♦️♦️পাইলস বা অর্শরোগের সফল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ♦️♦️
পাইলস হলো পায়ুপথে এবং মলদ্বারের নিচে অবস্থিত প্রসারিত এবং প্রদাহযুক্ত ধমনী, মলত্যাগের সময় কষা হলে অথবা গর্ভকালীন সময়ে এই সমস্ত ধমনীর উপর চাপ বেড়ে গেলে পাইলসের সমস্যা দেখা দেয়।
✅পাইলসের কারণ:
কম পানি পান, কম শাকসবজি খাওয়া, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং সময়মতো মলত্যাগ না করা এই রোগের কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া এবং মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেওয়ার ফলে মলদ্বারের চারদিকে অবস্থিত রক্তনালী ও মাংসপিণ্ড ফুলে গিয়ে পাইলস সৃষ্টি করে। গর্ভাবস্থায় এ রোগ বেশী দেখা যায়।
লক্ষণ :
অর্শ্ব বা পাইলস হলে নিচের সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয় :
মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাত
পায়ুপথ চুলকানো অথবা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া
ব্যথা
পায়ুপথ থেকে বাইরের দিকে ফোলা ও ব্যথা লাগা
পায়ুপথের মুখে চাকা অনুভব করা ও ব্যথা লাগা
চিকিৎসা :
উপসর্গ বা জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসা জরুরি।
প্রথমিক পর্যায় অর্থাৎ শুধু শক্ত পায়খানার সময় ব্যথামুক্ত রক্তক্ষরণ হলে-
পায়খানা নরম ও নিয়মিত রাখুন।
প্রয়োজন হলে ইসুবগুলের ভুষি বা লেকজেটিভ খান।
প্রচুর পানি ও শাকসবজি খান, চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
নিয়মিত মল ত্যাগ করুন।
জটিল আকার ধারণ করলে অর্থাৎ পাইলস বেরিয়ে আসলে এবং উপরের চিকিৎসা যদি কাজ না করে তবে –
ইনজেকশন
ব্যান্ড লাইগেশন
অপারেশন ইত্যাদি চিকিত্সা গ্রহণ করতে হবে।
জটিল পাইলসের ক্ষেত্রে ব্যান্ড লাইগেশন ও ইনজেকশন একটি কার্যকর সফল চিকিৎসা পদ্ধতি। এটা ব্যথামুক্ত এবং রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না।
✅পাইলস কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়:
➡️উচ্চ আশঁযুক্ত খাবার, ফলমূল এবং শাক-সবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে
➡️প্রতি দিন ৬-৮ গ্লাস পানি এবং তরল জাতীয় দ্রব্য পান করতে হবে
➡️মলত্যাগের সময় কষা হলে বেশি চাপ প্রয়োগ করা যাবে না
➡️পায়খানা চেপে রাখা যাবে না
➡️ব্যায়াম করলে তা পায়খানার কষাভাব দূর করতে সাহায্য করবে
➡️অনেকক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা থাকা যাবে না
✅পাইলস এর হোমিও চিকিৎসাঃ
অনেক হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানী পাইলসের রোগীদেরকে সকালে Sulphur এবং সন্ধ্যায় Nux vomica ঔষধ দুইটি খেতে দিতেন। সাধারণত ৩০ শক্তিতে কয়েক মাস খেলে অধিকাংশ পাইলস ভালো হয়ে যায়। অন্য কোন ঔষধের প্রয়োজন হয় না। এই ঔষধ দুটি সরাসরি পাইলস নিরাময় করে না বরং কোষ্টকাঠিন্য সারানোর মাধ্যমে এরা পাইলস নির্মূল করে থাকে। এমনকি কোন কোন চিকিৎসাবিজ্ঞানী এমনও বলেছেন যে, সালফার, নাক্স ভমিকা এবং থুজা মাত্র এই তিনটি ঔষধ দিয়ে পৃথিবীর এমন কোন রোগ নাই যা সারানো যায় না (সুবহানাল্লাহ !)