ট্যারা চোখ(Strabismus) এর চিকিৎসাঃ
আমি অতি নগন্য একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থায় ট্যারা চোখ চিকিৎসা কিভাবে করেন বা এর ফলাফলই বা কি তা আমার বিষয় নয়। হোমিওপ্যাথিতে এর সুন্দর চিকিৎসা আছে আমি তার উপর সামান্য আলোচনা রাখবো।
শুরুতেই বলে রাখি হোমিওপ্যাথিতে রোগের নামে কোন চিকিৎসা নেই, আছে লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা, আর এজন্য করোনার মতো নতুন কোন রোগেও হোমিওপ্যাথির নতুন ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মূল বিষয় হলো – প্রতিটি রোগের পিছনে বিদ্যমান মুল কারন এবং লক্ষন সমষ্টি।
রোগের পূর্নাঙ্গ নলেজ, যা না থাকলে রোগের ব্যবস্থাপনা সম্ভব হয়না। যেমন করোনা রোগেই তার বড় প্রমান।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় কারণ বিবেচনায় নিয়ে যেভাবে ওষুধ নির্বাচন করা হয় —-
* রোগজ আক্ষেপ জনিত কারন — শিশু অবস্থায় আক্ষেপ বা খিচুনী জনিত উপসর্গের পর ট্যারা হলে- বেলেডোনা(+), সিকুটা(++), সাইক্লামেন(+), হাইওসিমাস(+)।
* আঘাতের জন্য হলে – সিকুটা(+) নির্দিষ্ট।
* কৃমিজনিত কারনেও হয়ে থাকে – সিনা(++), স্যানটোনাইন(++), স্পাইজেলিয়া(++), বেলেডোনা(+), সাইক্লামেন(+), হায়োসিমাস(+), মার্ক-সল(+)।
* ঠান্ডা লেগে (তরুন) হলে- সিকুটা(+), নির্দিষ্ট।
* ডায়রিয়া চাপা পড়ার পর- পডোফাইলাম(+)।
* মস্তিষ্কের কোন রোগের জন্য বা তার পরবর্তী কুফলে – এপিস(+++), বেলেডোনা(+++), ডিজিটেলিস(++), হেলিবোরাস(++), হায়োসিমাস(++), মার্ক-সল(++), স্ট্রামোনিয়াম(++)।
শিশুদের খেত্রে সহজে ফলাফল পাওয়া যায়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে চিকিৎসাও কঠিন হয়ে যায়।
রোগের কারন জানা থাকলে যত সহজে ভালো করা যায়, কারণ না পেলে ততটাই কঠিন হয়ে যায়।
এবার একটি রোগী চিকিৎসার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরছি – –
আরাফাত – ৭ বছর বয়স।
মাদ্রাসার ছাত্র।
বাপের সাথে নানার বাড়ি থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেলে মাথায় আঘাত পেয়ে্ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসে তার কিছুদিন পর বাম চোখ বাইরের (extropia) দিকে বেকে যায়, এরপর চোখের ডাক্তার দেখালে কিছুদিন চিকিৎসা নিয়ে ফল না পেয়ে আমার কাছে আসে। ততক্ষণে ৫ মাস অতিবাহিত হয়ে যায়, এখন নাকি পড়ালেখা করতে চায়না, আর করলেও আগের মতো মনে রাখতে পারেনা।
রেপার্টরীর সাহায্য নিয়ে- Cicuta millesimal potency (0/2 – 0/8) প্রয়োগ করে আরোগ্য করতে পেরেছি।