নাক্স ভুমিকা -মেটেরিয়া মেডিকার পরশমণি -একডোজের অবিশ্বাস্য ক্রিয়া
নাক্স ভুমিকা
এর অপর নাম Strychnine, Nux Vomica, কুঁচিলার বীজ বা Poison Nut। এটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন- কুপাক, বিষতিন্দু, কুচলা । এর প্রত্যেক ফলে ১-৫ টি করে বীজ থাকে । হোমিওপ্যাথিতে এর বীজবিচূর্ণ করে টিংচার প্রস্তুত হয়। সেই টিংচার থেকে শক্তিতে রুপান্তর করে ব্যবহার করা হয় । নাক্স ভুমিকা হোমিওপ্যাথির এক অমূল্য সম্পদ ।
পান খাইতে চুন আর তরকারিতে যেমন লবণ লাগে তেমনি হোমিওপ্যাথিতে নাক্স আপরিহার্য মেডিসিন । এটিকে হোমিওপ্যাথির পরশমণি বলা চলে ।
এটি দেহের প্রায় ৭৫% রোগ আরোগ্য করে থাকে। যখন আপনি দেখবেন রোগীর রোগ লক্ষণের প্রাকৃতিক লক্ষণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । অর্থাৎ নানা প্রকার অপচিকিৎসার ফলে রোগীচিত্র বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে । নির্বাচন করতে পারছেন না কি দিবেন তখন বুঝবেন তাঁর দরকার একডোজ নাক্স ভূমিকা । এজন্য অনেকে কথা নাই বার্তা নাই রোগী আসিবামাত্র নাক্স দিয়ে থাকেন সেটাও ঠিক না ।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে
মূল, বাকল, পাতা, কাষ্ঠ এবং বীজ অর্থাৎ সমগ্র উদ্ভিদ বিভন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যাবহৃত হয় । ইহা বাত, পক্ষাঘাত রক্তদুষ্টি, আমাশয়, অর্শ, উদারময়, অজীর্ণ, ব্রণ প্রভৃতি রোগে উপকার পাওয়া যায় । কুচিলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ অংশ হল এর বীজ । বীজ অতিশয় বিষাক্ত বীজ পক্ষাঘাত, উদারময়, স্নায়ুবিক দৌর্বল্য, রক্ত আমাশয়, অবিরাম জ্বর, রক্তহীনতা বহুমূত্র, কোষ্ঠবদ্ধতা, পেট ফাঁপা, পেট বেদনা, অর্শ, মৃগী, লালামেহ, শুক্রমেহ, ইন্দ্রিয়শৈথিল্য, ব্রঙ্কাইটিস, কাশি, বাত, অনিদ্রা, জলাতঙ্ক প্রভৃতি রোগে সাফল্যজনক ভাবে ব্যবহৃত হয় ।
অতিমাত্রায় ইহা বিষক্রিয়া প্রকাশ করে, টিটেনাসের মত খিঁচুনি সৃষ্টি করে, রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং মৃত্যু ঘটাতে পারে ।
বর্তমান যুগে নাক্স ভুমিকা র অবদান
- বর্তমান যুগে সর্বরোগের মহৌষধ বললেও অত্যুক্তি হবে না । রাত্রি জাগরণ ( নাইটক্লাব , পাহারাদার , নাইট ডিউটির কাজ ইত্যাদি) কারণে রাত জেগে কম্পিউটারের কাজ করা অনেকটাই সময়ের দাবী হয়ে পড়েছে ।
- এছাড়াও ফেসবুক,টুইটার ব্যবহার করে(প্রেমিকের সাথে কথা বলে) অশ্লিল ফ্লিম দেখে নাক্সের মানসিক লক্ষণের(লাম্পাট্য) প্রকাশ করে ।
- রাত জাগা হেতু ক্ষুধামন্দা থেকে গ্যাস ,কোষ্ঠকাঠিন্য অনেককেই পেয়ে বসেছে ।
- জ্যামজেলি , বার্গার , প্রিজাভেটিভস , রঙ্গিন খাবার নিত্যদিনে অত্যাবশ্যকিয় উপাদান। উগ্র চিকিৎসা , মদ , বিয়ার না হলে পার্টি জমেই না ।
