
সুতরাং প্রচ- শীতও অনেকের জন্য এলার্জেন হিসাবে কাজ করে এবং এ কারণে সৃষ্ট উপসর্গকে কোল্ড এলার্জি বলা হয়।কেন হয়? আমাদের নাসারন্ধ্র ও শ্বাসনালীতে স্নায়ুকোষের কিছু রিসেপ্টর আছে। এই রিসেপ্টরগুলো আবার ভ্যাগাস নার্ভ (এই জোড়া নার্ভ যা শ্বাসনালী ও কণ্ঠনালীর মাংসপেশির সঙ্কোচন ও প্রসারণকে উদ্দীপ্ত করে) এর সঙ্গে সংযুক্ত। ইতোপূর্বে উল্লিখিত এলার্জেনসমূহ শ্বাসনালীর মাংসপেশির সঙ্কোচন ঘটে এবং শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় তখন রোগীর শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি দেখা দেয়।কাদের বেশি হয়? সাধারণত খুব কম বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে এর প্রকোপ বেশি দেখা দেয়, তবে যে কোন বসেই হতে পারে।শীতকালে কেন বেশি হয়? শীতকালে কেন এ উপসর্গ বেশি হয় তা এখন পরিপূর্ণভাবে জানা যায়নি। তবে অনেক রোগীর সামগ্রিক অবস্থা পরীক্ষা করে কিছু জিনিস চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে যেমনÑআবহাওয়ার অবস্থা, দ্রুত তাপমাত্রা এবং বায়ুচাপের পরিবর্তন, উচ্চ আর্দ্রতা মোল্ড ও মাইটের বংশ বিস্তারের জন্য উপযোগী যা শীতকালীন রোগগুলোর কারণগুলো অন্যতম।উপসর্গসমূহ : নাক দিয়ে পানি পড়ে, নাক চুলকায়, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বাঁশির মতো আওয়াজ বের হওয়া, বুক চেপে আসা ইত্যাদি।কি করণীয়? যে কারণে এ উপসর্গগুলো দেখা দেয়, এলার্জি টেস্ট করে কারণ নির্ণয় করে তা পরিহার করে চলা উচিত। ঠা-া বাতাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এক ধরনের মুখোশ (ফিল্টার মাস্ক) বা মুখবন্ধনী ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ফ্লানেল কাপড়ের তৈরি এবং মুখের অর্ধাশসহ মাথা, কান ঢেকে রাখে। ফলে ব্যবহারকারীরা উত্তপ্ত নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে পারেন। শীতপ্রধান দেশে সাধারণত তাদের শীতকালীন বিশেষ পোশাকের সঙ্গে এই মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহার করে থাকেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃহোমিওপ্যাথিতে কোল্ড এলার্জীর যথেস্ট এবং তুলনামূলকভাবে ভালো চিকিৎসা রয়েছে, তবে আগে রোগের উৎপত্তির মূলকারন নির্ণয় করাটা জরুরী।অর্থাৎ ঠান্ডা বাতাস লেগে সমস্যা হয়েছে নাকি ঠান্ডা পানিতে গোসল অথবা অন্য কোন কারনে হয়েছে।আপনি যত ভালো করে ডাক্তারকে বুঝিয়ে বলতে পারবেন আপনার রোগ তাড়াতাড়ি ভালো হবে।মোটকথা হোমিওপ্যাথিতে লক্ষ্মণ সমষ্টিই সর্বসর্বা এখানে রোগ আপনার যাইহোক না কেন। কোল্ড এলার্জিতে ব্যবহৃত কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনঃব্যাসিলিনাম, কেলকেরিয়া ফস, রাস টক্স, ডালকামারা, এলিয়াম সেপা, নেট্রাম সালফ, নাক্স ভোম,এন্টিম টার্ট,হিপার সালফ,