থাইরয়েড হরমোন ডিজেজ ( THD ) হরমোন
থাইরয়েড গ্রন্থি একটি নালীবিহীন গ্রন্থি; যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। থাইরয়েড শব্দটি গ্রীক শব্দ যার অর্থ বর্ম। এটি গলার সামনে নিচের দিকে ও দু’পাশে থাকে।
দেখতে প্রজাপ্রতির মত এবং বাংলায় একে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলা হয় ।
থাইরয়েড গ্রন্থিটি গ্রীবাদেশে ট্রাকিয়ার দু’পাশে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ ট্রাকিয়াল-রিং [tracheal ring] -এর সামনে অবস্থিত ।
প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের থাইরয়েড গ্রন্থির ওজন প্রায় 20-35 gm হয় ।
এ থেকে নিঃসৃত প্রধান হরমোনগুলো হচ্ছে টি থ্রি (T3) বা ট্রাইআইডোথাইরোনিন, টি ফোর বা থাইরক্সিন (T4) ।
পিটুইটারি গ্ল্যান্ড ( মস্তিষ্কে অবস্থিত হরমোন নিঃসরণকারী গ্রন্থি) থেকে নিঃসৃত রিলিজিং ফ্যাক্টর টিএসএইচ ( TSH -থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন)-এর প্রভাবে টি-থ্রি ও টি-ফোর নিঃসরণ হয় এবং থাইরয়েড গ্রন্থি দ্বারা আয়োডিন শোষণে উদ্দীপ্ত করে ।
কীভাবে থায়রয়েড হরমোন নিঃসরণ হয় ঃ
thy-11
মুলত থাইরক্সিন মানবদেহের স্বাভাবিক গঠন ও বৃদ্ধির জন্য খুব বেশী প্রয়োজন । থাইরয়েড গ্রন্থি পরিচালিত হয়ে থাকে ব্রেনের পিটুইটারি গ্রন্থি দ্বারা।
পিটুইটারি গ্রন্থি পরিচালিত হয় ব্রেনের আরেকটি গ্রন্থি দ্বারা যার নাম হাইপোথ্যালামাস।
হাইপোথ্যালামাস একটি হরমোন নিঃসরণ করে যার নাম থাইরোট্রপিন রিলিজিং হরমোন (TRH)। এ হরমোনটি পিটুইটারি গ্রন্থিতে একটি সংকেত পাঠায় থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (TSH) নিঃসরণ করার জন্য এবং এর পরেই থাইরক্সিন নিঃসরণ হয় ।
মোট কথায় শরিরের প্রত্যেকটি কোষের মেটাবলিজম প্রক্রিয়ার ৮০% কাজ করে থায়রক্সিন ( T4 )এবং ২০% কাজ করে ট্রাইআইডোথাইরোনিন (T3) । সেই হিসাবে থায়রক্সিন ( Thyroxin T4 ) অত্তান্ত অপরিহার্য হরমোন ।
থাইরক্সিনের কাজ [Function of Thyroxin]:-
thy-13
থাইরক্সিন মানবদেহে নিম্নলিখিত কাজগুলো সম্পন্ন করে, যেমন : থাইরক্সিন মানবদেহের বৃদ্ধি, বিপাক নিয়ন্ত্রণ, মানসিক পরিপূর্ণতা এবং গৌণ যৌন লক্ষণ প্রকাশে সাহায্য করা ।
থাইরক্সিন মৌল বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে, এর প্রভাবে মৌল বিপাকীয় ক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায় ।
প্রতি মিলিগ্রাম থাইরক্সিন B.M.R. কে 1000 পর্যন্ত ক্যালোরিতে বাড়িয়ে দেয় ।
থাইরক্সিনের প্রভাবে হৃদগতি বৃদ্ধি পায় ।
থাইরক্সিন অন্ত্রে গ্লুকোজের শোষণ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ।