- আধুনিকতার ছোয়ায় পরকিয়া ফ্যাসনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে ।
- ফ্রি ফায়ার , পাবজি খেলোয়াররা তো রাগ ,ক্ষিপ্রতা , প্রতিহিংসা , ভার্চুয়াল আক্রমনের মাধ্যমে প্রকাশ করে ।
- প্রত্যেকেই শারিরীক পরিশ্রম বঞ্চিত ও মানসিক পরিশ্রমী ।
- এই সকল রোগীদের জন্য নাক্সই একমাত্র সমাধান । তাই বলা যায় নাক্সই অধুনিক রোগমুক্তির অন্যতম মেডিসিন ।
এটি অনেক বিক্ষিপ্ত ও অগোছালো রোগকে গুছিয়ে উপস্থাপন করে থাকে । বর্তমানে নানা প্রকার ঔষধ আর ইচ্ছেমত তার অপপ্রয়োগের ফলে রোগীর মধ্যে কোনো মেডিসিনের প্রকৃত লক্ষণ খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে । সে অসাধ্য সাধনে নাক্সকে হোমিও ইনডিকেটর বলা যায় । এটি দুই একমাত্র দেয়ার পর রোগলিপি প্রস্তুত করা অনেক সহজ হয়ে আসে । তাই সম্ভবত যুগ যুগ ধরে এর প্রয়োগ চলে আসছে ।
- ডা.সি.এস.কালী মতে- একোনাইট ,আর্ণিকা ,নাক্স ভুমিকা ঔষধ তিনটি সকলের বাসায় থাকা উচিৎ । অবশ্য বেল ,ব্রায়ো,রাসটক্স, ক্যালন্ডুলা , ক্যান্থারিস, পালস রাখতে
নিষেধ করেননি । থুজা , মেডো , টিউবারকুলিন ধাতুগত বা বংশগত বলে এগুলো পরে লাগে।
তবে প্রথমেই মেডোরিনাম এক মাত্রায় অনেক কার্য প্রদর্শন করে ।
NUX VUMICA এর লক্ষণ
মানসিকঃ
অসুখী ও অসন্তুষ্ট । অবসাদ বা মানসিক অবসাদ,ধৈর্যহীনতা,অতিরিক্ত রাগ ক্ষোভ,প্রতিবাদ সহ্য করতে না পারা,সামান্য কারণে চটে যায় । অন্যের দোষ ধরে, অতিমাত্রায় সূক্ষ্মদর্শী । বিবেচনাহীন,অপমান করার স্বভাব,দ্বেষপরায়ণ,প্রতিহিংসাপরায়ণ, হিংসুক। অতিরিক্ত সেন্সিটিভ , খুঁতখুঁতে মন,খিটখিটে মেজাজ। সব সময় সিদ্ধান্তেহীনতায় ভোগে । শিশু রাগপ্রবণ,কোপনস্বভাব,ঝগড়াটে এবং ঘ্যানঘ্যান করে । স্পর্শ করলে বা তার দিকে তাকালে বা কথা বলালেই রেগে যায় । পাতলা ও রাগী ব্যভিচারীগন , পরকীয়া ,প্রচন্ড কামুক ,লাম্পট্য মানসিকতার ব্যক্তির জন্য নাক্স অমোঘ
আলসে জীবনযাপন
যারা শরীর চর্চা করেন না। সারাদিন বসে কাজ করেন। অর্থাৎ কেবলমাত্র মানসিক পরিশ্রম করেন। অফিসের কাজ , কম্পিউটারের কাজ ইত্যাদি ।
যারা রাত জাগেন
যেমন- যেমন –ছাত্র-ছাত্রী , নার্স , নাইট গার্ড । বর্তমান যুগে যারা রাত জেগে ফেসবুক,টুইটার ব্যবহার করে(প্রেমিকের সাথে কথা বলে)
খাদ্য সংক্রান্ত
-
- মাদক দ্রব্য গ্রহণ করলে। কবিরাজি বা এলোপ্যাথিক -উগ্র ঔষধ গ্রহণ করলে। অতিরিক্ত মশলা,তৈলাক্ত খাদ্য,ভাজা পোড়া,চা,কফি,সফট ড্রিংকস,এলকোহল গ্রহন করা । গুরুপাক দ্রব্য ভোজন করলে পীড়া হলে নাক্স স্মরণ করবেন । নাক্স -টক ,ঝাল ,তিতা পছন্দ করে।
- পায়খানা ক্লিয়ার না হলে নাক্স। কোষ্ঠবদ্ধতার জন্য মলদ্বারের পেশি সুক্ষ ভাবে ফেটে যায়।
- এই ফাঁটা থেকে Pils, Fissur হয় এবং রক্তপাত হয় । অনেক সময় প্রচন্ড যন্ত্রণাও হয় ।
