ডিস্পেপসিয়া ( Dispepsia )
ডিস্পেপসিয়ার অর্থ গরহজম, আমরা যাহা আহার করি, তাহা রীতিমত পরিপাক না হইলে শরীরস্থ সমস্ত যন্ত্রের ক্রিয়ার ব্যাতিক্রম হয়, ফলে শরীর ক্রমশঃ দুর্বল, রক্তহীন ও অকর্মণ্য হইয়া পড়ে, ইহাই – ডিস্পেপসিয়া পীড়া । আজকাল এই পীড়ার প্রাদুর্ভাব প্রায় সর্বত্রই দেখিতে পাওয়া যায় তবে সংখ্যায় প্ললি অপেক্ষা শহরবাসীরাই অধিক আক্রান্ত হয় ।
★ পীড়া উৎপত্তির কারণ ★
ডিস্পেপসিয়ার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা কঠিন । তবে সম্ভবতঃ নিন্মলিখিত কারণগুলিই ডিস্পেপসিয়ার প্রধান কারণ বলিয়া পরিগণিত হয়, যথা –
★ পরিপাক যন্ত্রের যান্ত্রিক পরিবর্তন যেমন – অন্ত্রাদিতে শ্লেষ্মা, প্রদাহ, ক্ষত, অন্ত্র পুরু হওয়া ইত্যাদি কারণে ডিস্পেপসিয়া হয় ।
★ পরিপাক যন্ত্র হইতে যে সমস্ত রস নিঃসৃত হইয়া ভুক্ত দ্রব্য পরিপাক হয়, তাহাদের পরিমাণ বা গুনের তারতম্য, যেমন – গ্যাস্ট্রিক-জুস ( ইহা পাকস্থলী হইতে নিঃসৃত হয় বাংলায় ইহাকে – অগ্নি বা পাচক-রস বলে ), প্যাংক্রিয়াটিক-জুস, লিভার, পিত্তকোষ ও অন্ত্র হইতে রস ( Secretion ) যদি অল্প পরিমাণে বাহির হইয়া কিম্বা উহাদের গুনের কোনও প্রকার পরিবর্তন হয়, তাহা হইলে ডিস্পেপসিয়া হয় ।
★ মানসিক উত্তেজনা ও অত্যধিক মানসিক পরিশ্রম, যেমন – অতিরিক্ত চিন্তা, কুসংবাদ, শোক, পাঠ ইত্যাদিতে নার্ভাস-সিস্টেমের স্বাভাবিক ক্রিয়ার ব্যতিক্রম হয়, তাহাতে ডিস্পেপসিয়া হয় ।
★★ অবৈধ পানাহার, যেমন – মদ্যপান, অতিরিক্ত লঙ্কা, মরিচ, রাই প্রভৃতি ব্যবহার, আইসক্রিম, অতিরিক্ত চা, কফি ইত্যাদি ষ্টিমুল্যাণ্ড ও উত্তেজক দ্রব্যাদি পানাহার এবং বাজারে প্রস্তুত বাসি, পচা, অখাদ্য-কুখাদ্য আহারে ডিস্পেপসিয়া হয় ।
★★ ডিস্পেপসিয়ার আরও একটি প্রধান কারণ – আমরা দৈনিক যাহা আহার করি, তাহা আমাদের পরিপাক শক্তির অন্তর্ভুক্ত কি না, তাহা ভাল করিয়া না দেখা, যদি আহার পরিপাক শক্তির অন্তর্ভুক্ত না হয়, তাহা হইলে ক্রমশঃ ডিস্পেপসিয়া রোগের উৎপত্তি হইবে ।
আহারীয় পদার্থ পরিপাকের নিমিত্ত সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেক মানুষকেই লালা গ্যাস্ট্রিক-জুস এবং অন্ত্র ও প্যাংক্রিয়াস হইতে একপ্রকার নিঃসৃত হইয়া সকল প্রকার খাদ্য পরিপাক হইবে এই প্রকার ক্ষমতা প্রদান করিয়াছে, তবে হয়ত কাহারও গ্যাস্ট্রিক-জুস অধিক এবং লালা ও পিত্তাদি কম এবং কাহারও লালা পিত্তাদি অধিক, গ্যাস্ট্রিক-জুস কম নিঃসৃত হয়, এইরূপও হইতে পারে ।