থাইরক্সিনের প্রভাবে যকৃৎ থেকে গ্লুকোজেন মুক্ত হয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় ।
থাইরক্সিন অস্থি থেকে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসকে মুক্ত করে দেয় ।
থাইরক্সিনের প্রভাবে মূত্রে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।
থাইরক্সিন রক্তকণিকার ক্রমপরিণতিতে সহায়তা করে ।
থাইরক্সিন স্তন গ্রন্থিতে দুধের ক্ষরণ বাড়ায় ।
থাইরক্সিন দেহে অক্সিজেন সংযোগ ক্রিয়া বাড়ায় ।
থাইরক্সিন ব্যাঙাচির রূপান্তরে সাহায্য করে এবং সরীসৃপ ও পক্ষীজাতীয় প্রাণীদের নির্মোচনে সাহায্য করে ।
থাইরক্সিনের প্রভাবে শিশুদের বেলায় অবর্ধনজনিত রোগ বা ক্রিটিনিজম হয়ে থাকে এবং উঠতি বয়স্কদের বা প্রাপ্তবয়স্কদের মিক্সিডিমা হয়।
ক্রিটিনিজমের লক্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাংসপেশী ও হাড় এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বর্ধন না হওয়া। এর ফলে শিশু বেঁটে হয়, বোকা বা বুদ্ধিহীন হয়ে থাকে।
জিহ্বা বড় হবে ও মুখ থেকে বেরিয়ে আসে এবং নাভির হার্নিয়া হয়।
হাইপোথাইরয়েডিজম হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে অটোইমিউন ধ্বংসপ্রাপ্ত, ওষুধ, টিএসএইচ স্বল্পতা, গর্ভাবস্থায় মায়ের থাইরয়েড হরমোন স্বল্পতা ইত্যাদি।
থাইরক্সিনের প্রভাবে একজন ব্যক্তি অস্থিরতা বোধ করে এবং তার ওজন বাড়ে বা কমে যায়।
পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বিশেষ করে গর্ভাবস্থা বা মেনোপজের পর এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। থায়রয়েড ডিজিজের মধ্যে রয়েছে হ্যাশিমোতো’স থায়রইয়েডাইটিস ( এটি ইমিউন সিস্টেমের একটি ত্রুটিজনিত রোগ যা বংশগত কারণে হয়ে থাকে ) হাইপারথায়রয়েডিজম বা হাইপোথায়রয়েডিজম ( থায়রয়েড হরমোন বেশী বা কম ইত্যাদি
ট্রাইআইডোথাইরোনিনের কাজ (T3) ঃ ট্রাইআইডোথাইরোনিনের কাজ (T3 ) মুলত সরাসরি বিপাকীয় ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করে সহায়তা করা ।
অতিরিক্ত ট্রাইআইডোথাইরোনিন (T3) উৎপন্ন হলে ঃ
thy-8
গ্র্যাভস ডিজেজ ( Graves’ disease- পরবর্তী পর্বে জানতে পারবেন ) , থায়রয়েড গ্ল্যান্ডের প্রদাহ অথবা টিউমার দেখা দেওয়া অথবা গলগণ্ড দেখা দেওয়া । এ ছাড়া শরীরের তাপের অসহিষ্ণুতা, , ওজন হ্রাস, ক্ষুধা বৃদ্ধি , অন্ত্রের কামড় বা সঙ্কোচনতা বৃদ্ধি , অনিয়মিত মাসিক চক্র , দ্রুত বা অনিয়মিত হার্ট স্পন্দন , বুকের ধড়ফড়তা ও কম্পন বৃদ্ধি পাওয়া , গ্লানি, বিরক্ততা বেড়ে যাওয়া ,মাথার চুল কমে যাওয়া এবং চোখের পাতার সঙ্কোচনতা বেড়ে যাওয়া যা দেখতে ‘চোখে পড়ার মত’ মনে হয় । .
