অণ্ডকোষে ব্যথার কারণ ও করণীয়
পুরুষের ‘অরকাইটিস’কে সাধারণ বাংলায় অণ্ডকোষের ব্যথা বা প্রদাহও বলা হয়ে থাকে । এটি অণ্ডকোষের একটি বা দু’টিতে হতে পারে। যা সচরাচর সংক্রমণের কারণে হয় ।
অনেকে এটাকে এপিডিডাইমো-অরকাইটিস অথবা টেস্টিস ইনফেকশন বলে থাকেন । এটা হওয়ার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো ।
কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো: অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা ঘটতে পারে । এটা সাধারণত এপিডিডাইমিসের প্রদাহের ফলস্বরূপ হয় । অণ্ডকোষের শেষ প্রান্তে থাকে এপিডিডাইমিস। এটা একটি নল , যা ভাস ডিফারেন্স (শুক্রবাহী নালি) ও অণ্ডকোষকে সংযুক্ত করে ।
অরকাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাস জনিত কারণ হচ্ছে মাম্পস । মাম্পসের প্রায় ৩০ শতাংশ রোগীর অসুস্থতার সময় অরকাইটিস হয় । এটা সবচেয়ে বেশি হয় বয়ঃসন্ধিকাল পার হয়ে আসা ছেলেদের । ১০ বছর বয়সের আগে এটা তেমন একটা দেখা যায় না ।
এটা সাধারণ মাম্পস হওয়ার চার থেকে ছয় দিন পরে ঘটে । অরকাইটিস রয়েছে এমন এক-তৃতীয়াংশ ছেলেদের এটা ঘটে থাকে মাম্পসের কারণে । পরিণতিতে অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যায় ।
২-২০ শতাংশ পুরুষের অরকাইটিস হয় বিরল রোগ ব্রুসেলোসিসের কারণে। অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ প্রোস্টেট বা এপিডিডাইমিসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে । যৌন সংক্রামক রোগ যেমন গনরিয়া ও ক্লামাইডিয়ার কারণেও এটা হতে পারে । সাধারণত ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের যৌনবাহিত কারণে অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বেশি হয় ।
যৌনবাহিত কারণ ছাড়া অন্য যেসব কারণে অরকাইটিস হতে পারে তা হলো: মাম্পস রোগের বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা , বয়স ৪৫ বছরের বেশি , বারবার মূত্রপথে সংক্রমণ , মূত্রপথের জন্মগত সমস্যা , জনন-মূত্রপথে অস্ত্রোপচার , দীর্ঘদিন ফলিস ক্যাথেটারের ব্যবহার ইত্যাদি ।
যৌনবাহিত কারণে অরকাইটিসের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: একাধিক যৌনসঙ্গিনী , অস্বাভাবিক যৌন আচরণ(হস্তমৈথুন) , যৌনসঙ্গিনীর আগে কোনো যৌনবাহিত রোগের ইতিহাস , গনরিয়া অথবা অন্য যৌনবাহিত রোগের ইতিহাস ।
উল্লেখ্য , এ রোগে প্রথমে প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ হয় । আস্তে আস্তে এ জীবাণু প্রোস্টেটে সংক্রমিত হয় এবং প্রোস্টেট থেকে এ রোগের জীবাণু এপিডিডাইমিসকে আক্রমণ করে ।
রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ
অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়া , ফুলে যাওয়া ও ভারী বোধ হওয়া
অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া
আক্রান্ত পাশের কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া , ফুলে যাওয়া
জ্বর হওয়া
কুঁচকিতে ব্যথা করা
লিঙ্গ পথে পুঁজ নির্গত হওয়া
প্রস্রাবে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা
যৌনসঙ্গমের সময় কিংবা বীর্যপাতের সময় ব্যথা করা
বীর্যে রক্ত যাওয়া
পায়খানা করার সময় কিংবা কোঁত দেয়ার সময় অণ্ডকোষের ব্যথা বেড়ে যাওয়া
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
প্রস্রাবের রুটিন ও কালচার পরীক্ষা
ক্লামাইডিয়া ও গনোরিয়ার পরীক্ষা (ইউরেথ্রাল স্মেয়ার)
রক্তের রুটিন পরীক্ষা
ডপলার আল্ট্রাসাউন্ড
টেস্টিকুলার স্ক্যান (নিউক্লিয়ার মেডিসিন স্ক্যান)।
রোগের জটিলতা:
অরকাইটিসের কারণে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং একটি বা দু’টি অণ্ডকোষই ছোট হয়ে যেতে পারে।
অরকাইটিসের কারণে আরো যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে সেসবের মধ্যে রয়েছে অণ্ডথলিতে ফোড়া হওয়া, অণ্ডকোষে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়া, অণ্ডথলির ত্বকে ফিস্টুলা হওয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী এপিডিডাইমিসের প্রদাহ হওয়া। অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হলে তাৎক্ষণিক অপারেশনের প্রয়োজন হয়। যদি আপনার অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
চিকিৎসা:
অ্যালোপ্যাথরা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন । গণরিয়া বা ক্লামাইডিয়ার ক্ষেত্রে যৌনসঙ্গিনীকেও চিকিৎসা দিতে হয় । আধুনিক অ্যালোপেথি ছাড়াও হোমিওপ্যাথিতেও রয়েছে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন ও সফল চিকিত্সা ।
তাই অণ্ডকোষের প্রদাহ নিবারণে অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা নিন ।
মনে রাখতে হবে , সময়মতো চিকিৎসা না করলে অণ্ডকোষের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।🚩যৌনরোগসহ যে কোন জটিল ও কঠিন রোগের সফল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করুন♦♦♦
ডঃ মোঃ আরিফুল ইসলাম আদনান সামি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন অনলাইনে বা সরাসরি চেম্বারে সৈয়দ হোমিও হল ফরেস্ট রোড আলিয়া মাদ্রাসা মার্কেট শেরপুর বগুড়া 01721418696
ইমো সহ সকল এ্যাপস খোলা আছে।
🌏বিস্তারিত জানতে কল দিতে পারবেন
বিঃদ্রঃ বাংলাদেশের যে কোনো জেলায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও দু’ থেকে তিন দিনের মধ্যেই ঔষধ পেতে পারেন।
ভাল লাগলে প্লিজ শেয়ার করুন✈ শেয়ার করুন📢 শেয়ার করুন📢📢📢
01721418696ডাঃ