অতএব যাহার গ্যাস্ট্রিক-জুস অধিক এবং লালা ও পিত্ত কম নিঃসৃত হয়, যদি সে ব্যাক্তি অধিক চর্বিযুক্ত দ্রব্য ও রুটি, লুচি, পরাটা, গোলআলু ইত্যাদি দৈনিক আহার করে, তাহা হইলে ইহা রীতিমত পরিপাক না হইয়া ডিস্পেপসিয়া হইবে, কিন্তু যদি সেই ব্যক্তি ডাল, মাংস, ডিম প্রভৃতি আহার করে, তাহা হইলে সহজেই পরিপাক হইবে এবং স্বাস্থ্যও ভাল থাকিবে । সেই প্রকার যে ব্যক্তির গ্যাস্ট্রিক-জুস অল্প এবং লালা, পিত্তাদি অধিক নিঃসৃত হয়, যদি সেই ব্যাক্তি মাংস ডিম ইত্যাদি অধিক পরিমাণে আহার করে, তাহা হজম করিতে পারিবে না, সুতরাং ডিস্পেপসিয়া হইবে ।
★★ ডিস্পেপসিয়ার লক্ষণ ★★
★ কোষ্ঠবদ্ধ ( ডিস্পেপসিয়ার একটি প্রধান লক্ষণ )
★ ক্ষুধালোপ কিম্বা রাক্ষুসে ক্ষুধা, সর্বদা ঝাল, অম্ল, গরম মসলাযুক্ত দ্রব্যাদি আহারে ইচ্ছা ।
★ পাকস্থলীতে বায়ুজমা ও সেই বায়ু উরদ্ধগতি হইয়া শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট, বুক ধড়ফড়ানি, বিস্বাদ ঢেকুর ।
★ পাকস্থলীতে অম্ল সঞ্চয় তজ্জন্য টক ঢেকুর, চোঁরা ঢেকুর, বুক জ্বালা, মুখে জল উঠা, গলায় পুটুলি আটকাইয়া থাকা বোধ ইত্যাদি ।
★ ভুক্তদ্রব্য পরিপাক না হইয়া বমি, বাহ্য ।
★ পাকস্থলীর উরদ্ধদেশে অগ্রকড়ার স্থানে বেদনা, স্পর্শকাতরতা, পেট সর্বদা ভারীবোধ ও পেটে অশান্তি এবং পেট ফুলিয়া দমসম হওয়া ।
★ শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমে অনিচ্ছা, অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি, অবসাদ, মনমরা, স্ফূর্তিহীনতা, মেজাজ খিটখিটে, একটুতেই ক্রোধ, অনিদ্রা, নিদ্রায় স্বপ্ন, মাথাধরা, চোখে কম দেখা, অন্ধকার দেখা, মুখের চেহারা বিবর্ণ, ক্লিষ্ট, চোখ বসা, শরীরের রঙ ফেকাসে কিম্বা হলদে হওয়া, ঠোঁটের, মুখের, জিবের, চোখের রক্ত কমিয়া আসা প্রভৃতি ।
★ হাত পা সর্বদা ঠাণ্ডা, একটু ঠাণ্ডাতেই ঠাণ্ডা লাগা ।
★ ক্রমশঃ শরীরের মাংস ও শক্তি কমিয়া আসা, শীর্ণ অকর্মণ্য ও দুর্বল হইয়া পড়া ।
★★ শিশুদের ডিস্পেপসিয়া হইলে ★★