। এই কথার রহস্য কি ? আসলে আমাদের শরীরে যত রকমের বিষ তৈরী হয় এবং যত রকমের বিষ বাইরে থেকে ঢুকে, তাদের শরীর থেকে বের করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো পায়খানা। ঢাকা শহরের সমস্ত ড্রেন এবং সোয়ারেজ লাইনগুলি যদি সাতদিনের জন্য বন্ধ করে দিলে যেমন সমস্ত শহরের পরিবেশ দূষিত-বিষাক্ত হয়ে অগণিত মারাত্মক মারাত্মক রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে, তেমনি যে-সব মানুষের নিয়মিত পায়খানা হয় না তাদেরও ধীরে ধীরে শরীর বিষাক্ত হয়ে (হৃদরোগ-কিডনীরোগ-স্নায়ুরোগ-ক্যানসার-ডায়াবেটিস ইত্যাদি) মারাত্মক মারাত্মক রোগ পয়দা হতে থাকে। আর এই তিনটি ঔষধই মোটামুটি কোষ্টকাঠিন্যের শ্রেষ্ট ঔষধ।
* যাদের কোষ্টকাঠিন্য খুবই জটিল, সারতেই চায় না, তারা অবশ্যই কোষ্টকাঠিন্য অধ্যায়ে বর্ণিত ঔষধগুলো লক্ষণ অনুযায়ী প্রয়োগ করবেন।
Calendula officinalis : পায়খানার রাস্তা যদি মাত্রাতিরিক্ত ফোলে যায়, ইনফেকশান হয়ে যায়, ঘায়ের মতো হয়ে যায়, ব্যথায় টনটন করতে থাকে, তবে ক্যালেন্ডুলা ঔষধটি নিম্নশক্তিতে (মাদার টিংচার) কিছু পানির সাথে মিশিয়ে তাতে তুলা ভিজিয়ে সেখানে দু’চার ঘন্টা পরপর প্রয়োগ করুন। দু’চার ঘণ্টা পরপর বা অথবা আরো ঘনঘন প্রয়োগ করুন। যত মারাত্মক ইনফেকশান বা ফোলা-ব্যথা-আলসার হোক না কেন, দেখবেন দুয়েক দিনের মধ্যে সব চলে গেছে। এলোপ্যাথিতে যেমন ডেটল, স্যাভলন, হেক্সিসল ইত্যাদি আছে, তেমনি হোমিওপ্যাথিতে আছে ক্যালেন্ডুলা। তবে ক্যালেন্ডুলার ক্ষমতা তুলনাবিহীন। আক্রান্ত স্থানে লাগানোর পাশাপাশি দশ / বিশ ফোটা করে খেতেও পারেন। অথবা লক্ষণ মতে অন্য কোন ঔষধ খান। পাশাপাশি যে-কোন ধরনের কাটা-ছেড়া-ঘা-ইনফেকশানে ক্যালেন্ডুলার সাহায্য নিতে ভুলবেন না।
* পাইলস থেকে উজ্জল লাল রঙের রক্তপাত হলে Millefolium ঔষধটিদশ/বিশ মিনিট পরপর খেতে থাকুন যতক্ষণ না রক্তপাত বন্ধ হয়।অন্যদিকে কালো / কালচে রক্তপাত হলে Hamamelis Virginicaঔষধটি দশ/বিশ মিনিট পরপর খেতে থাকুন। পায়খানার রাস্তা থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে শরীর দুরবল হয়ে পড়লে, রক্তশূণ্যতা দেখা দিলে China officinalis অথবা Acidum Phosphoricum ঔষধটি খান। পাশাপাশি ভিটামিন জাতীয় অন্যান্য ঔষধগুলিও খেতে পারেন।
Aesculus Hippocastanum : এসকিউলাসকে বলা যায় সবচেয়ে সেরা পাইলসের ঔষধ। এই ঔষধের কাজের মূল কেন্দ্র হইল তলপেটের যন্ত্রপাতি। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কোষ্টকাঠিন্য (পায়খানার সাইজ বড় বড় এবং শক্ত), রক্তক্ষরণযুক্ত অথবা রক্তক্ষরণবিহীন পাইলস, পায়খানার রাস্তায় কেহ আলপিন দিয়ে খোচা মারছে এমন ব্যথা, পায়খানার রাস্তা শুকনা শুকনা লাগা, তলপেটে দুরবলতা, পায়ে অবশ অবশ ভাব, হাটঁলে রোগের মাত্রা বেড়ে যায়, রোগী খুবই বদমেজাজি ইত্যাদি। ঔষধ নিম্নশক্তিতে খেলে রোজ দুই/তিন বার করে খাবেন আর উচ্চ শক্তিতে খেলে দশ/পনের/বিশ দিন পরপর এক মাত্রা করে।
