*অন্যকে উপহাস করছেন? কিন্তু কেন?
আপনার কি এমন জিনিস আছে যার জন্য অন্যকে উপহাস করেন? মনে রাখবেন,আজ অন্যকে উপহাস করছেন,কাল সেই উপহাসই আপনাকে এসে আঘাত করবে ৷
*অন্যকে ঘৃণা করেন? কিন্তু কেন?
আপনার মূল্য কত কোটি ডলার,যার জন্য অন্যকে ঘৃণা করেন? অন্যকে ঘৃণা করে আপনার ভিতরটা যে ডাস্টবিনে জন্ম নেওয়া কীটপতঙ্গে পরিণত হয়েছে তা কি খেয়াল করেছেন?
*রাগ দেখাচ্ছেন? কিন্তু কেন?
পৃথিবীতে কারো এক সেকেণ্ড সময়ও নেই আপনার রাগ দেখার। আপনি যত বড় সম্পদশালী কুতুবই হোন না কেন এবং কি আপনার অধীনে কর্মরত চাকরও আপনার রাগ দেখতে প্রস্তুত নয়।
*দাম্ভিকতা দেখান? কিন্তু কেন ?
দু’চারটি একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করেই বা বড় পদের অধিকারী হয়েই আপনি অহংকারে ফেটে পড়ছেন? নিজেকে মহাজ্ঞানী, মহাসম্মানিত ভাবছেন। যাদের একাডেমিক ডিগ্রী নেই বা বড় পদ নেই ‘মূর্খ’ বলে তাদেরকে তাচ্ছিল্য করছেন। মনে রাখবেন,নিজ কর্মগুণে ঐ একাডেমিক ডিগ্রীহীন মূর্খরাও পৃথিবীতে স্মরণীয় হতে পারে। কিন্তু আপনার মতো দাম্ভিক ডিগ্রীধারীদেরকে বা বড় পদের অধিকারীকে পৃথিবী গ্রহণ করবে নিকৃষ্ট পতঙ্গরূপে।
মনে রাখবেনঃ
উপহাস তারাই করে যাদের নিজেদের কিছু নেই, ঘৃণা তারাই করে যাদের নিজেদের মর্যাদা নেই,
রাগ তারাই দেখায় যাদের কথা কেউ শোনে না, দাম্ভিকতা তারাই দেখায় যাদের অবস্থা ” অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর “
তাহলে আপনিও কি তাদের পর্যায়ে পড়তে চাচ্ছেন?
উপহাস,ঘৃণা,রাগ,দাম্ভিকতা – এ জিনিস গুলো কখনই কাউকে বড় করতে পারেনি এবং কোনও দিন পারবেও না। যদি মানুষের সম্মান,ভালবাসা পেতে চান,মৃত্যুর পরে অমর হয়ে থাকতে চান তাহলে অহংকার, দাম্ভিকতা,পরিহার করে মানুষের সেবায়,মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিন এবং মহান আল্লাহ্র গোলাম ও দাস হিসাবে নিজেকে ইসলামের সুশীতল ছায়া তলে আত্মসমর্পণ করুন।