পেট ফুলিয়া উঠে, পেট শক্ত হয় পেট টিপিলে বেদনা বোধ করে, কাঁদে পেট ডাকে, পেটের ভিতর গড়গড় কলকল শব্দ করে, বাহ্যে অত্যন্ত দুর্গন্ধ কিম্বা টক গন্ধ এবং মল ছানার কুঁচির মত ছেঁড়া ছেঁড়া হয় । শিশুর পেটে কলিকের মত কিম্বা কামড়ানি খামচানি বেদনা হয় প্রত্যেক বার আহারের পর পা ছোড়ে, পা গুটাইয়া পেটের দিকে আনে কেবল কাঁদে, ঘ্যান ঘ্যান করে, ভালরূপে ঘুমাইতে পারে না, ঘুমাইলে হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গিয়া যায় ও কাঁদে, সে সময় কিছু আহার দিলে খায়, কিন্তু বমি করিয়া ফেলে, বমি ছানা কিম্বা জমা জমা দধির মত । এই সমস্ত উপসর্গের শীঘ্র উপশম না হইলে ক্রমশঃ পেটের দোষ আসিয়া পড়ে, জ্বর হয়, দুর্বল হইয়া
পড়ে ।
★ চিকিৎসা ও পথ্য ★
এই পীড়ায় পথ্য ও পরিপাক শক্তির উপর প্রথমে লক্ষ্য রাখিয়া পরে ঔষধের ব্যবস্থা করিতে হইবে । রোগী আটা, ময়দা, ডাল, আলু, ভাত, মাংস, ডিম প্রভৃতি কোন দ্রব্য আহার করিলে সহজে হজম করিতে পারে – রুটি, লুচি খাইলে কি প্রকার হজম হয় – মাংস খাইলে কি প্রকার থাকে ইত্যাদি উত্তমরূপে বুঝিয়া সেই প্রকার আহারের ব্যবস্থা করিয়া চিকিৎসা ও ঔষধের ব্যবস্থা করিলে রোগী আরোগ্য করিতে আমাদের বিশেষ কষ্ট হইবে না । আবার শরীরের অবস্থা ও বয়স অনুযায়ীও আহারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন । যুবা অপেক্ষা বৃদ্ধদিগের অতি অল্প পরিমাণে আহারের ব্যবস্থা করা উচিত । শিশুদের গরহজমের প্রধান কারন – মাতার স্তন দুগ্ধের দোষ কিম্বা তাহাদের পরিপাক শক্তির ধারণ করিবার অজ্ঞতা, সুতরাং যাহাতে তাহাদের আহার আমরা বুঝিয়া প্রয়োগ করিতে পারি, তদ্বিষয়ে যত্নবান হওয়া বিশেষ আবশ্যক ।
একমাত্র মানুষ ভিন্ন ঈশ্বরের অন্য কোনও সৃষ্টি জীব আহারের সময় জল পান করে না । আহারের সময় জল পান করিলে পরিপাক শক্তির হ্রাস হয় । আমরা যে সমস্ত আহার করি, তাহাতে অনেক পরিমাণেই জলের অংশ থাকে, তবে শরীর ধারণ ও পিপাসা নিবারণার্থে অবশ্য কিছু পরিমাণে জল পান করা আবশ্যক । যাহা হউক ডিস্পেপসিয়া রোগীর আহারের সময় জল পান করা নিষিদ্ধ, তাহারা আহারের সময় জল পান না করিয়া আহারের প্রায় একঘণ্টা পূর্বে একগ্লাস ঈষদুষ্ণ জল পান করিবে, তাহাতে পাকস্থলীতে পূর্বের আহারের কোন অংশ পড়িয়া থাকিলে বাহির হইয়া যাইবে, পাকস্থলী ধৌত হইবে এবং পরবারের আহার গ্রহণের জন্য পাকস্থলী প্রস্তুত থাকিবে ।