- নাক্সের রোগী আত্মহত্যা করতে চায় কিন্তু মৃত্যূকে ভয় পায়, তাই আত্নহত্যা করতে পারেনা , পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এমনকি সুচিবাহ হয়ে পড়ে
- রোগী সামান্য কিছু হলেই মনে করে তার তার কঠিন কোন রোগ হয়েছে,অল্পতেই ক্যান্সার হওয়ার আশংকা করে।
- নাক্স পক্ষাঘাত , আক্ষেপ ,নর্ভের ব্যথা ,পেশীর টানে ব্যবহার হয় । ধনুষ্টঙ্কারের ন্যায় ,নাক্সের রুগী ব্যাথায় ধনুকের মতো বেঁকে যায়।
অদ্ভুদ লক্ষণঃ গলায় আঙুল দিয়ে বমি করে। নিষ্ফল মলত্যাগের ইচ্ছা। রোগী ডাক্তারকে বলে ওষুধ দিন বাহ্যে হয় যেন ।
মনে রাখবেন নাক্স ভুমিকা এর অন্যতম তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ : শীতকাতর , স্পর্শ কাতর , পরিচ্ছন্নতা।
নাক্স ভুমিকা -র বিশেষ পরিচিতি
- নাক্স এর চমৎকার লক্ষণঃ খেতে বসলেই পায়খানায় ধরে, পাতের ভাত রেখে পায়খানায় যায়, কাজ সেরে এসে বাকি খাবার শেষ করে- নিস্ফল বেগ অনেক সময় একটু পায়খান হয় , অনেক সমইয় বসে থেকে চলে আসতে হয় । এই একটি মাত্র লক্ষণে চোখ বন্ধ করে নাক্স ভুমিকা দেয়া যায়।
-
- আমাশয়ে নাক্স – মলের পরিমাণ অল্প,রক্তযুক্ত আম,কখনও শুধু সাদা আম অথবা শুধু রক্ত যেতে থাকে।
- নাক্স পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও অধ্যবসায়ী। নাক্সের ভোর ৩- টার পর থেকে ঘুম আসে না।
- এর অনেক লক্ষণেই – এন্টিসাইকোটিক ক্ষমতাকেই নির্দেশ করে। জে, এইচ এলেন এর মতে – অ্যান্টিসোরিক ।
- কাতরতাঃ প্রচণ্ড শীত কাতর। ক্রিয়াকালঃ ১ হইতে ৭ দিন।
- ক্রিয়ার স্থানঃ সেরিব্রোস্পাইন্যাল রেখা,নার্ভস,পরিপাক যন্ত্রসমূহ,পাকস্থলী,লিভার,উদর,শ্বাস প্রশ্বাস যন্ত্রসমূহ
অভিজ্ঞতায় নাক্স ভুমিকা
- আমার অভিজ্ঞতায় যার ঘুষের চাকুরী , দালালি বা ঠকাবাজি করে , সুধখোর, নামে পরিচিত এদের বেশির ভাগই অলস , নিদ্রাহিনতা , কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগে ।
- অবৈধ উপার্জনের কারণে অনেকি বিপথগামী( বহুগামী,মদ্যপায়ী,হিংসুক , অহংকারী ইত্যাদি সবগুলো খারাপ মানসিকতা) হয়ে থাক ।
- এদের অনেকের রোগ বর্ণনা কালে শুনেছি পায়খানা কালে কখনো লাল হয়ে যায় , কালো হয়ে যায় কোথ দিতে দিতে কিন্তু কিছুই বেড় হয় না ,একটু হলেও তা ঝামার ন্যায় শক্ত , বেড় হতে চায়। এদের জন্য নাক্স ভালো কাজ করে তবে পাপ প্রবণতা ও মানুষকে না ঠকানোর প্রতিজ্ঞা করে নিবেন ।
- এদের অনেকেই অকালেই যৌন অক্ষমতায় ভোগে, অল্প বয়সে হৃদরোগ, পাইলস , ডায়াবেটিস ও মানসিক সমস্যা নিয়ে চির বিদায় নিয়েছে ।
গ্যস্ট্রিকের চিকিৎসায় এক ডোজ নাক্স ভুমিকাঃ
১
