আপনি যদি ১০ টি ঔষধের ব্যবহার জানেন আপনার রোগী গুলো ১০ টি ঔষধের মধ্যে ঘুরবে,
আপনি ১০ টি থেকে ১ টি ঔষধ আপনার রোগীর জন্য নির্বাচন করে ফেলবেন,
আর আপনি যদি ১শত ঔষধের ব্যবহার জানেন আপনার রোগী গুলো ১শত ঔষধের মধ্যে ঘুরবে।
তাই বলতে পারি হোমিওপ্যাথির সফলতা নির্ভর করে মেটিরিয়া মেডিকার জ্ঞানের উপরে।
আমরা অনেক সময় নিজেদেরকে ক্লাসিকাল হোমিওপ্যাথিক মনে করি।
বাস্তবে দেখা যায় ডাক্তারির বয়স চলে ৪০ বছর,কিন্তূ ৪০ টা ঔষধের ব্যবহার সঠিক ভাবে জানা হয়নি,
তাই ক্লাসিকাল হয়েও ভালো চিকিৎসা দিতে পারছিনা।
হোমিওপ্যাথিক মেটিরিয়া মেডিকা পড়তে হয় ঔষধের প্রজাতিগত শ্রেনী বিন্যাস করে,
কিন্তূ নবীনদের জন্য এই পদ্ধতি ঠিক নয়।
তাই আমি ঔষধের গভীরতার দিক চিন্তা করে ঔষধ গুলো ভাগ করেছি।
বড় কোন দালান নয়,পাঁচ খুঁটির ১ টি মেটিরিয়া মেডিকার তাবু স্থাপন করাই আমার উদ্দেশ্য।
১ম খুঁটিঃ
ভালো চিকিৎসক হওয়ার উদ্দ্যেগ।
আপনি যদি গন্তব্য স্থানে যাওয়ার জন্য উদ্দ্যেগি না হন,
তাহলে অন্য জনে সহজ রাস্তা দেখালে কি লাভ হবে।
১ জন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারকে সর্দিকাশির চিকিৎসা করতে হয়,
আবার ক্যান্সারেরও চিকিৎসা করতে হয়,
এটাতে বুঝা যায় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারকে সময় উপযোগী ক্লাসিকাল চিকিৎসক হতে হলে কত পরিশ্রম করতে হবে।
আপনাকে মেটিরিয়া মেডিকা অনেক পড়তে হবে।
তবে আমি এতটুকু বলতে পারি ১ জন ছাত্র SSC পাস করার জন্য যে পরিশ্রম করে,সে রকম পরিশ্রম যদি মেটিরিয়া মেডিকার অধ্যায়নের জন্য করে,ভালো ডাক্তার হওয়ার রাস্তা সে পেয়ে যাবে।
২য় খুঁটিঃ
এই খুঁটিতে এসে আপনি এমন কিছু ঔষুধের তালিকা তৈয়ার করেন,
যাহা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তরুণ প্রাকৃতি রোগে ব্যবহৃত হয়,
যেমনঃ একোনাইট,ব্রায়োনিয়া,বেলাডোনা ইত্যাদি।
আমার ১ম জীবনে এই ধরনের তরুন প্রাকৃতির রোগ গুলোকে গুরুত্ব কম দিয়েছিলাম বলে,আমাকে জনপ্রিয় হতে বেশী সময় লেগেছে।
জ্বর ভালো করতে না পারলে আপনার কাছে ক্যান্সারের রোগী আসবেনা।
এই জাতীয় ঔষুধ গুলা আপনার ব্যাপক অধ্যায়নের প্রয়োজন নেই।
ঔষধের মূল চরিত্র গত ১০ টি লক্ষণ জেনে নিন,
যাহা এই ঔষধের চরিত্র ফোটে এবং এই ঔষধটিকে অন্য ঔষধ থেকে আলাদা করে চিনতে সাহায্যে করে।
আবার ১০ টি রোগ ভিত্তিক লক্ষণ জেনে নিন, যাহা হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিতে ঔষুধ নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৩য় খুঁটিঃ
এই খুঁটিতে এসে আপনি এমন কিছু ঔষধের তালিকা তৈয়ার করেন,