Collinsonia canadensis : ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ পেট এবং পায়খানার রাস্তার অসুখের সাথে মাথাব্যথা, নাভী এবং তলপেটে ব্যথা, কোষ্টকাঠিন্য, কোথানি, অবসন্নতা, আম ও রক্তযুক্ত পায়খানা, মাসিকের সময় পাইলস, পায়খানার রাস্তার মাংস বেরিয়ে পড়া (Prolapse of the rectum), রোগের লক্ষণ শরীরের ওপর থেকে নীচের দিকে যায়, হার্টের সমস্যা এবং পাইলসের রক্তক্ষরণ ঘুরেফিরে আসে, বিভিন্ন জয়েন্টের বাতের ব্যথা, বুকে ব্যথা ইত্যাদি ইত্যাদি।
Aloe socotrina : এলু সকোট্রিনার প্রধান প্রধান লক্ষণ কোষ্টকাঠিন্য, পেট, তলপেট এবং মাথায় রক্তসঞ্চয়, অদল-বদল করে মাথাব্যথা এবং কোমরের বাত, শীতকালে পাইলসের উৎপাত বৃদ্ধি পায়, দুরবলতা, খাওয়ার পরপরই পায়খানার বেগ হওয়া, শক্ত পায়খানা (ঘুমের মধ্যে) নিজের অজান্তেই বিছানায় পড়ে থাকে, পাইলেসের চেহারা দেখতে আঙুরের থোকার মতো, সারাক্ষণ নীচের দিকে ঠেলামারা ব্যথা, রক্তক্ষরণ, টনটনে ব্যথা, স্পর্শ করা যায় না, গরম, ঠান্ডা পানিতে আরাম লাগে ইত্যাদি ইত্যাদি।
Peoniaofficinalis : পিওনিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো পায়খানার রাস্তায় জ্বালাপোড়া, চুলকানি, ফোলে যাওয়া, (বিছানা-জুতার) চাপ থেকে ঘা হওয়া, পায়খানার রাস্তার ফোড়া, ফেটে যাওয়া(fissure), ভগন্দর (fistula), রক্তনালী ফোলে যাওয়া (varicose veins), ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখা (nightmare), নড়াচড়া-হাঁটা-স্পর্শে রোগের কষ্ট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
Nitricum acidum : নাইট্রিক এসিডের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কোষ্টকাঠিন্য, (শক্ত হউক বা নরম) পায়খানার পরে ব্যথা, মেজ (wart), প্রস্রাবের গন্ধ গরুর প্রস্রাবের মতো (খুবই কড়া), আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, শরীরের ছিদ্রযুক্ত স্থানের ক্ষত,খিটখিটে মেজাজ, ঘনঘন ডায়েরিয়ায় ভোগে, চোখের নালী ক্ষত, রাতের বেলা হাড়ের ব্যথা, হাড়ের ক্ষত, যে-কোন ঘা/ক্ষত সহজে সারতে চায় না, শরীরে পানির পরিমাণ বেশী ইত্যাদি ইত্যাদি।
Muriaticum acidum : মিউরিয়েটিক এসিডের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কান্ডজ্ঞান লোপকারী মাথাব্যথা, চোখে অন্ধকার এবং উল্টাপাল্টা দেখা, অনিচ্ছাকৃতভাবে পায়খানা-প্রস্রাব বেরিয়ে যাওয়া, প্যারালাইসিস, পাইলসে বা পায়খানার রাস্তায় জ্বালাপোড়া, মাঝারি বা মারাত্মক ধরনের ইনফেকশান, পূজঁ-নিঃশ্বাস-শরীরের গন্ধ সবই দূর্গন্ধযুক্ত, পাইলস দেখতে আঙুরের থোকার মতো, পিঙল বর্ণের, স্পর্শ করলে জ্বালা করে, কোথানি দিলে আলিশ বেরিয়ে যায়, জিহ্বায় ইনফেকশান, কানপচাঁ ইত্যাদী।
➡️➡️জরুরী যোগাযোগ↩️↩️
যৌন, হাঁপানী বা এ্যাজমা, পাইলস, যে কোন চর্ম রোগ, নাকের পলিপাস, বন্ধারোগ সহ যে কোন জটিল ও কঠিন রোগের সফল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করুন♦♦♦
01721418696
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যেই ঔষধ পেতে পারেন।
ভাল লাগলে প্লিজ শেয়ার করুন✈ শেয়ার করুন📢 শেয়ার করুন📢📢📢