আহারের সময় ভাল করিয়া চিবাইয়া আহার না করিলে অনেক সময় ডিস্পেপসিয়া হয় । আহারীয় দ্রব্য পরিপাকের জন্য পরিমিত লালা ( Salive ) যে প্রকার প্রয়োজন, খাদ্য দ্রব্য উত্তমরূপে চর্বিত হওয়াও সেই প্রকার প্রয়োজন । পাকস্থলী ও অন্ত্রাদির মধ্যে যেখানে হজম হয়, সেখানে এমন কোনও যন্ত্র নাই যাহার দ্বারা দন্তের কার্য সম্পাদিত হয় । যদি রোগীর দাঁতের কোনও প্রকার গোলযোগ থাকে, দাঁত পড়িয়া যায়, তাহা হইলে কৃত্রিম দাঁত বাঁধাইয়া লওয়া উচিত । মফঃস্বলে কৃত্রিম দাঁত প্রস্তুত করিবার লোক নাই, সুতরাং সেখানকার অধিবাসীগনকে যে সকল দ্রব্য উত্তমরূপে চিবাইয়া না খাইতে হয়, সেই প্রকার আহারের বন্দোবস্ত করিবে । ভাত, তরকারি, মাছ, মাংস সমস্তই খুব সিদ্ধ করিয়া নরম করিয়া খাইবে, মিষ্টদ্রব্য যতদূর সম্ভব অল্প করিয়া খাইবে । শসা, কাঁকুড় প্রভৃতি কাঁচাফল, অপক্কফল এবং যাহাদের অম্বল হয়, অর্থাৎ টক ঢেকুর উঠে, টক বমি হয়, তাহাদের কোনও প্রকার টক দ্রব্য খাওয়া একেবারে নিষিদ্ধ । ডিস্পেপসিয়া রোগীর একেবারে অধিক পরিমাণে আহার অর্থাৎ খুব পেট ভরিয়া খাওয়া উচিত নহে । ক্ষুধা হইলে লঘুপাক দ্রব্য বারে – অধিক কিন্তু প্রত্যেকবারের পরিমাণ অল্প হওয়া ভাল । একেবারে আহার করিয়া যতক্ষণ পর্যন্ত না উত্তম ক্ষুধা হয়, ততক্ষণ আহার করা উচিত নহে । ভালরূপ ক্ষুধা হইলেই বুঝিতে হইবে যে, পূর্বের আহার হজম হইয়াছে, তখন আহার করিলে পরিপাকের আর কোনও গোলযোগ থাকিবে না । ডিস্পেপসিয়া রোগী আহারের অন্ততঃ একঘণ্টা পূর্বে ও পরে সম্পূর্ণ বিশ্রাম লইবে । আমরা যে সমস্ত দ্রব্য আহার করি তাহা পাকস্থলীতে হজম হইয়া ক্ষুদ্র অন্ত্রে প্রবেশ করিতে প্রায় এক হইতে ৩/৪ ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হয়, অতএব হজমের শেষে অর্থাৎ আহারের ৩/৪ ঘণ্টা পরে এক পোয়া আন্দাজ ঈষৎ গরম জল ৪/৫ বারে একটু একটু করিয়া এক ঘণ্টার মধ্যে পান করিলে হজমের বিশেষ সহায়তা করিবে । উষ্ণ জল অম্বলের পীড়ারও মহৌষধ । যাহাদের অম্বলের পীড়া আছে, আহারের ২/৩ ঘণ্টা পরে অম্বল হয়, তাহারা আহার পাকস্থলীতে হজম হইবার সময় অর্থাৎ আহারের একঘণ্টা পরে অম্বল হয়, তাহারা আহার পাকস্থলীতে হজম হইবার সময় অর্থাৎ আহারের একঘণ্টা পর হইতে ঈষৎ উষ্ণ জল অল্প করিয়া ৩/৪ বার পান করিলে পীড়ার উপশম হইবে ।