ট্রাইআইডোথাইরোনিন (T3) কমে গেলে ঃ
thy-10
বড়দের বেলায় ট্রাইআইডোথাইরোনিন (T3) কমে গেলে শরীরের ক্লান্তি ভাব , অবসাদগ্রস্ততা, ঘুম ঘুম ভাব; ঠাণ্ডা সহ্য করতে না পারা , গলার স্বরের কোমলতা কমে যাওয়া এবং অনেকটা ভারি বা কর্কশ শোনা, হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া ,উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথা অনুভব করা অথবা হার্ট ফেইলর হতে পারে, হৃদযন্ত্রের আবরণে অথবা ফুসফুসের আবরণে পানি জমা ওজন বৃদ্ধি, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, সৃতি শক্তি কমে যাওয়া, স্নায়ু ও মাংসপেশীর সমস্যা যেমন, মাংসপেশীতে ব্যথা বা শক্ত চাপ অনুভব করা; স্নায়ু ও মাংসপেশীনির্ভর রিফ্লেক্স কমে যাওয়া; বধিরও অনুভূত হওয়া , মাংসপেশীর টান কমে যাওয়া ইত্যাদি।
চর্ম বা ত্বকের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন, শুষ্ক, খসখসে ও ব্যাঙের ত্বকের মতো হয়ে যাওয়া, ভিটিলিগো নামক এক ধরনের শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হওয়া; চর্মে মিক্সিডিমা নামক এক ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি । প্রজননতন্ত্রে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন, মাসিকের সময় বেশি রক্তপাত হওয়া; বাচ্চা হওয়ার ক্ষমতা নষ্ট হওয়া; প্রজননে অক্ষমতা ইত্যাদি । পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার মধ্যে পায়খানা শক্ত হওয়া;পেটে পানি জমা হওয়া সহ নানান ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে । প্রাপ্ত ব্যস্ক অনেকের বেলায় গলগণ্ড প্রকাশ পেতেও পারে আবার নাও পেতে পারে …………………………।
রিসার্চ অনুসারে দেখা যায় , ভারত , বাংলাদেশ , পাকিস্তান , নেপাল , শ্রীলংকা তথা তৃতীয় বিশ্বের ৪৭% বেলায় অসুখটি আয়োডিনের অভাবেই হয়ে থাকে । আয়োডিন মানব দেহের শারীরিক এবং মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য একটি খনিজ পদার্থ । বিশেষ করে যে সকল মায়েদের সন্তান দান করার সময় যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমান আয়োডিন না থাকে তাহলে সেই সকল মায়েদের মধ্যে ৬১% মা বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম দিয়ে থাকেন ।
অনেকেই মনে করেন একমাত্র গলগণ্ড দেখা দিলেই থায়রয়েড হরমোনের অভাব মনে করতে হবে । না তা সম্পূর্ণ ভুল বরং পরিবেশগত কারনে ৮০% বেলায় তা দেখা যায়না বিধায় প্রাথমিক অবস্থায় সাধারণ চিকিৎসকরা থায়রয়েড হরমোনের প্রবাভ জনিত অসুখ গুরুত্বর অবস্থায় না যাওয়া পর্যন্ত অথবা সঠিক পরিক্ষা নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত অনেক সময় তা নিশ্চিত হওয়া সম্বভ হয়না, ইহাই সত্য !!!
রিসার্চ ঃ নতুন ভাবে গবেষণা অনুসারে ইহা ও প্রমাণিত যে থায়রয়েড হরমোন ক্যাটাবলিজম এবং ম্যাটাবলিজম উভয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্লাইকোপ্রটেন উৎপাদন করে যাকে সেক্স হরমোন বাইন্ডিং গ্লোবিউলিন বা SHBG বলা হয় । সে কারনেই পুরুষ এবং মহিলাদের সেকেন্ডারি বয়সে যৌন ক্রীড়াকে মারাত্তক ভাবে প্রভাবিত করে থাকে এবং মহিলাদের মেনপোজের বড় একটা কারণ ও হতে পারে ।
মেডিক্যাল জার্নাল অনুসারে থাইরয়েড গ্রন্থির রোগগুলোকে মোটামুটি পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়:
thy-9
১- হাইপারথাইরয়েডিজম ( Overactive thyroid ) থাইরয়েড গ্লান্ডের বেশী কার্যকরীতা
২- হাইপোথায়রয়েডিজম ( Underactive thyroid ) থাইরয়েড গ্লান্ডের কম কার্যকারিতা
৩- গলগণ্ড রোগ বা ঘ্যাগ
৪- থাইরয়েড গ্লান্ডের প্রদাহ বা থাইরয়েডাইটিস– বিশেষ করে পোস্টপার্টাম থায়রয়েডাইটিস (Thyroiditis, especially postpartum thyroiditis)।
হাইপারথাইরয়ডিজম ও হাইপোথাইরয়ডিজম ভিন্ন ধরনের অসুখ হলেও কিছু লক্ষণ আছে, যা উভয় রোগের ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
৫- – থাইরয়েড গ্লান্ডের ক্যান্সার বিশেষ করে থায়রয়েড নডিউলস (Thyroid nodules)।
কিভাবে বুঝবেন সমস্যাটা থাইরয়েড হরমোনের?
