অনলাইনে বা সরাসরি চেম্বারে সৈয়দ হোমিও হল ফরেস্ট রোড আলিয়া মাদ্রাসা মার্কেট শেরপুর বগুড়া
01721418696
মুএ পাথরী (Renal Calculi.Renal Stone). রোগের পরিচয়;–মুএগ্রন্হি বা কিডনির মধ্যে পাথরের টুকরো কোন কারনবশত সৃষ্টি হলে তাকে বলে মুএ পাথরী। এই পাথর জাতীয় পদার্থ কখনো মুএকোষে.কখনো মুএবাহী নালীতে আবার কখনো মুএথলীতে এসে জমা হয় তারপর প্রস্রাবের সংঙ্গে আর বের হতে না পারলে ধীরে ধীরে এই রোগ দেখা দেয়। ইহা অনেক সময় মুএকোষ.মুএনালী বা মুএথলীতে এসে প্রস্রাব অবরুদ্ধ করে এবং অত্যন্ত যনএনার সৃষ্টি করে। এই পাথর ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের হতে পারে।একটি পরিস্কার শিশিতে মুএ কিছুক্ষণ রাখলে যদি ইটের গুড়োর মত বা বালুকার মত তলানি পড়ে তবে বুঝতে হবে রোগীকে ধীরে ধীরে এই রোগে আক্রমণ করছে। তখন অতি সুক্ষ্য বালুকণা তুল্য বা সর্ষের পরিমাণ প্রস্তর কণা অথবা শিমবীজ পরিমাণ প্রস্তরখন্ড সদৃশ ছোট মাঝারি বা বড় নানা আকারের পাথুরি মুএযণ্এে বা মুএনালীতে বা মুএ থলিতে জমা হতে থাকে।সাধারণত মহিলা অপেক্ষা পুরুষদের এই রোগটি বেশী হয়ে থাকে।৷৷৷৷ ৷৷৷৷৷৷ কারণঃ—-বিভিন্ন কারণে মুএপাথরী সৃষ্টি হতে পারে।১।জলবায়ু এবং পেশা।শরীর হতে অতিরিক্ত ঘাম নির্গত হবার ফলে এই জাতীয় রোগ সৃষ্টির পথ সুগম হয।শরীর হতে ঘাম নির্গত বা প্রস্রাব হবার বিষয়টি জলবায়ু এবং পেশার উপর আংশিক নির্ভরশীল। ২।অতিরিক্ত স্হেহ জাতীয় খাবার যথা দুধ.ঘি. মাখন পনির ইত্যাদি গ্রহণ এবং উহার যথার্থ পরিপাক ক্রিয়া হওয়ার জন্য এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে।৩। যে কোন সংক্রামক রোগে মুএযন্এটি আক্রান্ত হয়.অথবা মুএ অবরোধ হয়ে ও এই রোগ হতে পারে।৷৷৷৷৷৷ লক্ষণ;-_—–এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে বিশেষ বিশেষ কতকগুলো লক্ষণ প্রকাশ লাভ করে থাকে। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলোই প্রধান—–১। মুএথলি মুএাশয় প্রচন্ড বেদনাযুক্ত হয়।কখনো কোমরে বা পেটের একদিকে বা দুইদিকে তীব্র বেদনা অনুভুত হয়। ব্যাথার সংগে মুএ থলি হতে রক্ত বের হতে পারে। প্রস্রাব রক্তাক্ত হয় ইহাকে হিমাচুরিয়া বলে। কোমর থেকে অন্ডকোষ পর্যন্ত তীব্র ব্যথা হতে পারে।এই ব্যথা কখনো বা পিঠ থেকে উপরে উঠে কাধ পর্যন্ত ব্যথা হতে পারে।এই ব্যথা কখনো পিঠ থেকে উপরে উঠে কাধ পর্যন্ত প্রসারিত হ আবার কখনো ও বুক পর্যন্ত প্রসারিত হয়।এই বেদনার সঙ্গে কম্পন.বমি.বমিবমি ভাব হতে পারে।২। অনেক সময় পুরুষের অন্ডকোষ ফুলে যায় এবং ফোটা ফোটা কষ্টকর প্রস্রাব হয়।বয়থা কখনো হঠাৎ আরম্ভ হয় এবং বেদনা স্বল্পক্ষণ বা দীর্ঘ সময় স্হায়ী হতে পারে। প্রস্রাবের টুকরো আপন ইচ্ছায় প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে গেলে বেদনার উপশম হয়। বার বার প্রস্রাব হয় প্রস্রাবের সময় উপরে লিংগমুখে বেদনা এবং যতক্ষণ পর্যন্ত পাথর খন্ড বের হয়ে না যায় ততক্ষণ বার বার প্রস্রাবের ইচ্ছা হয়। ৪।মুএে পুজ এবং শ্লেষ্মা মিশ্রিত থাকে আবার কখনো কখনো রক্ত মিশ্রিত থাকে। মুএ গ্রন্হি হতে মুএ থলিতে পাথরী আসার সময় রোগীর কুচকী ও অন্ডকোষ প্রভৃতি স্হানে অত্যন্ত যণ্এনা ও কষ্ট হয়।৫। কোন প্রকার ভারী জিনিষ তুলতে গেলে বা রাএে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ বেদনার উদ্রেক হয়।এই বেদনা এক দিকের কিডনি বা ইউরেটারের স্হানে আরম্ভ হয়ে নিম্নে কুচকির দিকে কখনো পেটে বা বুকে প্রসারিত হয়।অধিকাংশ ক্ষেএে অন্ডকোষটি উর্ধদিকে আকৃষ্ট.বেদনাযুক্ত.এবং স্ফীত হয়ে উঠে।৬।এই রোগের উপসর্গ হিসাবে জ্বর ভাব দেখা দিতে পারে।রোগী সর্বদাই প্রস্রাব ত্যাগের চেষ্টা করে।প্রস্রাব ফোটা ফোটা করে এবং একটু করে বের হয়।প্রচন্ড বেদনার সৃষ্টি হয়।এই বেদনা টাটানি এবং কামড়ানীর মতো হয়।৭।পেটের X-Ray করলে Stone কোথায় আছে তা দেখা যায়।অনেক সময় এ্যাপেনডিকসের সংগে এই রোগের ভুল হয়। কোন কোন সময় পিত্তশুলের সংগে ও ভুল হতে পারে অথবা ইনটেষ্টিনাল কলিকের সংগে ভুল হয়।চিকিৎসা এই জাতীয় ভুল যাতে না হয় সেজন্য ইহাদের লক্ষণগত তারতম্য চিকিৎসা করতে হবে। লক্ষণ অনুযায়ী হোমিওঔষধ সেবন করলে ভাল ফল আশা করা যায় যেমন —-লাইকোপডিয়াম. বার্বোরিস ভালগেরিস. লিথিয়াম কার্ব. এসিড বেন্জোয়িক. হেলিবোরাস. ইত্যাদি
