- ২০০১ সালে আমার এক বন্ধু দেখা করে বলল সে ঘুমালেই স্বপ্নদোষ হয় । সে স্বীকার করেনি কিন্তু তাঁর কতায় বুঝে নিয়েছি সে বহুগামী , অতিরিক্ত হস্থমৈথুনের ইতিহাস ইত্যাদি লক্ষণ শুনে তাকে হাফ ড্রাম নাক্স ভোম মাদার টিংচার দেই । সকাল সন্ধ্যায় ২ ফোঁটা করে খাইতে বলি । সে এক মজার কাণ্ড , সে দুবারে সবটুকু মেডিসিন খেয়ে ফেলে । পরদি বলতেছে আর কি দিবে ঔষধ শেষ । আমি হতবাক হয়ে বলি বেঁচে আছ এই বেশ । অবশ্য সেদিন থেকে আর ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হয় নি। পরে অনেক বন্দুকে এই মেডিসিন দিয়ে স্বপ্নদোষ বন্ধ হতে দেখেছি , কিছুদিন আগেও একজনের উপয়াক্র পাইছি ।
২
- এক স্কুলের বিপিএড শিক্ষক , প্রচন্ড বুকজ্বালা সহ গ্যাসে সমস্যা , কোষ্ঠকাঠিন্য ছিল ,ঘমকম নাক্স ভুমিকা মাদার হাফ ড্রাম দিয়ে ছিলাম , দুল বেলা ২ ফোঁটা করে খেয়ে প্রায় ১২ বছর থেকে কোনো প্রকার গ্যাসের ট্যবলেট লাগছে না । আমি উপযাযক হয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ভাই গ্যাসের এখন কি অবস্থা , তিনি বলেন আলাহামদুলিল্লাহ সেই তখন থেকে আর সমস্যা হয় নি ।
৩
- মোঃ আতাউর রহমান , কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক বয়স ২৮/৩০ হবে ,বাড়ি কুড়িগ্রাম । প্রচন্ড বুকজ্বলা ও গ্যাস পেইন । নাক্স মাদার দেয়ার পর সুস্থ হয়ে ছিল । প্রায় দুই বছর পর কিছুদিন আগে ফোন করে কি মেডিসিন দিয়েছিলাম শুনে লিন । আমার রিলেটিভ অনেকের গ্যাসের সমস্যা আমি নাক্স দিয়ে সুস্থ হতে দেখেছি , বিশেষ করে যায় গ্যাসের সিরাপ , ট্যাবলেট ছাড়া থাকতেই পারে না তাদের অনেকেই এখন সুস্থ ।
অন্যান্য কিছু মারাত্মক চিকিৎসায় নাক্স ভুমিকা
- পর্যায়ক্রমে নাক্স ভোম ও সালফারে অনেকের পাইলস থেকে ভাল হতে দেখা গেছে । তবে রোগীর পাইলস বংশগত ভাবে হয়ে থাকলে পরবর্তীতে থুজা ও মেডো দিতে হয়েছে। এছারাও আমি টিউবারকুলিনাম দিয়ে অনেক রোগীর পাইলস থেকে মুক্তি পেতে দেখেছি ।
- অন্য এক সময় বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে আছে , ইনশা আল্লাহ লিখব ।
- আইবিএস-এর রোগীদের নাক্স ভুমিকা কাজ করে, অনেকের জন্য চায়না মাদার খুব কার্যকর।
তবে শর্ত থাকে অবশ্যই নাক্সের রোগি হতে হবে । তাই নাক্সের পরিচায়ক লক্ষণসহ আর্টিকেলটি লেখা হলো ।
- এসিড ফস ও নাক্স ভুমিকা সকাল সন্ধ্যা সেবনে বীর্যগাঢ় করে ,এনেক রোগিতেই পরীক্ষিত ।
১০ দিনের বেশি খাবেন না চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেলে বা খাওয়ালে তার দ্বায়ভার তাকেই নিতে হবে ।
অগণিত গ্যাসের সমস্যার রোগীকে এই নাক্স মাদার টীংচার দিয়ে সুস্থজীবন যাপন করতে দেখেছি আরমুগ্ধ হয়েছি ।
নাক্স ভুমিকা মাদার সম্পর্কে কিছু কথাঃ
- অনেকেই এর প্রয়োগে বিরোধী হ্যা আমিও । কিন্তু যেখানে কুচিলা বীজের এতগুন যা উপরে আছে ।
- আয়ুর্বেদ শাশ্ত্রীরা যুগ যুগ ধরে স্থুল্মাত্রায় প্রয়োগ করে আসছে । সেখানে স্বল্প মাত্রায় অল্প দিন ( ৫/৭) দিনে মোট ২০/২৫ ফোঁটা মেডিসিন খেলে কতটুকু সমস্যা হতে পারে?