আপনারা হয়ত জানেন – আহার পাকস্থলীতে প্রবেশ করিলেও উহাকে হজম করিবার জন্য পাকস্থলীর ভীতরে যে সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্ল্যাণ্ড আছে, তাহা হইতে হাইড্রোফ্লোরিক-অ্যাসিড নামক একপ্রকার অম্লরস ( ইহাই গ্যাস্ট্রিক-যূষ ) বাহির হয়, আহার হজম করিয়া সেই অম্লরস যাহা অবশিষ্ট পাকস্থলীতে পড়িয়া থাকে তাহাতে অম্বল হয় ।
অতএব গরম জল পান করিলে উহা অ্যাসিডের সহিত মিশ্রিত হইয়া অ্যাসিডের বিষক্রিয়া নষ্ট করিয়া ফেলে, তাহাতে অম্বলের জোর কমিয়া আসে ( উষ্ণ জল প্রাতে, আহারের একঘণ্টা পূর্বে ও দুইঘণ্টা পরে এবং সন্ধ্যায় এই ৪ বার পান করিবে ) অম্বল অধিক পরিমাণে হইলে পেটে একপ্রকার অসহ্য বেদনা হয়, উহাই – অম্লশূন্য বা অম্বলশূল বেদনা ।
★ অম্লশূল বেদনার কারণ কি ? > উপরে বলা হইয়াছে যে খাদ্য দ্রব্য পাকস্থলীতে পতিত হইলেই উহাকে হজম করিবার নিমিত্ত পাকস্থলী হইতে অ্যাসিড ( অম্লরস ) নিঃসৃত হয় । যদি সেই অ্যাসিড পরিমিত না হইয়া অধিক পরিমাণে নিঃসৃত ( Secretion ) হয়, তাহা হইলে অম্বলের বেদনা হয় এবং ঐ বেদনা অধিক ও প্রত্যহ হইলেই তাহাকে – অম্লশূল বেদনা বলি । প্রকৃতির প্রকৃতিগত নিয়মে উক্ত অ্যাসিড কেবলমাত্র হজমের সময়েই নিঃসৃত হয়, কিন্তু অম্লশূল বেদনাগ্রস্ত রোগীদের ইহা ২৪ ঘণ্টাই নিঃসৃত হইতে থাকে, তাহাতে ক্রমশঃ পাকস্থলীর মিউকাস-মাম্ব্রেন নষ্ট হয়, পাকস্থলীর স্বাভাবিক শক্তি নষ্ট হয়, অত্যধিক অ্যাসিড সঞ্চয়ের নিমিত্ত পাকস্থলীর বিবৃদ্ধি ( Dilatation ) অনেক সময় পাকস্থলীতে ঘা হয় ।
★ কোষ্ঠবদ্ধ ★
ইহা ডিস্পেপসিয়ার একটি প্রধান উপসর্গ, ঔষধ সেবনে এই উপসর্গের কোনও উপশম না হইলে কোষ্ঠ পরিষ্কারের নিমিত্ত সোনামুখী পাতা শুট, মৌরি, বড় হরিতকীর ছাল, পৃথকভাবে গুঁড়াইয়া কাপড়ে ছাঁকিয়া সমান ওজনে লইয়া একত্রে মিশাইয়া একটি শিশিতে রাখিয়া দিবে এবং প্রত্যহ আহারের পর সিকি হইতে অর্ধ ভরি পরিমাণে খাইয়া একটু গরম জল – অভাবে ঠাণ্ডা জল পান করিবে ।
★ ঔষধ সমূহ ★
নাক্স-ভমিকা, কার্বোভেজ, চায়না, হাইড্রাসটিস, ক্যালি-কার্ব, লাইকো, মিক্রোমেরিয়া, এবিস নায়গ্রা, ক্যাল্কেরিয়া-কার্ব, পালসেটিলা, অ্যাসিড-কার্বলিক, আর্জেন্ট-নাইট্রিকাম ইত্যাদি ।
★★ হোমিওপ্যাথিতে কোনও পীড়ার কোনও নির্দিষ্ট পেটেন্ট ঔষধ নাই, রোগ লক্ষণের সহিত কোনও ঔষধের লক্ষণ মিলিত হইলে সেইটিই সেই পীড়ায় ব্যবহৃত হয় ।