ফীত হতে পারে না বা শিরায় রক্তধারণ করে সংকোচিত অবস্থায় রাখতে পারেনা এদুয়ের কারণে উত্থান দুর্বল হয়। পরীক্ষা করার সময় এক্ষেত্রে ইনজেকশনের মাধ্যমে ঔষধ প্রয়োগ করে আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে ধমনীর রক্তপ্রবাহ দেখা হয়। পুরুষাঙ্গের ড্রপলার আল্ট্রাসনোগ্রাম করার এক-দুই দিন আগ থেকে কোন ধরণের যৌন-উত্তেজক ঔষধ খাওয়া যাবেনা, স্ত্রী সহবাস এমনকি masturbation করা যাবে না।
পেনিসের সাধারণ আল্ট্রাসনোগ্রাম:
এক্ষেত্রে কোন ধরণের প্রস্তুতির দরকার পড়েনা। সাধারণভাবেই দু-পাশের Corpus cavernosum ও Courpus spongiosum-এর সর্বত্র homogeneous echo-texture পাওয়া যায়। যদি কোন প্যাথলজি থাকে তাহলে তার বৈশিষ্ট্য সহজেই বুঝা যায়। আঘাতজনিত রক্তজমাট বাধা, পেনিসের টিউমার, Urethral foreign body/Stone, Calcification, Fibrosis এবং যেকোন Plaques, cystic lesion সাধারণ আল্ট্রাসনোগ্রামেই ধরা পড়ে।
চিকিৎসাক্ষেত্রে অন্যান্য soft organ-এর আল্ট্রাসনোগ্রাম বহুল পরিচিত হলেও কিছু অর্গানের আল্ট্রাসনোগ্রাম এখনও ততোটা পরিচিতি পায়নি। পেনিসের আল্ট্রাসনোগ্রাম তাদের মধ্যে একটি। অথচ ভয় বা লজ্জা কাটিয়ে কোন ধরণের সমস্যাবোধ করলে প্রথমেই একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম করে চিকিৎসা শুরু করলে বড় ধরণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।