যাহা মধ্যম প্রাকৃতির ঔষধ এবং তরুণ ও পুরাতন উভয় প্রকার রোগে ব্যবহৃত হয় যেমনঃ নাক্স,আর্সেনিক ,আর্নিকা ইত্যাদি।
এখানে এসে ১৫টি লক্ষণ জেনে নিন
যাহা এই ঔষধের চরিত্র ফোটে উঠে এবং এই ঔষধটিকে আলাদা করে চিনতে সাহায্য করে।
আবার ১৫ টি রোগ ভিত্তিক লক্ষণ জেনে নিন যাহা হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিতে ঔষধ নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৪র্থ খুঁটিঃ
এই খুঁটিতে এসে আপনি এমন কিছু ঔষধের তালিকা তৈয়ার করেন যাহা পুরাতন রোগী গুলোকে মাঝে মাঝে ব্যবহার করতে হয় যেমনঃ সোরিনাম,টিউবারকুলিনাম,মেডোরিনাম ইত্যাদি।
এই ধরনের ঔষধ গুলোর জন্য আপনাকে আরেকটু বেশী পরিশ্রম করতে হবে।
এখানে এসে ঔষধের চরিত্রগত ১৫ টি লক্ষণ জেনে নিন।
যাহা এই ঔষধের চরিত্র ফোটে উঠে এবং এই ঔষধটিকে অন্য ঔষধ থেকে আলাদা করে চিনতে সাহায্য করে।
আবার ১৫ টি রোগ ভিত্তিক লক্ষণ জেনে নিন,যাহা হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিতে ঔষধ নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
৫ম খুঁটিঃ
এই খুঁটিতে এসে আপনাকে আরেকটু বেশী পরিশ্রম করতে হবে।
আসলে ১ জন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের ব্যাপক সফলতা এখানে লুকায়িত আছে,আপনি এই ঔষধ গুলা যতবেশী জানবেন তত বড় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হতে পারবেন।
আপনার পুরাতন রোগীকে বেশীর ভাগ সময় এই ঔষুধ গুলোর উপরে রাখতে হবে যেমনঃফসফরাস, সাইলেসিয়া,ক্যালক্যারিয়া কার্ব ইত্যাদি।
আসলে এসব ঔষুধ গুলো ব্যাপক ভাবে পড়তে হয়।
তবে তরুণ চিকিৎসক হিসাবে আপনি এমন ৩০ টি লক্ষণ জেনে নিন, যাহা এই ঔষুধটিকে চিনিয়ে দেয় এবং অন্য ঔষুধ থেকে আলাদা করে।
আর এমন ২৫ টি রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহারিক লক্ষণ গুলো জেনে নিন যাহা হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিতে ঔষধ নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
আসলে মেটিরিয়া মেডিকা হলো ব্যাপক একটা বিষয় কিন্তু কোন তরুণ চিকিৎসক এটাকে সংক্ষেপ না করলে দীর্ঘ সময় চলে যাবে ঔষুদের চিত্র শিখতে পারবেনা।
“আমি আমার মতে একটা গাইড লাইন দিলাম আপনি আপনার শিক্ষক বা এলাকার কোন একজন সিনিয়র ক্লাসিকাল চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে আমার পদ্ধতিটা অনুসরণ করতে পারেন।
ইনশাআল্লাহ সল্প সময়ে অনেক দূর আগাতে পারবেন।
আমার ১ম পোষ্টটা “কিভাবে একজন ভালো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হবেন” পড়ার প্রয়োজন মনে করি।
পরবর্তী পোষ্ট হবে “কিভাবে ঔষুধের চিত্র পড়তে হয়”
হোমিওপ্যাথিক বন্ধুদের উপকার হবে মনে করলে শেয়ার করুন।