- যার অভিজ্ঞতা আছে শেয়ার করবেন; মানবতা উপকৃত হবে ।
- আমি যেসকল রোগিকে মাদার দিয়েছি তারা সকলেই এখন জীবিত সুস্থ বরং অন্যান্য সমস্যাও নেই বললে চলে । অনেকের চেয়ে অনেক অনেক সুস্থ ।
- বইপড়া জ্ঞান থেকে নয় অভিজ্ঞতা থেকে লিখুন । হ্যা; নাক্স ভুমিকা মাদার অপপ্রয়োগ করা যাবে না ।
- ৫/৭ দিনে কাজ না করলে বুঝবেন আপনার নির্বাচন ভুলছিল । তাই নাক্সে চারিত্রিক লক্ষণ ভালভাবে অধ্যায়ন করে নাক্স ভুমিকা দিতে হবে ।
- জেনে রাখুন হোমিওপ্যথিতে রগের নয় রোগীর চিকিৎসা দিতে হয় ,গ্যাস হলেই নাক্স ভুমিকা হবে না ।
- অতিভোজন জনিত , রাত্রি জাগণের ফলে (বিয়েবাড়ি, অনুষ্ঠান) পেট খারাপে দুই এক মাত্রা নাক্সে অনেক উপকার হয়।
- অবশ্য তৈলাক্ত খাবার(মাংস- পোলাও) হলে- পালসেটিলা ।
সতর্কতাঃ
- লাইকোপডিয়াম ১০ এম দিয়েও কিছু কিছু রোগীকে গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে দেখেছি । নাট্রাম সালফ , ন্যাট্রাম ফস , ম্যাগফস দিয়েও অনেকে সুস্থ আছেন । আবার নাক্স ভম দিয়েও অনেকে কোন উপকার পায়নি , এমনকি পালেও আবার সমস্যা দেখা দিয়েছে ।
- নাক্স ভুমিকা মাদার টিংচার হোক আর শক্তিই হোক সেবনের পর রোগীকে কমপক্ষে ১০/ ১৫ মিনিট শুয়ে থাকতে বলবেন বা রাতে ঘুমানর সময় সেব্য ।
- ডাঃ এন.সি. ঘোষ এর মতে – নাক্স ভুমিকা অল্পমাত্রায় খেলে ক্ষুধা,বল ও রতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
- বেশী খেলে ষ্টীকনিয়ার মত ধনুষ্টঙ্কার রোগের লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পায়।
- নাক্স ও জিঙ্কাম মেট শত্রু ভাবাপন্ন ঔষধ। হোমিও মেডিসিন জিঙ্কামের পরে নাক্স প্রয়োগে মারাত্নক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
- এলোপ্যাথিক থেকে এলে নাক্স দেওয়া যায়।কিন্ত এলোপ্যাথিতেও জিংক জাতীয় অনেক মেডিসিন আছে বিধেয় গণহারে নাক্স প্রয়োগ না করে লক্ষণ পেলে তবেই নাক্স ব্যবহার করুন ।
- রেজিস্টার্ড হোমিও চিকিৎসকের নির্দেশ ছাড়া কেউ এই মেডিসিন খাবেন না । খাইলে তাঁর দ্বায়াভার লেখক নিবেন না ।
ঘোষণাঃ
নাক্স ভুমিকা মাদার টিংচার বিটি না ব্যবহার করে দেশি ব্যবহার করুন , কারণ আমাদের দেশে এর ব্যপক ফলন হয়ে থাকে । যে অঞ্চলের মানুষ সেই অঞ্চলের ভেষজ দিয়ে দ্রুত আরোগ্য হয়ে থাকে ।