thy-4
অবসন্নতা
অনেক কারনেই আপনি দূর্বল বোধ করতে পারেন। কিন্তু নিয়মিত দূর্বল লাগার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে হাইপোথাইরয়েডিসম। হাইপো থাইরয়েডিসম হলো শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় কম থাইরয়েড হরমোন তৈরি হওয়া। সারা রাত পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরেও যদি সকালে অবসন্ন লাগে অথবা সারা দিন ধরে ঝিমুনি আসে তাহলে থাইরয়েড হরমোন ঠিক মতো কাজ করতে কিনা পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত।
বিষন্নতা
খুব বেশি বিষন্নতায় ভোগাও হাইপোথাইরয়েডিসম এর একটি লক্ষণ হতে পারে। থাইরয়েড হরমোন মস্তিষ্কে ভালো লাগার অনুভুতি সৃষ্টির পেছনে ভূমিকা রাখে। তাই শরীরে যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হয় তখন শরীরের পাশাপাশি মনের উপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
সারাক্ষণ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা হাইপারথাইরয়েডিসম এর লক্ষণ হতে পারে। হাইপারথাইরয়েডিসম হলো শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি থাইরয়েড হরমোন তৈরী হওয়া। সারাক্ষণ অস্থির হয়ে থাকা এবং একেবারেই বিশ্রামহীন থাকলে হাইপারথাইরয়েডিসমের সমস্যা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করানো দরকার।
খাবারে রুচির পরিবর্তনঃ
খাবারের রুচি অতিরিক্ত বেড়ে গেলে সেটা হাইপারথাইরয়েডিসমের লক্ষণ হতে পারে। অন্যদিকে হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ কম লাগে অনেক সময়। এক্ষেত্রে খাবারে রুচির অভাব দেখা দেয়।
মস্তিষ্কের উপর প্রভাব
মস্তিষ্কের উপর থাইরয়েড হরমোনের প্রভাব আছে। কোনো কিছুতে যদি মনোযোগ আনতে সমস্যা হয় বা মন এদিক ওদিক বেশি চলে যায় তাহলে হাইপারথাইরয়েডিসম থাকতে পারে। আবার একই ভাবে কারো যদি সম কিছু ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে তাহলে তার হাইপোথাইরয়েডিসম থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
ত্বকের উপর প্রভাব
হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও চুলকানীভাব যুক্ত হতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে ঘাম কম হয় এবং ত্বক তার প্রয়োজনীয় আদ্রর্তা না পেয়ে শুষ্ক হয়ে যায়। হাইপোথাইরয়েডিসমের রোগীদের মধ্যে নখ ভাঙ্গার বা ফাটল ধরার প্রবণতাও বেশি।
গলার স্ফীতি
থাইরয়েড হরমোনের অভাবে অর্থাৎ হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে গলা ফুলে উঠতে পারে।
গলায় হাত দিয়ে কোনো অস্বাভাবিক ফোলা কিছু পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
এছাড়াও থাইরয়েড হরমোনের অভাবে গলার আওয়াজ কিছুটা কর্কশ হয়ে যেতে পারে হঠাত করে।
ওজন পরিবর্তন
হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়াটা হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে হতে পারে।
কেউ যদি খাওয়া না বাড়ানো সত্ত্বেও হঠাৎ করে যদি ওজন সমস্যায় ভোগে তাহলে তার ডাক্তারের কাছে থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করানো উচিত।
একই ভাবে যাদের হঠাৎ করেই বেশ খানিকটা ওজন কমে যায় তাদের হাইপারথাইরয়েডিসম থাকার সম্ভাবনা আছে।
চুলের সমস্যা
হাইপোথাইরয়েডিসম হলে অতিরিক্ত চুল পড়া,চুলের আগা ফেটে যাওয়া ও চুলের বৃদ্ধি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতা অথবা আধিক্য দুটাই শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
তবে সময়মত সনাক্ত করতে পারলে নির্দিষ্ট মাত্রার অসুধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ থাকা সম্ভব।
তাই থাইরয়েড হরমোন সমস্যার কোনো লক্ষণ দেখা গেলে দেরী না করে দ্রুত ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হওয়া উচিত।
ইচ্ছেকরলেআপনিওআমাদেরথেকেজার্মানিঔষধদ্বারাচিকিৎসাসেবাওপরামর্শনিতেপারবেন।
👉আমাদের চিকিৎসা সেবা সারা দেশে পার্সেলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঔষধ পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
👉চিকিৎসার জন্য যােগাযােগ করুন।
📱📲01721418696
👉হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাপদ্ধতি লক্ষণ সংগ্রহের মাধ্যমে সঠিক ঔষধ নির্ণয় করে স্বদৃশ বিধানমতে চিকিৎসা করা উত্তম পন্থা।
👉হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন সুস্থথাকুন।
চিকিৎসা বিষয়ক পরবর্তী পোষ্ট পেতে পেইজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন।
👉
বিস্তারিত জানতে পেইজের নাম্বারে যোগাযোগ করুন।